
বাংলায় তেরো শতকের শুরুতে মুসলিম রাজত্ব কায়েম হওয়ার পর পরবর্তী প্রায় দুশো আড়াইশো বছর মন্দির স্থাপনে ভাঁটা পরে। ১৫০০ শতকের মাঝামাঝি আবার এই স্থাপত্যের পুনঃআবির্ভাব হয়। এই সময়কালে বহু মন্দির ভেঙে ফেলা হয় এবং মসজিদ নির্মাণ করা হয়। ফলে যে সমস্ত শিল্পী সূত্রধরেরা মন্দির নির্মাণে রপ্ত হয়েছিলেন তাদের অনেকে মুসলমান ঘরানার স্থাপত্যের সাথে যুক্ত হয়ে যান এবং এই রীতিটি আয়ত্ব করেন।
ফলে মুসলিম স্থাপত্যে তারা যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন পরবর্তীকালে মন্দির স্থাপত্যে তার প্রয়োগ ঘটে। মুসলিম আমলের আগে যে রেখ দেউল বা পিড়া দেউল প্রচলিত ছিল মুসলিম আমলে উন্নত প্রযুক্তি ও পরিকল্পনার প্রয়োগ মাধ্যমে তার মধ্যেও বৈচিত্র সৃষ্টি করা হয়। মন্দির স্থাপত্যে চালা মন্দিরের ভেতরেও মুসলমান স্থাপত্য থেকে নেওয়া গম্বুজ ও ভল্ট প্রয়োগ করা হয়। জনপ্রিয়তার বিচারে চালার পরেই রত্নের স্থান। এক্ষেত্রে পার্থক্য শুধু আচ্ছাদনের বাইরের আকারে। উপরের চালা আকারের পরিবর্তে ছোট ছোট নাগর মন্দির বসিয়ে রত্ন মন্দির তৈরি করা হয়। পঞ্চরত্ন মন্দিরেও মন্দিরের চারপাশে মুসলিম স্থাপত্য ঘরানার মিনার তৈরি করা হয়নি। বরঞ্চ চালার ওপরে চারদিকে মিনার ঘরানার বা নাগর ঘরানার চূড়া আকৃতি নির্মাণ করা হয়েছে।
শুধু মন্দিরের আকারের প্রশ্নেই নয় মন্দিরের গায়ে অলংকার সজ্জাও শুরু হয়েছে মুসলমান স্থাপত্যের উত্তরাধিকার নিয়ে।
ধর্মীয় কারণেই মুসলিম স্থাপত্যে ফুলকারী নকশা বিভিন্ন জ্যামিতিক নকশা এইসব বিষয়ই প্রাধান্য পেত। তাদের শিল্পচর্চার মধ্যে জীবন্ত কোন কিছুর প্রতিচ্ছবি ব্যবহৃত হতো না। প্রথমদিকে মন্দির স্থাপত্যে এই সব বিষয়গুলিই প্রাধান্য পেত। পরবর্তীকালে বিভিন্ন কাহিনী এবং চরিত্র চিত্রণের প্রবণতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়, এবং মন্দিরগুলি অনন্য রূপে সজ্জিত হতে থাকে। তৎকালীন সমাজে হিন্দু-মুসলিম স্থাপত্যের এই যৌথ প্রয়োগ সবাই সাধু মনে মেনে নিয়েছিলেন।
“Following the establishment of Muslim rule in Bengal in the early 13th century, temple construction ceased nearly 250 years. When temple architecture reemerged in the mid-1500s, many temples had been demolished and replaced with mosques. As a result, skilled artisans (Sutradharas) who previously worked on temples adapted to Muslim architectural styles and later applied their expertise to temple construction.
This blending of styles led to innovations in temple architecture, including the incorporation of domes, vaults, and advanced technology. The Rekh Deul or Pira Deul style, prevalent before the Muslim period, evolved with Muslim influences.
The Pancharatna temple deviates from traditional Muslim architecture by not having minarets encircling the temple. Instead, it features pinnacles in the minar gharana or nagar gharana style atop the chala structure. This blending of styles extends beyond the temple’s size to its ornamentation, which reflects the lasting impact of Muslim architectural influences.
The fusion of Hindu and Muslim architectural styles is evident in the use of minarets, floral designs, and geometric patterns. Initially, temple ornamentation was minimal, but later, the depiction of stories and characters became more prominent, resulting in uniquely decorated temples. This synthesis of styles was widely accepted and revered by the society of that time.
