
টেরাকোটা মন্দির
মাটি পুড়িয়ে যে শিল্প তৈরি হয়েছে সেগুলি টেরাকোটা শিল্প। মন্দির স্থাপত্যে টেরাকোটার অলংকরণ বাংলার এক ব্যতিক্রমী ঐতিহ্য। বাংলায় প্রাচীনকাল থেকেই মন্দির তৈরীর ক্ষেত্রে পাথরের অভাবে ইট ব্যবহার হয়ে আসছে। মাটির তৈরি এই শিল্প আয়ুর দিক থেকে ক্ষণস্থায়ী। প্রচুর মন্দির এই কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং আরো কিছু মন্দির ধ্বংস হওয়ার পথে।
সাধারণত মন্দিরের রূপ নির্ভর করে তার আচ্ছাদন বা উপরি অংশের উপর। আচ্ছাদনের আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য অনুসারে বাংলার মন্দিরগুলি চারটি রীতিতে বিভক্ত শিখরের রীতি, পীড়া রীতি ,চালা রীতি ও রত্ন রীতি।
এর মধ্যে শিখর ও পীড়া বা ভদ্র রীতি উড়িষ্যা র হাত ধরে বাংলায় প্রবেশ করেছে এবং চালা ও রত্ন রীতি বাংলার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। প্রথম দুটি ক্ষেত্রে মন্দিরের ছাদ বা আচ্ছাদন দেওয়ালের উপর থেকে ক্রমহ্রাসমান আকৃতিতে সোজা ওপরে উঠে একটা নির্দিষ্ট স্থানে মিলিত হয়।
চালা রীতি টি বাংলার নিজস্ব কুটির ধারণার থেকে গড়ে উঠেছে। চাল বা চালা মন্দিরের ছাদ। মন্দিরের তলা বাড়িয়ে অর্থাৎ একতলা দোতলা তিনতলা এইভাবে উপরের আচ্ছাদন অলংকৃত হয়েছে। এক্ষেত্রে দোচালা চারচালা আটচালা বারো চালা এইভাবে মন্দিরগুলি দেখতে পাওয়া যায়। একতলা কি ব্যবহারযোগ্য , অন্যতলাগুলি অলঙ্করন।এই চালার চারিধারে চূড়া বা রত্ন স্থাপন করে রত্ন মন্দির ধারনাটি গড়ে উঠেছে।
উপরোক্ত বিষয়টি ছাড়াও মন্দির স্থাপত্যে বিভিন্ন রকম ধারার প্রয়োগ ঘটেছে। সমস্ত মন্দিরগুলি স্থাপত্য এবং গঠন অনুসারে বর্গীকরণের জন্য আমরা ডেভিড ম্যাককাচ্চন প্রদর্শিত পথটি গ্রহণ করেছি।
বাংলার এই মন্দির স্থাপত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মন্দিরের সম্মুখভাগের ( facade ) অসম্ভব সুন্দর অলংকরণ। এই অলংকরণগুলি সম্মকভাবে অনুধাবন করতে গেলে মন্দিরের সম্মুখভাগের উপবিভাগ গুলি জানা থাকলে ভালো হয়। উপরের রেখাচিত্রে এর একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হলো।
এই শিল্পের সাথে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে আছেন শিল্পীরা যারা এই মন্দিরগুলি নির্মান ও অলংকরণ করেছিলেন। রাজা জমিদার এবং সমাজের উঁচু অংশের মানুষের অর্থে মন্দিরগুলি নির্মিত হলেও এর অলংকরণের জন্য ডাক পড়তো এই দরিদ্র মানুষগুলির। টেরাকোটা শিল্পে মানব জীবনের যে অফুরন্ত প্রাণ রস দেখা যায় তা উঠে এসেছিল এই শিল্পীদের জীবনবোধ থেকে । মন্দির অলংকরণে সেই কারণেই দেখা যায় দেবতাদের শাস্ত্রীয় রূপের থেকে লৌকিক রূপটাই বেশি। এই শিল্পীদের সমাজে একটা অত্যন্ত সম্মানীয় স্থান ছিল। তারা নিজেদের নামের সঙ্গে মিস্ত্রী ,সূত্রধর , সুতার, কারিগর এই ধরনের পরিচয় জ্ঞাপক শব্দ গুলি ব্যবহার করতেন।
কালের বিবর্তনে এবং ভৌগোলিক সীমার বিভিন্নতায় এই শিল্পের বিভিন্ন রূপ , বিভিন্ন আঙ্গিকের ক্রমবিকাশ আমাদের আকৃষ্ট করে।
The art made by burning clay is called terracotta art. Terracotta decoration in temple architecture is an exceptional tradition of Bengal. Since ancient times in Bengal, bricks have been used in the construction of temples due to lack of stone. This art made of clay is short-lived. Many temples have been destroyed due to this and many more are on the way.
Generally the form of a temple depends on its cover or upper part. According to the shape and characteristics of the covering, the temples of Bengal are divided into four styles: Shikhar style, Peera style, Chala style and Ratna style.
Among them Shikhar and Peera or Bhadra style entered Bengal through the hands of Orissa and Chala and Ratna style are characteristic of Bengal.
In the first two cases the roof or covering of the temple rises straight up from the wall in a descending shape and meets at a fixed point.
The Chala style evolved from Bengal’s own cottage concept. Chala or Chala temple roof. By raising the storeys of the temple i.e. one storey, two storeys and three storeys, the upper cover has been decorated. In this case the temples can be seen as Dochala Fourchala Eightchala Barochala. One floor is usable, the other floors are decorative. The Ratna Mandir concept is developed by placing Chura or Ratna around this Chala.
Apart from the above, various styles have been applied in temple architecture. To classify all the temples according to architecture and structure we have adopted the path shown by David McCutcheon.
One of the characteristics of this temple architecture of Bengal is the incredibly beautiful decoration of the front portion of the temple. To properly appreciate these decorations, it is better to know the subdivisions of the temple facade. The above diagram tries to give an idea of this.
Inextricably linked with this art are the artists who built and decorated these temples. Although the temples were built with the money of the kings , zamindars and people from the upper part of the society, these poor people were called upon to decorate them. The endless vitality of human life that can be seen in the terracotta art emerged from the sense of life of these artists. That is why the secular forms of the deities are seen more than the classical forms in the temple decoration. These artists had a very respectable place in society. They used identifying words such as mistri, sutradhar, sutar, karigar along with their names.
In the evolution of time and different geographical boundaries, the different forms of this art, the development of different aspects attract us.
