image

পরম্পরাগত Traditional

প্রাচীনতম যে মন্দিরগুলি সন্ধান পাওয়া গেছে সেগুলো সবই লুপ্ত। ধ্বংসাবশেষের মাটি খুঁড়ে যা পাওয়া গেছে তাদের চূড়া শিখর আচ্ছাদন অঙ্গসজ্জা সবই ভেঙে ধুলায় মিশে গেছে। দীর্ঘস্থায়ী উপাদান দিয়ে এ মন্দিরগুলি তৈরি হয়নি তাই জলবায়ুর প্রভাবে এগুলি বিনষ্ট হয়ে গেছে। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে বাংলার রাজনীতিতে যে পরিবর্তন আসে তাতে বিজয়ী মানুষের ধ্বংসলীলায় অনেক কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। কালের প্রভাব পেরিয়ে যে কয়েকটি নিদর্শনের খোঁজ পাওয়া যায় তার মধ্যে উত্তর চব্বিশ পরগনায় চন্দ্রকেতুগড় ( ৮০০ -৪০০ খৃষ্ট পূর্বাব্দ ), অধুনা বাংলাদেশে রাজশাহী জেলায় পাহাড়পুর ( ৭৭০ -৮১৫ খৃষ্টাব্দ )এগুলি উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে দিয়ে তৎকালীন সময়ে মন্দির স্থাপত্যের কিছু উন্নত নিদর্শন পাওয়া যায়। পাহাড়পুর মন্দিরটি অনেকের মতে সর্বতো ভদ্র শৈলী নির্দেশ করে।
প্রাচীন যে মন্দিরগুলি টিকে আছে সেগুলি বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কয়েকটি রীতিতে ভাগ করা যায় যথা  শিখর রীতি, ভদ্র বা পীড়া রীতি, চালা রীতি এবং রত্ন রীতি । এর মধ্যে শিখর এবং ভদ্র বা পীড়া রীতি বহিরবঙ্গের থেকে উদ্ভূত , চালা  এবং রত্ন রীতি বাংলার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য।


The oldest temples discovered have been reduced to ruins, with their summit coverings crumbling into dust due to the use of non-durable materials and the harsh effects of climate. The political upheaval in Bengal in the thirteenth century further contributed to their deterioration, as conquerors left destruction in their wake.

Fortunately, some ancient temples have survived and can be categorized into distinct styles based on their characteristics:
1. Shikhara style (originating from outside Bengal)
2. Bhadra or Pirah style (also originating from outside Bengal)
3. Chala style (unique to Bengal)
4. Ratna style (unique to Bengal)
These styles showcase the diversity and richness of Bengal’s temple architecture, with some styles influenced by external factors and others being distinctly Bengali.

দেওয়ানজী শিবমন্দির Dewanji Shib Temple

বীরভূম জেলা দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত হেতমপুর গ্রামটি অত্যন্ত ঐতিহ্যশালী গ্রাম। হেতমপুর রাজবংশ উনবিংশ শতাব্দীতে এখানে বেশ কিছু মন্দির নির্মাণ করেন। রাজা শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্র স্থাপিত চন্দ্রনাথ শিব মন্দিরের কাছে বাবু পাড়ার আরেকটি শিব মন্দির আছে। দেউল আকৃতির এই শিব মন্দিরটি দেওয়ানজি শিব মন্দির নামে খ্যাত। মন্দিরে কোন প্রতিষ্ঠা লিপি দেখি নি। শ্রদ্ধেয় দেব কুমার চক্রবর্তী লিখিত […]