পাথরা পঞ্চরত্ন শিব মন্দির Pathra Pancharatna Shiv Temple
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পাথরা অঞ্চলে যে মন্দিরগুলি রয়েছে তার মধ্যে পঞ্চরত্ন শিব মন্দিরটি অন্যতম। পশ্চিমমুখী এই মন্দিরটি কালাচাঁদ মন্দিরের কাছে অবস্থিত। কেন্দেরীয় রত্নটি পঞ্চ রথ এবং বাকি চারটি রথ ত্রিরথ ঘরানা বিশিষ্ট। বাঁকানো চালাগুলির নিচে আগে টেরাকোটা ফলকের সারি ছিল,বর্তমানে তার কিছুই অবশিষ্ট নেই। কেবলমাত্র ডানদিকের দেওয়ালে একটি নকল দরজা আছে সেখানে একটি দন্ডায়মানা নারী […]
Read Moreনশিপুর ২৫ রত্ন মন্দির Nasipur 25 ratna Temple
Normal বাংলায় যে ৬টি ২৫ চূড়া মম্দির রয়েছে তার মধ্যে মুর্শিদাবাদে নসিপুরের মন্দিরটি অন্যতম। নসিপুরের রাজবাড়ির ভেতরে এই মন্দিরটির অবস্থান। মন্দিরের গায়ে মার্বেল পাথরের একটি ফলকে দেখা যায় যে এর প্রতিষ্ঠাকাল ১৭৯৩ সাল। তৎকালীন জমিদার দেবী সিং রাজবাড়িটি নির্মান করেন ১৭৭৬ সালে এবং মন্দিরটি রাজা উদমন্ত সিংহ প্রতিষ্ঠা করেন ১৭৯৩ সালে। মন্দিরের মধ্যে এবং রাজবাড়ির […]
Read Moreপাথরা শিব মন্দির Pathra Shib Temple
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পাথরা অঞ্চলে যে মন্দিরগুলি রয়েছে তার মধ্যে পঞ্চরত্ন মন্দিরটি অন্যতম। রাস্তার বাম পাশে মন্দিরটি সহ আরো কয়েকটি মন্দির আছে। পুর্বমুখী এই মন্দিরটি কংসাবতী নদীর ধারে অবস্থিত। ফলকলিপি আনুসারে দেখা যায় যে মন্দিরটি ১৭৪৯ শকাব্দে অর্থাৎ ১৮২৮ খৃষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত।১৯৯৮ সালে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, মন্দিরটির সংস্কার করেন এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সৌধ হিসাবে বিজ্ঞপ্তি […]
Read Moreপাথরা নবরত্ন মন্দির Pathra Nabaratna Temple
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পাথরা অঞ্চলে যে মন্দিরগুলি রয়েছে তার মধ্যে নবরত্ন মন্দিরটি খুব উল্লেখযোগ্য। রাস্তার ডান পাশে পাঁচ ফুট নিচে নবরত্ন মন্দিরটি সহ আরো কয়েকটি মন্দির আছে। পশ্চিমমুখী এই মন্দিরটি কংসাবতী নদীর ধারে অবস্থিত। মন্দিরের চূড়ায় প্রথম তলে চারটি দ্বিতীয় তলে চারটি এবং কেন্দ্রীয় চূড়াসহ নবরত্ন মন্দিরটি এক সময় প্রচুর টেরাকোটা অলংকারে ভূষিত ছিল। ১৯৯৮ […]
Read Moreরাধাকান্তজিউ মন্দির মল্লিকচক শিববাজার Radhakanta Jiu Temple Mallik Chalk Shibbazar
মেদিনীপুর শহরে মল্লিক চক অঞ্চলে মল্লিক পরিবারের প্রতিষ্ঠিত রাধাকান্ত জিউ মন্দিরটি অনবদ্য। নবরত্ন মন্দির টি পূর্বমুখী এর পাশেই আরেকটি নবরত্ন মন্দির আছে সেখানে দুর্গা পূজিত হন। এই পরিবারের ইতিহাস থেকে জানা যায় তাদের পূর্বপুরুষ জন্মেঞ্জয় মল্লিক এই নবরত্ন রাধাকান্ত মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর ঠাকুরদা ছিলেন ভিখারি রক্ষিত তিনি ব্যবসা উপলক্ষে উড়িষ্যা থেকে মেদিনীপুরে চলে আসেন […]
Read Moreইটান্ডা পঞ্চরত্ন মমন্দির Itanda Pancha Ratna Temple