শ্যামচাঁদ মন্দির Shyamchand Temple
নদীয়া জেলার শান্তিপুরে শ্যামচাঁদ পাড়ায় অবস্থিত আটচালা মন্দিরটি স্থাপত্যের এক অপরূপ নিদর্শন। লিপি অনুসারে ১৬৪৮ শক অর্থাৎ ১৭২৬ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল। মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন স্থানীয় রামগোপাল খাঁ চৌধুরী। কথিত আছে, মন্দির নির্মাণে দু লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। মন্দিরের বিগ্রহ কৃষ্ণমূর্তি কষ্টিপাথরের তৈরি। প্রথম অবস্থায় রাধার মূর্তিতে ছিল সোনার। মন্দিরের সামনে খুব বড় একটি নাটমন্দির […]
Read Moreহরিহর মন্দির Harihar Temple
নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে কৃষ্ণনগর নবদ্বীপ রাস্তায় আমঘাটা রেল স্টেশন থেকে এক কিলোমিটার দূরে হরিহর মন্দিরটি অবস্থিত। বিভিন্ন কারণে এই মন্দিরটি কিছু বিশিষ্টতা অর্জন করেছে।এক সময় জলঙ্গির শাখা নদী অলকানন্দা এখান দিয়ে প্রবাহিত হতো।। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র এই নদীর তীরে হরিহর মন্দিরটি ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করেছিলেন। যে দর্শনের বশিভূত হয়ে তিনি এই […]
Read Moreজলেশ্বর মন্দির Jaleswar Temple
প্রখ্যাত বৈষ্ণব তীর্থ শান্তিপুর অত্যন্ত পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ স্থান। এখানে তিলি পাড়ায় জলেশ্বর মন্দিরটি পুরাকীর্তর এক অনন্য নিদর্শন। প্রতিষ্ঠা লিপির অভাবে পারিপার্শ্বিকতার বিচারে গুণীজনের মতে আঠারো শতকের প্রথম দিকে নদীয়ার রাজা রুদ্র রায়ের ছোট পুত্র রামকৃষ্ণের মাতা দেবী এটি প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় শিবলিঙ্গটির নাম ছিল রুদ্রকান্ত। কথিত আছে একবার অনাবৃষ্টির সময় বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী বৃষ্টি […]
Read Moreনামো পাড়া চারাচালা শিব মন্দির Namo para charchala Shib Temple
বীরভূম জেলার অন্যতম বর্ধিষ্ণুগ্রাম দুবরাজপুরে যে মন্দির সংস্কৃতির প্রচলন হয়েছিল তার মধ্যে নমোপাড়ায় নায়েক পরিবাররা যেখানে বসবাস করেন , সেখানে তিনটি মন্দিরের একটি গুচ্ছ রয়েছে। এক পাশে একটি চার চালা মন্দির এবং অন্যপাশে পঞ্চরথ ঘরানার একটি শিখর মন্দিরের মাঝে নবরত্ন মন্দিরটি অবস্থান করছে। Among the temple culture that was prevalent in Dubrajpur, one of […]
Read Moreদেওয়ানজী শিবমন্দির Dewanji Shib Temple
বীরভূম জেলা দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত হেতমপুর গ্রামটি অত্যন্ত ঐতিহ্যশালী গ্রাম। হেতমপুর রাজবংশ উনবিংশ শতাব্দীতে এখানে বেশ কিছু মন্দির নির্মাণ করেন। রাজা শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্র স্থাপিত চন্দ্রনাথ শিব মন্দিরের কাছে বাবু পাড়ার আরেকটি শিব মন্দির আছে। দেউল আকৃতির এই শিব মন্দিরটি দেওয়ানজি শিব মন্দির নামে খ্যাত। মন্দিরে কোন প্রতিষ্ঠা লিপি দেখি নি। শ্রদ্ধেয় দেব কুমার চক্রবর্তী লিখিত […]
Read Moreনামো পাড়া শিব মন্দির Namo para Shib Temple
বীরভূম জেলার অন্যতম বর্ধিষ্ণুগ্রাম দুবরাজপুরে যে মন্দির সংস্কৃতির প্রচলন হয়েছিল তার মধ্যে নমোপাড়ায় নায়েক পরিবাররা যেখানে বসবাস করেন , সেখানে তিনটি মন্দিরের একটি গুচ্ছ রয়েছে। এক পাশে একটি চার চালা মন্দির এবং অন্যপাশে পঞ্চরথ ঘরানার একটি শিখর মন্দিরের মাঝে নবরত্ন মন্দিরটি অবস্থান করছে। জীর্ণ এই মন্দিরটি তে যে সুন্দর অলংকরণ ছিল তা বর্তমান অবস্থা থেকেও […]
Read Moreপঞ্চ শিবালয় Pancha Shibalaya
বীরভূম জেলার দুবরাজপুরে ওঝাপাড়ায় একটি ত্রয়োদশরত্ন মন্দির রয়েছে। এলাকাটিকে নামোপাড়াও বলা হয়। পাঁচটি শিব মন্দিরের গুচ্ছ নিয়ে মন্দির গুলি গড়ে উঠেছে। ত্রয়োদশরত্ন মন্দিরটির দুপাশে দুটি দেউল রীতির মন্দির সন্নিবেশিত হয়েছে। মন্দিরগুলি পাশাপাশি থাকলেও সেগুলি বারান্দাহীন। আরো দুটি মন্দির পাশে রয়েছে। সব গুলোরই উপাস্য দেবতা শিব। এলাকায় এর পরিচিতি পঞ্চ শিবমন্দির নামে।১৪ ফুট ৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য […]
Read Moreশিব মন্দির Shib Temple
বীরভূম জেলার দুবরাজপুরে ত্রয়োদশ রত্ন মন্দিরে যে ঘরানাটি গড়ে উঠেছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল মুদিপাড়ায় ( ময়না পাড়া) অবস্থিত শিব মন্দির। দুটি বীরভূম ঘরানার দেউল মন্দিরের মধ্যবর্তী অংশে ত্রয়োদশ মন্দিরটি অবস্থিত।মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাকাল পাওয়া যায়নি। বর্গাকার মন্দিরটির প্রতি দিক ১০ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা। এলাকার মানুষের কথায় উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে হেতমপুর রাজবংশের পক্ষ থেকে এই মন্দিরগুলি […]