Read More

ইছাই ঘোষের দেউল Ichai Ghosher Deul

পশ্চিম বর্ধমান জেলার গৌরাঙ্গপুর এর কাছে অজয় নদীর ধারে যে দেউলটি আছে তা ইছাই ঘোষের দেউল নামে পরিচিত। ষোড়শ শতকে নির্মিত স্থাপত্যটি অনবদ্য শিখর রীতির ঘরানায় তৈরি। এই অঞ্চলটি একসময় গোপভুমের সদগোপ রাজাদের অধীনে ছিল। এই শাসকেরা ঈশ্বর ঘোষকে তাদের আদি পুরুষ হিসেবে স্মরণ করত। সম্ভবত তারই নামে নামাঙ্কিত হয়েছিল ইছাই ঘোষের দেউল।দেউলটিতে নকশা কাটা […]

Read More

জটার দেউল Jatar Deul

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ডহারবার সাবডিভিশনে মথুরাপুর দুই ব্লকে প্রাচীন এই দেউল টি অবস্থিত। জটাধারী শিবের নাম অনুসারে দেউলটির নাম হয় জটার দেউল। The list of ancient monuments in the presidency division , Government of West Bengal ,1896, শীর্ষক গ্রন্থে দেখা যায় যে ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে ডায়মন্ড হারবারের ডেপুটি কালেক্টর জানাচ্ছেন যে এই দেউল সংলগ্ন অঞ্চলের জঙ্গল […]

Read More

সুপুর মন্দির Deul Supur

সুপুর গ্রামে শ্যাম শায়র পুকুরের ধারে একটি মন্দির আছে দেউল আকৃতির এই মন্দিরটি পূর্বমুখী। মন্দিরের গায়ে প্রতিষ্ঠা ফলক রয়েছে।  There is a temple on the banks of Shyam Shayar Pond in Supur village. This temple is in the shape of a dome and faces east. There is a foundation plaque on the temple. বিকল্প নাম […]

Read More

Sonatapal

বাঁকুড়া থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে সোনাতপল গ্রামে বাঁকুড়া জেলার অন্যতম পুরা কীর্তি  ইটের তৈরি এক বিশাল দেউল অবস্থান করছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১২ ইঞ্চি বাই সাড়ে ৮ ইঞ্চি বাপের ইট। অত্যন্ত পুরু দেওয়াল সম্বলিত এই স্থাপত্যটির উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট। আনুমান খ্রিস্টীয় ১১ শতকে এই স্থাপত্যটি নির্মিত হয়েছিল। কিরে কোন বিগ্রহ নেই। জনশ্রুতি […]

Read More

সিদ্ধেশ্বর মন্দির Siddheswar Temple

বাঁকুড়া জেলার ওঁদা থানার মধ্যে অবস্থিত বহুলাড়া গ্রামের সিদ্ধেশ্বর মন্দিরটি প্রাচীন বাংলার এক ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। পশ্চিমমুখী সিদ্ধেশ্বর শিবের মন্দিরটি ভারতবর্ষের মন্দির স্থাপত্যের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। ১৮৭২-৭৩ খ্রিস্টাব্দে মিস্টার বেগলার বাংলা সফরের যে বিবরণ আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে আটখন্ডে প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে এই মন্দিরটির বিশদ বিবরণ আছে। এছাড়াও ডঃ রমেশ চন্দ্র মজুমদার […]

Read More

প্রতাপেশ্বর শিব মন্দির Pratapeswar Shib Temple

রাজবাড়ীর মন্দির চত্বরে প্রবেশ করলে প্রথমেই বাঁদিকে প্রতাপেশ্বর শিব মন্দিরটি অবস্থিত। পূর্বমুখী এই মন্দিরটি টেরাকোটা অলংকরণে অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি স্থাপত্য। মহারাজা প্রতাপ চাঁদের স্মৃতি রক্ষার্থে তার স্ত্রী রানী প্যারী কুমারী দেবী এটি প্রতিষ্ঠা করেন। কথিত আছে বর্ধমান রাজ পরিবারে জাল প্রতাপচাঁদ নামক ঐতিহাসিক মামলার নিষ্পত্তির প্রেক্ষিতে এই মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরে প্রতিষ্ঠা লিপি আছে ।সংস্কৃত […]