বীরভূম জেলায় বোলপুর থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম ইটান্ডা। বোলপুর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে গ্রামটি অবস্থিত। এই গ্রামে বাজার পাড়ায় একটি পঞ্চরত্ন ঘরানার মন্দির আছে।মন্দিরটি ১২৩৫ বঙ্গাব্দ বা ১৭৫০ শকাব্দে প্রতিষ্ঠিত ।দক্ষিনমুখী মন্দিরটি আবহেলিত হয়ে পড়ে আছে। Itanda is a village under Bolpur police station in Birbhum district. The village is located 15 kilometers away from […]
Read Moreঘুরিষা নবরত্ন মন্দির Ghurisa Naba ratna Temple
বীরভূমের ইলামবাজার থানার অন্তর্গত ঘুড়িষা গ্রাম এক বর্ধিষ্ণু এলাকা। এই গ্রামে যে কটি টেরাকোটা অলংকৃত ইটের মন্দির আছে তার মধ্যে অন্যতম নবরত্ন মন্দির। শ্রী শ্রী গোপাল ও লক্ষী জনার্দন বিগ্রহ এখানে পূজিত হন। ১১৪৫ বঙ্গাব্দে অর্থাৎ ১৭৩৮ খৃষ্টাব্দে ক্ষেত্রনাথ দত্ত এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরে প্রচুর টেরাকোটা ফলক রয়েছে। Ghurisha village under Ilambazar police station […]
Read Moreচারকল পঞ্চরত্ন শিব মন্দির Charkol Pancha Ratna Shib Temple
বিষ্ণুপুরে নানুর থানার মধ্যে চারকল গ্রাম অবস্থিত। বর্ধিষ্ণু এই গ্রামে চ্যাটার্জিপাড়ায় একটি প্রাচীন শিব মন্দির রয়েছে। পঞ্চরত্ন এই মন্দিরটি পূর্বমুখী। মন্দিরের দেয়ালে উৎকীর্ণ একটি লিপিতে উল্লেখ রয়েছে যে এটি ১২৪৫ সালে ১১ আসাড় তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মন্দিরটি যে কত স্বল্প খরচে তৈরি হয়েছিল তা ওই ফলকে উল্লেখিত আছে। বর্তমানে ফলকের কিয়দংশ মন্দিরের গায়ে লাগানো আছে। […]
Read Moreমদনমোহন মন্দির Madanmohan Temple
বিষ্ণুপুরের নগর দেবতা মদনমোহনের এক রত্ন মন্দিরটি এক কথায় অনবদ্য। মাকড়া পাথরের ভিত্তি ভূমির উপরে টেরাকোটা অলঙ্করণ সমৃদ্ধ মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল ১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে। ধনুক আকৃতি বাঁকা চালার উপরে স্থাপিত শিখরটি অনবদ্য। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা লিপিটি এইরকম –“শ্রী রাধাব্রজরাজনন্দন পদাম্ভজেষু তৎ প্রীতয়ে মল্লাব্দে ফনীরাজশীর্ষগনিতে মাসে শুচৌ নির্মলেসৌধং সুন্দররত্নমন্দিরমিদং সার্ধংস্বচেতোহলিনাশ্রীমদ্দুর্জন সিংহ ভুমিপতিনা দত্তং বিশুদ্ধাত্মনা ১০০০”এটি পাঠে বোঝা যায় […]
Read Moreনবরত্ন মন্দির Nabaratna Temple
বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়র থানায় দামোদরের শাখা নদী ভোদাইয়ের ধারে হদল এবং নারায়ণপুর পাশাপাশি দুটি গ্রাম থাকলেও তাদের একসাথেই উচ্চারণ করে ডাকা হয় হদল – নারায়ণপুর । কাছাকাছি রেলস্টেশন বলতে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ধগড়িয়া।আগের জমিদারি আমলের মন্ডল উপাধিধারি পরিবারের তিন তরফ বড় তরফ, মেজ তরফ এবং ছোট তরফ এদের প্রতিষ্ঠিত কিছু টেরাকোটা মন্দির, রাস মঞ্চ এই […]
Read Moreরাধা দামোদর নবরত্ন মন্দির Radha Damodar Nabaratna Temple
বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়র থানায় দামোদরের শাখা নদী ভোদাইয়ের ধারে হদল এবং নারায়ণপুর পাশাপাশি দুটি গ্রাম থাকলেও তাদের একসাথেই উচ্চারণ করে ডাকা হয় হদল – নারায়ণপুর । কাছাকাছি রেলস্টেশন বলতে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ধগড়িয়া।আগের জমিদারি আমলের মন্ডল উপাধিধারি পরিবারের তিন তরফ বড় তরফ, মেজ তরফ এবং ছোট তরফ এদের প্রতিষ্ঠিত কিছু টেরাকোটা মন্দির, রাস মঞ্চ এই […]
Read Moreপঞ্চরত্ন মন্দির Pancha Ratna Temple
বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়র থানায় দামোদরের শাখা নদী ভোদাইয়ের ধারে হদল এবং নারায়ণপুর পাশাপাশি দুটি গ্রাম থাকলেও তাদের একসাথেই উচ্চারণ করে ডাকা হয় হদল – নারায়ণপুর । কাছাকাছি রেলস্টেশন বলতে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ধগড়িয়া।আগের জমিদারি আমলের মন্ডল উপাধিধারি পরিবারের তিন তরফ বড় তরফ, মেজ তরফ এবং ছোট তরফ এদের প্রতিষ্ঠিত কিছু টেরাকোটা মন্দির, রাস মঞ্চ এই […]
Read Moreঅনন্ত বাসুদেব মন্দির Ananta Basudev Temple
১৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট শাহজাহান বর্ধমান জেলার পাটুলির রাঘব দত্ত রায় কে সাতগাঁও অঞ্চলের একুশ টি পরগনার জমিদারি প্রদান করেন। তার পুত্র রামেশ্বর দত্ত। পরবর্তীকালে রাজা উপাধি পান। তিনি বাঁশ ঝাড় অধ্যুষিত এই এলাকা পরিষ্কার করে একটি দুর্গ নির্মাণ করেন। এখান থেকে এলাকার নাম হয় বাঁশবেড়িয়া। তিনি ১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে অনন্ত বাসুদেবের এক রত্ন মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা […]
Read MoreRamchandra Temple
হুগলি জেলার বলাগর ব্লকে অবস্থিত এখানকার বিখ্যাত এক গ্রাম গুপ্তিপাড়া। মুকুন্দরাম চক্রবর্তী বিরোচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যে এই স্থানের উল্লেখ রয়েছে। একসময় সংস্কৃত চর্চার পিঠস্থান ছিল এই গুপ্তিপাড়া। চারদিকে এক বিশাল প্রাচীর ঘেরা জায়গায় যে মন্দিরগুলি অবস্থান করছে তার মধ্যে অন্যতম রামচন্দ্রের মন্দির। সপ্তদশ শতকে এই মন্দিরটি স্থাপিত হয়। অষ্টকোন আকৃতির শিখর সহ চারচালা ছাদের মন্দিরটি এক […]
Read Moreআনন্দ ভৈরবী মন্দির Anada Bhairabi Temple
হুগলি জেলার সুখারিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ২৫ রত্ন মন্দিরের এক অপরূপ নিদর্শন আমরা দেখতে পাই আনন্দ ভৈরবী মন্দিরে। সুধীর কুমার বিদ্যা বিনোদ লিখিত হুগলি জেলার ইতিহাস গ্রন্থে জানা যায় যে –নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সাথে মনমালিন্য হওয়ার কারণে আনন্দরাম মুস্তৌফি এই অঞ্চলে বসবাস করতে শুরু করেন। বর্ধমান রাজাদের সাথে এই পরিবারের হৃদ্যতা ছিল। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা লিপিতে দেখা […]
Read Moreদামোদরজিউ নবরত্ন মন্দির Damodarjiu Nabaratna Temple