Read Moreশিব মন্দির Shib Temple
বীরভূম জেলার দুবরাজপুরে ত্রয়োদশ রত্ন মন্দিরের যে ঘরানাটি গড়ে উঠেছিল তার এক উৎকৃষ্ট নিদর্শন ছিল দুবরাজপুর বাজার এলাকায় শিব মন্দিরটি। দেব কুমার চক্রবর্তী মহাশয় লিখিত ১৯৭২ সালে প্রকাশিত ‘বীরভূম জেলার পুরাকীর্তি’ গ্রন্থে এই মন্দিরটির অত্যন্ত সুন্দর একটি বিবরণ আছে।উক্ত বিবরণ অনুসারে মন্দিরের গায়ে টেরাকোটা ফলকের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন দেবদেবী , অবতার , সামাজিক এবং পৌরাণিক […]
Read Moreজয়পুর রাধা দামোদর জীউ মন্দির দে পাড়া Jaipur Rdha Damodar Jiu Temple De Para
বাঁকুড়া জেলার জয়পুর থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম জয়পুর। এখানে হাট তলার কাছে দে পাড়ায় একটি নবরত্ন মন্দির আছে। রাধা দামোদর জিউ এখানকার উপাস্য দেবতা। উঁচু ভিত্তি ভূমির ওপরে ত্রিখিলানযুক্ত মন্দিরটি অবস্থিত । বাঁকানো কার্নিশ যুক্ত নবরত্ন মন্দির টি অপূর্ব কারুকার্য শোভিত । দে পরিবারের তত্ত্বাবধান মন্দিরটি সংরক্ষিত। মন্দিরে উৎকীর্ণ ফলকলিপি থেকে দেখা যাচ্ছে যে মন্দিরটি […]
Read Moreসিনেট বিশালাক্ষী মন্দির Senet Bisalakhshi Temple
হুগলি জেলার দাদপুর থানার অন্তর্গত সিনেট গ্রামে একটি জোড় বাংলা ধরনের মন্দির আছে। বিশালাক্ষী দেবীর মন্দিরটি এলাকায় খুবই প্রসিদ্ধ। ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত মন্দিরটি তে প্রচুর টেরাকোটা ফলকের অস্তিত্ব ছিল। বর্তমানে ২০১৯ সালে সংস্কারের ফলে তাঁর কোন চিহ্ন মাত্র নেই। কেবলমাত্র প্রাচীন জোড় বাংলা মন্দিরের অবয়বটি রয়েছে এবং বিগ্রহ রয়েছে। আশ্বিন মাসে এখানে বিরাট উৎসব হয় […]
Read Moreজয়দেব কেন্দুলী রাধাবিনোদ মন্দির Jaydev Kenduli Radha Binod Temple
বীরভূম জেলা বোলপুর মহকুমা অন্তর্গত একটি গ্রাম কেঁদুলী। গীতগোবিন্দ রচয়িতা কবি জয়দেবের জন্মস্থান হিসাবে এই গ্রামটি চিহ্নিত হয়েছে। অজয় নদীর কাছে শ্রীরাধাবিনোদ নব রত্ন মন্দিরটি এখানে অবস্থিত। বর্তমান মন্দিরটি বর্ধমানের মহারানী নৈরানী দেবী ১৬৮৩ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন, অনেকের মতে মন্দিরটির ১৬৯২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।মন্দিরের নবরত্ন চূড়াগুলি পীড়া ঘরানার বলে অনুমান করি। মন্দিরের সম্মুখীন প্রচুর টেরাকোটা […]
Read Moreদশঘরা গোপীনাথ মন্দির Dasghara Gopinath Temple
হুগলি জেলার ধনেখালি থানার অন্তর্গত দশঘরা গ্রামটি অতিশয় বর্ধিষ্ণু। এই গ্রামে সদানন্দ বিশ্বাস এবং তার পরিবার অনেক পুরাকীর্তি স্থাপনের সাথে যুক্ত ছিলেন। পঞ্চরত্ন মন্দির ,দোল মঞ্চ ,রাস মঞ্চ , শিব মন্দির এরকম দেবালয় নির্মাণ তাদের অন্যতম কীর্তি। এছাড়াও তাদের নির্মিত কাছারি বাড়ি বৈঠকখানা নহবত খানা এখনো দেখা যায়। এই গ্রামের আরেক কৃতি মানুষ বিপিন কৃষ্ণ […]
Read Moreশ্রীবাটি পঞ্চরত্ন মন্দির Sribati Pancharatna Temple
বর্ধমানের কাটোয়া থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম শ্রীবাটি এই গ্রামটি একসময় খুব ঐতিহ্যপূর্ণ ছিল। বর্ধমান জেলার পুরা কীর্তি গ্রন্থে যজ্ঞেশ্বর চৌধুরী মহাশয়। এই গ্রামটি সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করেছেন। অতীতে শোভারাম চন্দ নামে এক ব্যক্তি শ্রীবাটি অঞ্চলে বাস গৃহ নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। এই চন্দ পরিবার এই অঞ্চলে কয়েকটি টেরাকোটা অলংকৃত মন্দির তৈরি করেন। চন্দ পরিবারের […]
Read Moreইছাই ঘোষের দেউল Ichai Ghosher Deul
পশ্চিম বর্ধমান জেলার গৌরাঙ্গপুর এর কাছে অজয় নদীর ধারে যে দেউলটি আছে তা ইছাই ঘোষের দেউল নামে পরিচিত। ষোড়শ শতকে নির্মিত স্থাপত্যটি অনবদ্য শিখর রীতির ঘরানায় তৈরি। এই অঞ্চলটি একসময় গোপভুমের সদগোপ রাজাদের অধীনে ছিল। এই শাসকেরা ঈশ্বর ঘোষকে তাদের আদি পুরুষ হিসেবে স্মরণ করত। সম্ভবত তারই নামে নামাঙ্কিত হয়েছিল ইছাই ঘোষের দেউল।দেউলটিতে নকশা কাটা […]
Read Moreজটার দেউল Jatar Deul
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ডহারবার সাবডিভিশনে মথুরাপুর দুই ব্লকে প্রাচীন এই দেউল টি অবস্থিত। জটাধারী শিবের নাম অনুসারে দেউলটির নাম হয় জটার দেউল। The list of ancient monuments in the presidency division , Government of West Bengal ,1896, শীর্ষক গ্রন্থে দেখা যায় যে ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে ডায়মন্ড হারবারের ডেপুটি কালেক্টর জানাচ্ছেন যে এই দেউল সংলগ্ন অঞ্চলের জঙ্গল […]
Read Moreহংসেশ্বরী মন্দির বাঁশবেড়িয়া Hanseswari Temple Bansberia
১৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট শাহজাহান বর্ধমান জেলার পাটুলির রাঘব দত্ত রায় কে সাতগাঁও অঞ্চলের একুশ টি পরগনার জমিদারি প্রদান করেন। তার পুত্র রামেশ্বর দত্ত। পরবর্তীকালে রাজা উপাধি পান। তিনি বাঁশ ঝাড় অধ্যুষিত এই এলাকা পরিষ্কার করে একটি দুর্গ নির্মাণ করেন। এখান থেকে এলাকার নাম হয় বাঁশবেড়িয়া। রামেশ্বরের মৃত্যুর পর তার পুত্রর রঘুদের এবং পরের রঘুদেবের […]
Read Moreপাথরা পঞ্চরত্ন শিব মন্দির Pathra Pancharatna Shiv Temple
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পাথরা অঞ্চলে যে মন্দিরগুলি রয়েছে তার মধ্যে পঞ্চরত্ন শিব মন্দিরটি অন্যতম। পশ্চিমমুখী এই মন্দিরটি কালাচাঁদ মন্দিরের কাছে অবস্থিত। কেন্দেরীয় রত্নটি পঞ্চ রথ এবং বাকি চারটি রথ ত্রিরথ ঘরানা বিশিষ্ট। বাঁকানো চালাগুলির নিচে আগে টেরাকোটা ফলকের সারি ছিল,বর্তমানে তার কিছুই অবশিষ্ট নেই। কেবলমাত্র ডানদিকের দেওয়ালে একটি নকল দরজা আছে সেখানে একটি দন্ডায়মানা নারী […]
Read Moreনশিপুর ২৫ রত্ন মন্দির Nasipur 25 ratna Temple
Normal বাংলায় যে ৬টি ২৫ চূড়া মম্দির রয়েছে তার মধ্যে মুর্শিদাবাদে নসিপুরের মন্দিরটি অন্যতম। নসিপুরের রাজবাড়ির ভেতরে এই মন্দিরটির অবস্থান। মন্দিরের গায়ে মার্বেল পাথরের একটি ফলকে দেখা যায় যে এর প্রতিষ্ঠাকাল ১৭৯৩ সাল। তৎকালীন জমিদার দেবী সিং রাজবাড়িটি নির্মান করেন ১৭৭৬ সালে এবং মন্দিরটি রাজা উদমন্ত সিংহ প্রতিষ্ঠা করেন ১৭৯৩ সালে। মন্দিরের মধ্যে এবং রাজবাড়ির […]
Read Moreপাথরা শিব মন্দির Pathra Shib Temple
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পাথরা অঞ্চলে যে মন্দিরগুলি রয়েছে তার মধ্যে পঞ্চরত্ন মন্দিরটি অন্যতম। রাস্তার বাম পাশে মন্দিরটি সহ আরো কয়েকটি মন্দির আছে। পুর্বমুখী এই মন্দিরটি কংসাবতী নদীর ধারে অবস্থিত। ফলকলিপি আনুসারে দেখা যায় যে মন্দিরটি ১৭৪৯ শকাব্দে অর্থাৎ ১৮২৮ খৃষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত।১৯৯৮ সালে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, মন্দিরটির সংস্কার করেন এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সৌধ হিসাবে বিজ্ঞপ্তি […]
Read Moreপাথরা নবরত্ন মন্দির Pathra Nabaratna Temple
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পাথরা অঞ্চলে যে মন্দিরগুলি রয়েছে তার মধ্যে নবরত্ন মন্দিরটি খুব উল্লেখযোগ্য। রাস্তার ডান পাশে পাঁচ ফুট নিচে নবরত্ন মন্দিরটি সহ আরো কয়েকটি মন্দির আছে। পশ্চিমমুখী এই মন্দিরটি কংসাবতী নদীর ধারে অবস্থিত। মন্দিরের চূড়ায় প্রথম তলে চারটি দ্বিতীয় তলে চারটি এবং কেন্দ্রীয় চূড়াসহ নবরত্ন মন্দিরটি এক সময় প্রচুর টেরাকোটা অলংকারে ভূষিত ছিল। ১৯৯৮ […]
Read Moreরাধাকান্তজিউ মন্দির মল্লিকচক শিববাজার Radhakanta Jiu Temple Mallik Chalk Shibbazar
মেদিনীপুর শহরে মল্লিক চক অঞ্চলে মল্লিক পরিবারের প্রতিষ্ঠিত রাধাকান্ত জিউ মন্দিরটি অনবদ্য। নবরত্ন মন্দির টি পূর্বমুখী এর পাশেই আরেকটি নবরত্ন মন্দির আছে সেখানে দুর্গা পূজিত হন। এই পরিবারের ইতিহাস থেকে জানা যায় তাদের পূর্বপুরুষ জন্মেঞ্জয় মল্লিক এই নবরত্ন রাধাকান্ত মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর ঠাকুরদা ছিলেন ভিখারি রক্ষিত তিনি ব্যবসা উপলক্ষে উড়িষ্যা থেকে মেদিনীপুরে চলে আসেন […]
Read Moreদক্ষিনা কালী মন্দির Dakshina Kali Temple
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর থানার অন্তর্গত মালঞ্চ গ্রামে একটি কালীমন্দির আছে। দক্ষিণ দিকে মুখ করা আটচালা এই মন্দিরটির বিগ্রহ দক্ষিণাকালী। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা লিপি থেকে দেখা যায় এটি ১৬৩৪ শকাব্দ অর্থাৎ ১৭১২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ৺গোবিন্দরাম রায় এবং তার পরিবার এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরটিতে সংস্কার হয়েছে এবং বেশ কিছু টেরাকোটা মূর্তি এখনো দেখতে পাওয়া যায়। […]
Read MoreJhikira Sitanath Temle
হাওড়া জেলার আমতা থানার অধীনে ঝিখিরা গ্রামে কাঁড়ার পাড়ায় একটি ঐতিহ্যশালী আটচালা মন্দির আছে। দক্ষিণমুখী এই মন্দিরের বিগ্রহ হিসাবে সীতানাথ (শালগ্রাম ) পূজিত হন। মন্দিরটি তে প্রতিষ্ঠাতা মিস্ত্রির নাম উল্লেখ না থাকলেও পারিপার্শ্বিক প্রমাণাদির মধ্যে দিয়ে মনে হয় ঝিখিরার অপর একটি মন্দির দামোদরজীউ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা শিল্পী শুকদেব মিস্ত্রি এটি তৈরি করেছিলেন। প্রতিষ্ঠা লিপি দেখে বোঝা […]
Read Moreইটান্ডা পঞ্চরত্ন মমন্দির Itanda Pancha Ratna Temple