Read More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পরম্পরাগত Traditional

প্রাচীনতম যে মন্দিরগুলি সন্ধান পাওয়া গেছে সেগুলো সবই লুপ্ত। ধ্বংসাবশেষের মাটি খুঁড়ে যা পাওয়া গেছে তাদের চূড়া শিখর আচ্ছাদন অঙ্গসজ্জা সবই ভেঙে ধুলায় মিশে গেছে। দীর্ঘস্থায়ী উপাদান দিয়ে এ মন্দিরগুলি তৈরি হয়নি তাই জলবায়ুর প্রভাবে এগুলি বিনষ্ট হয়ে গেছে। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে বাংলার রাজনীতিতে যে পরিবর্তন আসে তাতে বিজয়ী মানুষের ধ্বংসলীলায় অনেক কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। কালের প্রভাব পেরিয়ে যে কয়েকটি নিদর্শনের খোঁজ পাওয়া যায় তার মধ্যে উত্তর চব্বিশ পরগনায় চন্দ্রকেতুগড় ( ৮০০ -৪০০ খৃষ্ট পূর্বাব্দ ), অধুনা বাংলাদেশে রাজশাহী জেলায় পাহাড়পুর ( ৭৭০ -৮১৫ খৃষ্টাব্দ )এগুলি উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে দিয়ে তৎকালীন সময়ে মন্দির স্থাপত্যের কিছু উন্নত নিদর্শন পাওয়া যায়। পাহাড়পুর মন্দিরটি অনেকের মতে সর্বতো ভদ্র শৈলী নির্দেশ করে।
প্রাচীন যে মন্দিরগুলি টিকে আছে সেগুলি বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কয়েকটি রীতিতে ভাগ করা যায় যথা  শিখর রীতি, ভদ্র বা পীড়া রীতি, চালা রীতি এবং রত্ন রীতি । এর মধ্যে শিখর এবং ভদ্র বা পীড়া রীতি বহিরবঙ্গের থেকে উদ্ভূত , চালা  এবং রত্ন রীতি বাংলার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য।

The oldest temples discovered have been reduced to ruins, with their summit coverings crumbling into dust due to the use of non-durable materials and the harsh effects of climate. The political upheaval in Bengal in the thirteenth century further contributed to their deterioration, as conquerors left destruction in their wake.

Fortunately, some ancient temples have survived and can be categorized into distinct styles based on their characteristics:
1. Shikhara style (originating from outside Bengal)
2. Bhadra or Pirah style (also originating from outside Bengal)
3. Chala style (unique to Bengal)
4. Ratna style (unique to Bengal)
These styles showcase the diversity and richness of Bengal’s temple architecture, with some styles influenced by external factors and others being distinctly Bengali.

দেওয়ানজী শিবমন্দির Dewanji Shib Temple

বীরভূম জেলা দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত হেতমপুর গ্রামটি অত্যন্ত ঐতিহ্যশালী গ্রাম। হেতমপুর রাজবংশ উনবিংশ শতাব্দীতে এখানে বেশ কিছু মন্দির নির্মাণ করেন। রাজা শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্র স্থাপিত চন্দ্রনাথ শিব মন্দিরের কাছে বাবু পাড়ার আরেকটি শিব মন্দির আছে। দেউল আকৃতির এই শিব মন্দিরটি দেওয়ানজি শিব মন্দির নামে খ্যাত। মন্দিরে কোন প্রতিষ্ঠা লিপি দেখি নি। শ্রদ্ধেয় দেব কুমার চক্রবর্তী লিখিত […]