হাওড়া জেলায় আমতা থানার অধীনে ঝিখিরা গ্রামে পশ্চিম পাড়ায় একটি নবরত্ন মন্দিরের অস্তিত্ব আছে। মন্দিরটি দামোদর জিউ নবরত্ন মন্দির নামে খ্যাত । ত্রিখিলান যুক্ত মন্দিরটিতে খিলানের থাম গুলি খুব সুন্দর। ভূমির থেকে ক্রমশ ওপরে উঠে যাওয়া, খিলানের সবদিকেই আগে টেরাকোটা ফলকের অস্তিত্ব ছিল বর্তমানে তার কয়েকটি নিদর্শন মাত্র আছে। নবরত্ন মন্দিরের রত্নচূড়াগুলি পীড়া আকৃতিতে তৈরি। […]
Read Moreশ্রীধর মন্দির Sridhar Temple
পশ্চিমবঙ্গে যে ছটি পঁচিশ রত্ন মন্দিরের সমাহার ঘটেছে তার মধ্যে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীর শ্রীধর মন্দিরটি অন্যতম। খৃষ্টিয় ১৭ শতকে জগন্মোহন পন্ডিতের “দেশাবলি বিবৃতি” শীর্ষক বইয়ে এই গ্রামটি তন্তুবায়দের গ্রাম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইংরেজ আমলে সুতি কাপড় রেশম , লাক্ষা এসবের কারবার এখানে হতো। তৎকালীন সময় এরা সুবর্ণ বণিক সম্প্রদায়েরাই এখানে বিভিন্ন মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। […]
Read MoreShyam Rai শ্য়াম রায় মন্দির
পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বিখ্যাত টেরাকোটা অলংকৃত মন্দির বিষ্ণুপুরের শ্যামরায় মন্দির। বিখ্যাত পঞ্চরত্ন এই মন্দিরটি বিষ্ণুপুরের রাজ দরবার, দলমাদল পাড়ায় অবস্থিত। মন্দিরটির প্রতিষ্ঠা লিপি থেকে জানা যায় ৯৪৯ মল্লাব্দে অর্থাৎ ১৬৪৩ খ্রিস্টাব্দে রাজা বীর হামবীরের পুত্র রাজা রঘুনাথ সিংহ এই মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন। মন্দিরে অন্যান্য যেসব ফলক রয়েছে তার মধ্যে শিল্পী এবং তদারকি কর্মীদের নাম উল্লেখিত হয়েছে […]
Read Moreগোপাল জীউ মন্দির Gopal Jiu Temple
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত ছটি ২৫ চূড়া মন্দিরের মধ্যে তিনটি বর্ধমান জেলার কালনায় অবস্থিত। রাজবাড়ীর মন্দির প্রাঙ্গণের বাইরে এরকম একটি মন্দির হল। গোপাল জিউর পূর্বমুখী মন্দিরটি , ১৭৬৬ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয়েছিল। শুরুতে মন্দিরের টেরাকোটার কাজগুলি যে অপূর্ব অবস্থায় ছিল বর্তমানে তা অনেকাংশে নষ্ট হয়ে গেছে। মহারাজা তিলক চাঁদের আমলে তৈরি হওয়া অপূর্ব টেরাকোটা কাজ সম্বলিত চূড়ামন্দির গুলির […]
Read Moreকৃষ্ণচন্দ্র মন্দির Krishnachandra Temple
কালনা মন্দির প্রাঙ্গণের পূর্ব দিকে এই সুউচ্চ ২৫ রত্ন মন্দিরটি অবস্থিত। মহারাজা তিলক চন্দ্র (1744 – 1770 AD ) এর মা লক্ষ্মী কুমারী দেবী, লালজি মন্দিরের মতো আরেকটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরের প্রতিষ্ঠালিপিতে লেখা আছে — শ্রী হরিচরণ সরোজ গুণ মুনিষোড়শ সংখ্যক শকে অব্দে মন্দিরমঅর্পিতমেতদ্রাজা শ্রী ত্রিলোক চন্দ্র মাত্রা ।। ১৬৭৩ সন ১১৫৯ […]
Read Moreলালজী মন্দির Lalji Temple
রাজবাড়ীর মন্দির চত্বরে ঢুকে সোজা এগিয়ে গেলে লালজী মন্দির অবস্থিত। সারা বাংলায় যে ছটি পঁচিশরত্ন মন্দির প্রতিষ্ঠিত আছে। তার মধ্যে লালজী মন্দির তার বিস্তৃতিতে এবং রত্ন পরিকল্পনায় সর্বশ্রেষ্ঠ রূপ ধারণ করেছে। চূড়া বা রত্নবিন্যাসের প্রথম স্তরে তিনটি করে চার কোনায় মোট ১২ টি দ্বিতীয় স্তরে প্রতি কোনায় দুটি করে মোট ৮ টি তৃতীয় স্তরে প্রতি […]
Read More