বীরভূম জেলায় বোলপুর থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম ইটান্ডা। বোলপুর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে গ্রামটি অবস্থিত। এই গ্রামে বাজার পাড়ায় একটি পঞ্চরত্ন ঘরানার মন্দির আছে।মন্দিরটি ১২৩৫ বঙ্গাব্দ বা ১৭৫০ শকাব্দে প্রতিষ্ঠিত ।দক্ষিনমুখী মন্দিরটি আবহেলিত হয়ে পড়ে আছে। Itanda is a village under Bolpur police station in Birbhum district. The village is located 15 kilometers away from […]
Read Moreইটান্ডা জোড় বাংলা মন্দির Itanda Jorbangla Temple
বীরভূম জেলায় বোলপুর থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম ইটান্ডা। বোলপুর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে গ্রামটি অবস্থিত। এই গ্রামে একটি জোড় বাংলা ঘরানার মন্দির আছে। মন্দিরের বিগ্রহ কালী। একসময় এই ভেঙ্গে পড়া মন্দিরটি নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন মন্দিরটি সংরক্ষণের কাজ করেছেন। দক্ষিণ মুখী এই মন্দিরে টেরাকোটা অলংকৃত অনেক ফলক রয়েছে। বেশ কিছু ফলক নষ্ট […]
Read Moreঘুরিষা নবরত্ন মন্দির Ghurisa Naba ratna Temple
বীরভূমের ইলামবাজার থানার অন্তর্গত ঘুড়িষা গ্রাম এক বর্ধিষ্ণু এলাকা। এই গ্রামে যে কটি টেরাকোটা অলংকৃত ইটের মন্দির আছে তার মধ্যে অন্যতম নবরত্ন মন্দির। শ্রী শ্রী গোপাল ও লক্ষী জনার্দন বিগ্রহ এখানে পূজিত হন। ১১৪৫ বঙ্গাব্দে অর্থাৎ ১৭৩৮ খৃষ্টাব্দে ক্ষেত্রনাথ দত্ত এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরে প্রচুর টেরাকোটা ফলক রয়েছে। Ghurisha village under Ilambazar police station […]
Read Moreঘুরিষা রঘুনাথজী মন্দির Ghurisha Raghunathji temple
বীরভূমের ইলামবাজার থানার অন্তর্গত ঘুরিষা বর্ধিষ্ণু একটি গ্রাম। এই গ্রামে রঘুনাথের জির চারচালা মন্দিরটি এক অন্যতম প্রাচীন মন্দির ১৬৩৩ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটি তৈরি হয়। কথিত আছে বর্গী হামলার সময় মূল রঘুনার্জির বিগ্রহটি চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীকালে একটি শিবলিঙ্গ এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মন্দিরের চারদিকেই টেরাকোটা অলংকৃত ফলক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।। অন্যতম কিছু ফলক যেমন নব নারীকুঞ্জর এখানে কৃষ্ণের […]
Read Moreচারকল পঞ্চরত্ন শিব মন্দির Charkol Pancha Ratna Shib Temple
বিষ্ণুপুরে নানুর থানার মধ্যে চারকল গ্রাম অবস্থিত। বর্ধিষ্ণু এই গ্রামে চ্যাটার্জিপাড়ায় একটি প্রাচীন শিব মন্দির রয়েছে। পঞ্চরত্ন এই মন্দিরটি পূর্বমুখী। মন্দিরের দেয়ালে উৎকীর্ণ একটি লিপিতে উল্লেখ রয়েছে যে এটি ১২৪৫ সালে ১১ আসাড় তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মন্দিরটি যে কত স্বল্প খরচে তৈরি হয়েছিল তা ওই ফলকে উল্লেখিত আছে। বর্তমানে ফলকের কিয়দংশ মন্দিরের গায়ে লাগানো আছে। […]
Read Moreদুটি আট চালা শিব মন্দির Two Aat Chalala Shib Temple
নানুর থানার অধিনে বালিগুনি গ্রামে দুটি আটচালা শিব মন্দির আছে। দক্ষিণমুখী এই মন্দির দুটি তে আগে প্রচুর টেরাকেটা অলংকৃত ফলক ছিল। রাম রাবনের যুদ্ধ , বাহন গড়ুরের পিঠে চড়ে বিষ্ণুর যুদ্ধ দৃশ্য ইত্যাদি। বর্তমানে সংস্কারের ফলে সবকিছুর অবলুপ্তি ঘটেছে।১৪০৪ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে সর্ব শেষ সংস্কার হয়। নতুন রঙ করার ফলে টেরাকেটা সমৃদ্ধ মন্দিরটি তার গরিমা […]
Read Moreমদনমোহন মন্দির Madanmohan Temple
বিষ্ণুপুরের নগর দেবতা মদনমোহনের এক রত্ন মন্দিরটি এক কথায় অনবদ্য। মাকড়া পাথরের ভিত্তি ভূমির উপরে টেরাকোটা অলঙ্করণ সমৃদ্ধ মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল ১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে। ধনুক আকৃতি বাঁকা চালার উপরে স্থাপিত শিখরটি অনবদ্য। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা লিপিটি এইরকম –“শ্রী রাধাব্রজরাজনন্দন পদাম্ভজেষু তৎ প্রীতয়ে মল্লাব্দে ফনীরাজশীর্ষগনিতে মাসে শুচৌ নির্মলেসৌধং সুন্দররত্নমন্দিরমিদং সার্ধংস্বচেতোহলিনাশ্রীমদ্দুর্জন সিংহ ভুমিপতিনা দত্তং বিশুদ্ধাত্মনা ১০০০”এটি পাঠে বোঝা যায় […]
Read Moreনবরত্ন মন্দির Nabaratna Temple
বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়র থানায় দামোদরের শাখা নদী ভোদাইয়ের ধারে হদল এবং নারায়ণপুর পাশাপাশি দুটি গ্রাম থাকলেও তাদের একসাথেই উচ্চারণ করে ডাকা হয় হদল – নারায়ণপুর । কাছাকাছি রেলস্টেশন বলতে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ধগড়িয়া।আগের জমিদারি আমলের মন্ডল উপাধিধারি পরিবারের তিন তরফ বড় তরফ, মেজ তরফ এবং ছোট তরফ এদের প্রতিষ্ঠিত কিছু টেরাকোটা মন্দির, রাস মঞ্চ এই […]
Read Moreরাধা দামোদর নবরত্ন মন্দির Radha Damodar Nabaratna Temple
বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়র থানায় দামোদরের শাখা নদী ভোদাইয়ের ধারে হদল এবং নারায়ণপুর পাশাপাশি দুটি গ্রাম থাকলেও তাদের একসাথেই উচ্চারণ করে ডাকা হয় হদল – নারায়ণপুর । কাছাকাছি রেলস্টেশন বলতে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ধগড়িয়া।আগের জমিদারি আমলের মন্ডল উপাধিধারি পরিবারের তিন তরফ বড় তরফ, মেজ তরফ এবং ছোট তরফ এদের প্রতিষ্ঠিত কিছু টেরাকোটা মন্দির, রাস মঞ্চ এই […]
Read Moreপঞ্চরত্ন মন্দির Pancha Ratna Temple
বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়র থানায় দামোদরের শাখা নদী ভোদাইয়ের ধারে হদল এবং নারায়ণপুর পাশাপাশি দুটি গ্রাম থাকলেও তাদের একসাথেই উচ্চারণ করে ডাকা হয় হদল – নারায়ণপুর । কাছাকাছি রেলস্টেশন বলতে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ধগড়িয়া।আগের জমিদারি আমলের মন্ডল উপাধিধারি পরিবারের তিন তরফ বড় তরফ, মেজ তরফ এবং ছোট তরফ এদের প্রতিষ্ঠিত কিছু টেরাকোটা মন্দির, রাস মঞ্চ এই […]
Read Moreশ্যামসুন্দর জীউ মন্দির Shyamsundar Jiu Temple
হাওড়া জেলার আমতা থানার ঝিখিরা গ্রামে অনেকগুলি টেরাকোটা ফলক সম্বলিত ইটের মন্দির আছে। মধ্যপাড়ায় শ্যামসুন্দরজীউ মন্দিরটি তার মধ্যে অন্যতম। দক্ষীনমুখী আটচালা মন্দিরটিতে বাড়ান্দার উপর ত্রিখিলানযুক্ত সম্মুখভাগে টেরাকোটা ফলকগুলি বেশ সুন্দর। There are many brick temples with terracotta panels in Jhikhira village of Amta police station in Howrah district. The Shyamsundarjiu temple in Madhyapara is one […]
Read Moreমদনগোপালজীউ মন্দির Madangopal Jiu Temple
হাওড়া জেলার বাগনান থানার মেল্লক গ্রামে অত্যন্ত প্রাচীন এক টেরাকোটার মন্দির রয়েছে। জমিদার মুকুন্দ প্রসাদ রায়চৌধুরী এই গ্রামে ১৬৫১ খ্রিস্টাব্দে, মন্দিরটি তৈরি করেন। মন্দিরটি আটচালা এবং পশ্চিমবঙ্গের যে বৃহৎ মন্দির গুলি আছে তার মধ্যে অন্যতম।শ্রদ্ধেয় তারাপদ সাঁতরা মহাশয়ের হাওড়া জেলার পুরাকীর্তি বইয়ে এই মন্দির সম্বন্ধে বিস্তারিত বলা রয়েছে। যে টেরাকোটা ফলক গুলি এখানে ছিল তার […]
Read Moreঅনন্ত বাসুদেব মন্দির Ananta Basudev Temple
১৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট শাহজাহান বর্ধমান জেলার পাটুলির রাঘব দত্ত রায় কে সাতগাঁও অঞ্চলের একুশ টি পরগনার জমিদারি প্রদান করেন। তার পুত্র রামেশ্বর দত্ত। পরবর্তীকালে রাজা উপাধি পান। তিনি বাঁশ ঝাড় অধ্যুষিত এই এলাকা পরিষ্কার করে একটি দুর্গ নির্মাণ করেন। এখান থেকে এলাকার নাম হয় বাঁশবেড়িয়া। তিনি ১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে অনন্ত বাসুদেবের এক রত্ন মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা […]
Read Moreবৃন্দাবনচন্দ্র মন্দির Brindabanchandra Temple
হুগলি জেলার বলাগর ব্লকে অবস্থিত এখানকার বিখ্যাত এক গ্রাম গুপ্তিপাড়া। মুকুন্দরাম চক্রবর্তী বিরোচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যে এই স্থানের উল্লেখ রয়েছে। একসময় সংস্কৃত চর্চার পিঠস্থান ছিল এই গুপ্তিপাড়া। চারদিকে এক বিশাল প্রাচীর ঘেরা জায়গায় যে মন্দিরগুলি অবস্থান করছে তার মধ্যে অন্যতম বৃন্দাবন চন্দ্র মন্দিরটি।গুপ্তিপাড়ার মঠ তারকেশ্বরের শৈব মঠের অধীন। মঠটি দশনামি শৈব সম্প্রদায় পরিচালনা করলেও এখানকার দেবতা […]
Read MoreRamchandra Temple
হুগলি জেলার বলাগর ব্লকে অবস্থিত এখানকার বিখ্যাত এক গ্রাম গুপ্তিপাড়া। মুকুন্দরাম চক্রবর্তী বিরোচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যে এই স্থানের উল্লেখ রয়েছে। একসময় সংস্কৃত চর্চার পিঠস্থান ছিল এই গুপ্তিপাড়া। চারদিকে এক বিশাল প্রাচীর ঘেরা জায়গায় যে মন্দিরগুলি অবস্থান করছে তার মধ্যে অন্যতম রামচন্দ্রের মন্দির। সপ্তদশ শতকে এই মন্দিরটি স্থাপিত হয়। অষ্টকোন আকৃতির শিখর সহ চারচালা ছাদের মন্দিরটি এক […]
Read Moreসুপুর মন্দির Deul Supur
সুপুর গ্রামে শ্যাম শায়র পুকুরের ধারে একটি মন্দির আছে দেউল আকৃতির এই মন্দিরটি পূর্বমুখী। মন্দিরের গায়ে প্রতিষ্ঠা ফলক রয়েছে। There is a temple on the banks of Shyam Shayar Pond in Supur village. This temple is in the shape of a dome and faces east. There is a foundation plaque on the temple. বিকল্প নাম […]
Read Moreআনন্দ ভৈরবী মন্দির Anada Bhairabi Temple
হুগলি জেলার সুখারিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ২৫ রত্ন মন্দিরের এক অপরূপ নিদর্শন আমরা দেখতে পাই আনন্দ ভৈরবী মন্দিরে। সুধীর কুমার বিদ্যা বিনোদ লিখিত হুগলি জেলার ইতিহাস গ্রন্থে জানা যায় যে –নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সাথে মনমালিন্য হওয়ার কারণে আনন্দরাম মুস্তৌফি এই অঞ্চলে বসবাস করতে শুরু করেন। বর্ধমান রাজাদের সাথে এই পরিবারের হৃদ্যতা ছিল। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা লিপিতে দেখা […]
Read Moreদামোদরজিউ মন্দির Damodarjiu Temple
হাওড়া জেলার আমতা থানার রাউতারা গ্রামে সরকার পাড়ায় দামোদর জীউ মন্দিরটি অবস্থিত। মন্দিরটি দক্ষিণ মুখী। ১২ চালা মন্দিরটি রায় পরিবারের পারিবারিক স্থাপত্য। মন্দিরটি কয়েকবার সংস্কার হয়েছে।মন্দির প্রাঙ্গণের পাশে একটি আটচালা তুলসী মঞ্চ আছে। বিভিন্ন সময় সংস্কারের ফলে টেরাকোটা ফলক গুলি রং করার সময় আভিজাত্য হারিয়েছে। The Damodar Jeeyu Temple is located in Sarkar Para, Rautara […]
Read MoreSitaramjiu Temple
হাওড়া জেলা আমতা থানায় রাউতারা গ্রাম । এখানে ঘোষপাড়ায় উল্লেখযোগ্য সীতারাম জীউ মন্দির। মন্দিরটি দক্ষিণ মুখী । বারান্দা যুক্ত আটচালা মন্দিরটি টেরাকোটা কারুকার্যে সমৃদ্ধ। টেরাকোটার কাজগুলি উচ্চাঙ্গের হলেও রং করার ফলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। Rautara village in Amta police station of Howrah district. Here in Ghoshpara, there is a notable Sitaram Jeeu Temple. The temple […]
Read Moreদামোদরজিউ নবরত্ন মন্দির Damodarjiu Nabaratna Temple
হাওড়া জেলায় আমতা থানার অধীনে ঝিখিরা গ্রামে পশ্চিম পাড়ায় একটি নবরত্ন মন্দিরের অস্তিত্ব আছে। মন্দিরটি দামোদর জিউ নবরত্ন মন্দির নামে খ্যাত । ত্রিখিলান যুক্ত মন্দিরটিতে খিলানের থাম গুলি খুব সুন্দর। ভূমির থেকে ক্রমশ ওপরে উঠে যাওয়া, খিলানের সবদিকেই আগে টেরাকোটা ফলকের অস্তিত্ব ছিল বর্তমানে তার কয়েকটি নিদর্শন মাত্র আছে। নবরত্ন মন্দিরের রত্নচূড়াগুলি পীড়া আকৃতিতে তৈরি। […]
Read Moreচারবাংলা মন্দির Char Bangla Temple
মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে এক কিলোমিটার দূরে বড়নগর গ্রাম। এই গ্রামে চার বাংলা রীতির যে মন্দিরগুলি অবস্থান করছে তা বাংলার টেরাকোটা শিল্প ঐতিহ্যের এক অপরূপ নিদর্শন। তৎকালীন সময় নাটোরের রাজার রাজশাহী – জমিদারীর কেন্দ্র ছিল বড়নগর। এখানে রানী ভবানী যে মন্দিরগুলি তৈরি করেছিলেন তার মধ্যে চার বাংলা মন্দিরগুলি উল্লেখযোগ্য। একটি চৌকো প্রাঙ্গণের চারদিকে চারটি এক […]
Read Moreগজলক্ষী মন্দির Gajalaxmi Temple
হাওড়া জেলার আমতা থানায় অমরাগড়ি গ্রামে অন্যতম প্রাচীন টেরাকোটা অলংকরণ সমৃদ্ধ যে স্থাপত্যটি রয়েছে সেটি হল গজলক্ষী মন্দির। আটচালা মন্দিরটি বর্তমানে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। খিলানের ওপরে একসময় পদ্ম এবং কল্পলতা উৎকীর্ণ ছিল। এটি স্থানীয় রায় পরিবারের পারিবারিক মন্দির। The Gajalaxmii Temple, situated in the quaint village of Amargarhi within the jurisdiction of Amta police station in […]
Read Moreকেষ্টরয়ের মন্দির Kestorai Temple
জোড়বাংলা ঘরানার শিল্প মাধুর্যে সমৃদ্ধ বাঁকুড়া জেলার কেষ্ট রায় মন্দিরটি এক কথায় অতুলনীয়। টেরাকোটা অলংকরণের বৈচিত্র এবং প্রাচুর্য এই মন্দিরটির এক বৈশিষ্ট্য। দক্ষিণ মুখী এই মন্দিরটি রাজা বীর হাম্বীরের পুত্র রঘুনাথ সিংহ প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরের প্রতিষ্ঠালিপিতে এর উল্লেখ আছে – ” শ্রী রাধিকাকৃষ্ণমুদে সুধাংশুরসাঙ্কগে সৌধগৃহং শকাব্দিশ্রী বীর হাম্বির নরেশ সূনুদদৌ নৃপঃ শ্রী রঘুনাথ সিংহঃ । […]
Read Moreবাশুলি মন্দির Basuli TEmple
বীরভূমে নানুর থানার মধ্যে চন্ডীদাসের জন্ম ভিটা। আমরা ইতিহাসে অনেক চন্ডীদাসের সন্ধান পাই । পন্ডিতেরা একমত হয়েছেন যে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন রচয়িতা বড়ু চন্ডীদাস বাঁকুড়া জেলাতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আবার দ্বিজ চন্ডীদাস এককালে নানুরে বসবাস করেছিলেন এ বিষয়ে পণ্ডিতরা একমত হয়েছেন। এই চন্ডীদাসের ভিটা নিয়ে এবং কোন চন্ডীদাস এখানে বসবাস করতেন তা নিয়ে প্রচুর লোক কথা এবং বিতর্ক […]
Read Moreশ্রীধর মন্দির Sridhar Temple
পশ্চিমবঙ্গে যে ছটি পঁচিশ রত্ন মন্দিরের সমাহার ঘটেছে তার মধ্যে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীর শ্রীধর মন্দিরটি অন্যতম। খৃষ্টিয় ১৭ শতকে জগন্মোহন পন্ডিতের “দেশাবলি বিবৃতি” শীর্ষক বইয়ে এই গ্রামটি তন্তুবায়দের গ্রাম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইংরেজ আমলে সুতি কাপড় রেশম , লাক্ষা এসবের কারবার এখানে হতো। তৎকালীন সময় এরা সুবর্ণ বণিক সম্প্রদায়েরাই এখানে বিভিন্ন মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। […]
Read Moreদধিমাধব Dadhimadhab
অমরাগড়ি গ্রামে একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য দধিমাধবের মন্দির। মন্দিরটি হাওড়া জেলায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ মন্দির বলে বিবেচ্য। হাওড়া জেলা এবং হুগলি জেলায় একসময় বড় দ্বারপালের মূর্তি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এখানেও তার নিদর্শন ছিল। মন্দিরটি দক্ষিণমুখী আটচালা মন্দির। টেরাকোটা কাজে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। মন্দিরে একটি প্রতিষ্ঠা লিপি আছে যদিও তা ক্ষয়ে গেছে। তার লিপিটি এইরকম” শুভমস্তু শকাব্দা ১৬৮৬ …..বৈশাখ […]
Read MoreShyam Rai শ্য়াম রায় মন্দির
পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বিখ্যাত টেরাকোটা অলংকৃত মন্দির বিষ্ণুপুরের শ্যামরায় মন্দির। বিখ্যাত পঞ্চরত্ন এই মন্দিরটি বিষ্ণুপুরের রাজ দরবার, দলমাদল পাড়ায় অবস্থিত। মন্দিরটির প্রতিষ্ঠা লিপি থেকে জানা যায় ৯৪৯ মল্লাব্দে অর্থাৎ ১৬৪৩ খ্রিস্টাব্দে রাজা বীর হামবীরের পুত্র রাজা রঘুনাথ সিংহ এই মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন। মন্দিরে অন্যান্য যেসব ফলক রয়েছে তার মধ্যে শিল্পী এবং তদারকি কর্মীদের নাম উল্লেখিত হয়েছে […]
Read MoreSonatapal
বাঁকুড়া থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে সোনাতপল গ্রামে বাঁকুড়া জেলার অন্যতম পুরা কীর্তি ইটের তৈরি এক বিশাল দেউল অবস্থান করছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১২ ইঞ্চি বাই সাড়ে ৮ ইঞ্চি বাপের ইট। অত্যন্ত পুরু দেওয়াল সম্বলিত এই স্থাপত্যটির উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট। আনুমান খ্রিস্টীয় ১১ শতকে এই স্থাপত্যটি নির্মিত হয়েছিল। কিরে কোন বিগ্রহ নেই। জনশ্রুতি […]
Read Moreসিদ্ধেশ্বর মন্দির Siddheswar Temple
বাঁকুড়া জেলার ওঁদা থানার মধ্যে অবস্থিত বহুলাড়া গ্রামের সিদ্ধেশ্বর মন্দিরটি প্রাচীন বাংলার এক ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। পশ্চিমমুখী সিদ্ধেশ্বর শিবের মন্দিরটি ভারতবর্ষের মন্দির স্থাপত্যের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। ১৮৭২-৭৩ খ্রিস্টাব্দে মিস্টার বেগলার বাংলা সফরের যে বিবরণ আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে আটখন্ডে প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে এই মন্দিরটির বিশদ বিবরণ আছে। এছাড়াও ডঃ রমেশ চন্দ্র মজুমদার […]
Read Moreগোপাল জীউ মন্দির Gopal Jiu Temple
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত ছটি ২৫ চূড়া মন্দিরের মধ্যে তিনটি বর্ধমান জেলার কালনায় অবস্থিত। রাজবাড়ীর মন্দির প্রাঙ্গণের বাইরে এরকম একটি মন্দির হল। গোপাল জিউর পূর্বমুখী মন্দিরটি , ১৭৬৬ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয়েছিল। শুরুতে মন্দিরের টেরাকোটার কাজগুলি যে অপূর্ব অবস্থায় ছিল বর্তমানে তা অনেকাংশে নষ্ট হয়ে গেছে। মহারাজা তিলক চাঁদের আমলে তৈরি হওয়া অপূর্ব টেরাকোটা কাজ সম্বলিত চূড়ামন্দির গুলির […]
Read Moreকৃষ্ণচন্দ্র মন্দির Krishnachandra Temple
কালনা মন্দির প্রাঙ্গণের পূর্ব দিকে এই সুউচ্চ ২৫ রত্ন মন্দিরটি অবস্থিত। মহারাজা তিলক চন্দ্র (1744 – 1770 AD ) এর মা লক্ষ্মী কুমারী দেবী, লালজি মন্দিরের মতো আরেকটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরের প্রতিষ্ঠালিপিতে লেখা আছে — শ্রী হরিচরণ সরোজ গুণ মুনিষোড়শ সংখ্যক শকে অব্দে মন্দিরমঅর্পিতমেতদ্রাজা শ্রী ত্রিলোক চন্দ্র মাত্রা ।। ১৬৭৩ সন ১১৫৯ […]
Read Moreলালজী মন্দির Lalji Temple
রাজবাড়ীর মন্দির চত্বরে ঢুকে সোজা এগিয়ে গেলে লালজী মন্দির অবস্থিত। সারা বাংলায় যে ছটি পঁচিশরত্ন মন্দির প্রতিষ্ঠিত আছে। তার মধ্যে লালজী মন্দির তার বিস্তৃতিতে এবং রত্ন পরিকল্পনায় সর্বশ্রেষ্ঠ রূপ ধারণ করেছে। চূড়া বা রত্নবিন্যাসের প্রথম স্তরে তিনটি করে চার কোনায় মোট ১২ টি দ্বিতীয় স্তরে প্রতি কোনায় দুটি করে মোট ৮ টি তৃতীয় স্তরে প্রতি […]
Read Moreপ্রতাপেশ্বর শিব মন্দির Pratapeswar Shib Temple
রাজবাড়ীর মন্দির চত্বরে প্রবেশ করলে প্রথমেই বাঁদিকে প্রতাপেশ্বর শিব মন্দিরটি অবস্থিত। পূর্বমুখী এই মন্দিরটি টেরাকোটা অলংকরণে অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি স্থাপত্য। মহারাজা প্রতাপ চাঁদের স্মৃতি রক্ষার্থে তার স্ত্রী রানী প্যারী কুমারী দেবী এটি প্রতিষ্ঠা করেন। কথিত আছে বর্ধমান রাজ পরিবারে জাল প্রতাপচাঁদ নামক ঐতিহাসিক মামলার নিষ্পত্তির প্রেক্ষিতে এই মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরে প্রতিষ্ঠা লিপি আছে ।সংস্কৃত […]
Read More