Read More

ইছাই ঘোষের দেউল Ichai Ghosher Deul

পশ্চিম বর্ধমান জেলার গৌরাঙ্গপুর এর কাছে অজয় নদীর ধারে যে দেউলটি আছে তা ইছাই ঘোষের দেউল নামে পরিচিত। ষোড়শ শতকে নির্মিত স্থাপত্যটি অনবদ্য শিখর রীতির ঘরানায় তৈরি। এই অঞ্চলটি একসময় গোপভুমের সদগোপ রাজাদের অধীনে ছিল। এই শাসকেরা ঈশ্বর ঘোষকে তাদের আদি পুরুষ হিসেবে স্মরণ করত। সম্ভবত তারই নামে নামাঙ্কিত হয়েছিল ইছাই ঘোষের দেউল।দেউলটিতে নকশা কাটা […]

Read More

জটার দেউল Jatar Deul

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ডহারবার সাবডিভিশনে মথুরাপুর দুই ব্লকে প্রাচীন এই দেউল টি অবস্থিত। জটাধারী শিবের নাম অনুসারে দেউলটির নাম হয় জটার দেউল। The list of ancient monuments in the presidency division , Government of West Bengal ,1896, শীর্ষক গ্রন্থে দেখা যায় যে ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে ডায়মন্ড হারবারের ডেপুটি কালেক্টর জানাচ্ছেন যে এই দেউল সংলগ্ন অঞ্চলের জঙ্গল […]

Read More

সুপুর মন্দির Deul Supur

সুপুর গ্রামে শ্যাম শায়র পুকুরের ধারে একটি মন্দির আছে দেউল আকৃতির এই মন্দিরটি পূর্বমুখী। মন্দিরের গায়ে প্রতিষ্ঠা ফলক রয়েছে।  There is a temple on the banks of Shyam Shayar Pond in Supur village. This temple is in the shape of a dome and faces east. There is a foundation plaque on the temple. বিকল্প নাম […]

Read More

Sonatapal

বাঁকুড়া থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে সোনাতপল গ্রামে বাঁকুড়া জেলার অন্যতম পুরা কীর্তি  ইটের তৈরি এক বিশাল দেউল অবস্থান করছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১২ ইঞ্চি বাই সাড়ে ৮ ইঞ্চি বাপের ইট। অত্যন্ত পুরু দেওয়াল সম্বলিত এই স্থাপত্যটির উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট। আনুমান খ্রিস্টীয় ১১ শতকে এই স্থাপত্যটি নির্মিত হয়েছিল। কিরে কোন বিগ্রহ নেই। জনশ্রুতি […]

Read More

সিদ্ধেশ্বর মন্দির Siddheswar Temple

বাঁকুড়া জেলার ওঁদা থানার মধ্যে অবস্থিত বহুলাড়া গ্রামের সিদ্ধেশ্বর মন্দিরটি প্রাচীন বাংলার এক ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। পশ্চিমমুখী সিদ্ধেশ্বর শিবের মন্দিরটি ভারতবর্ষের মন্দির স্থাপত্যের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। ১৮৭২-৭৩ খ্রিস্টাব্দে মিস্টার বেগলার বাংলা সফরের যে বিবরণ আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে আটখন্ডে প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে এই মন্দিরটির বিশদ বিবরণ আছে। এছাড়াও ডঃ রমেশ চন্দ্র মজুমদার […]

Read More

প্রতাপেশ্বর শিব মন্দির Pratapeswar Shib Temple

রাজবাড়ীর মন্দির চত্বরে প্রবেশ করলে প্রথমেই বাঁদিকে প্রতাপেশ্বর শিব মন্দিরটি অবস্থিত। পূর্বমুখী এই মন্দিরটি টেরাকোটা অলংকরণে অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি স্থাপত্য। মহারাজা প্রতাপ চাঁদের স্মৃতি রক্ষার্থে তার স্ত্রী রানী প্যারী কুমারী দেবী এটি প্রতিষ্ঠা করেন। কথিত আছে বর্ধমান রাজ পরিবারে জাল প্রতাপচাঁদ নামক ঐতিহাসিক মামলার নিষ্পত্তির প্রেক্ষিতে এই মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরে প্রতিষ্ঠা লিপি আছে ।সংস্কৃত […]

Read More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *