ইন্দো মুসলিম শাসনকালে কয়েক শতাব্দী ধরে বাংলার সংস্কৃতি এই ভাবধারায় আচ্ছন্ন ছিল। ফলে সংস্কৃতির বিভিন্ন দিকের সঙ্গে স্থাপত্য ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছিল কিন্তু প্রথম চার শতাব্দীতে বাংলার সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তাদের যা কিছু দেওয়ার ছিল তা শেষ হয়ে গেছিল নতুন করে আর কিছু দেওয়ার ছিল না।
১৪৯৭ সালের ৮ই জুলাই বাংলায় ইউরোপীয়দের পদার্পণ ঘটে এবং সমসাময়িক সময় স্পেন পর্তুগাল দেশীয়রা ভারতবর্ষে পদার্পণ করে। তার কয়েক শতাব্দী আগেই রেনেসাঁসের প্রভাবে ইউরোপের চিন্তার জগতে যুগান্তর ঘটেছিল। ফলে এদেশে তাদের হাত ধরে জ্ঞান-বিজ্ঞানে, প্রযুক্তিতে, সংস্কৃতিতে নতুন সূচনা হয়েছিল।
মুসলিম সভ্যতা জ্ঞান-বিজ্ঞানে মধ্যযুগীয়তা কাটিয়ে বার হতে পারছিল না। এই নতুন সংস্কৃতি ঔপনিবেশিক হলেও দ্রুত উন্নতি র দিকে ধাবিত হলো।বিভিন্ন দিকের মত স্থাপত্যশিল্পেও তা এক নতুন ছাপ ফেলল।
দেশীয় স্থপতিরা যে স্থাপত্য শিল্পের সাথে পরিচিত ছিল তার সঙ্গে ইউরোপীয় স্থাপত্যের সংযোগ ঘটলো। পিলারে, আর্চে, কার্নিশে, সিঁড়িতে , জানালায় এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
ষোড়শ শতাব্দীর শেষার্ধ থেকে শিল্পীরা পোড়ামাটির ফলকে নিপুন হস্তে ইউরোপীয়দের জীবনযাত্রা উৎকীর্ণ করতে থাকেন। ইউরোপীয় মানুষের পোষাক আশাক, পুরুষ – রমণী, তাদের সমাজ , সমুদ্রগামী জাহাজ , হার্মাদদের নৌকা , বন্দুক হাতে যোদ্ধা এগুলি যেমন শিল্পের বিষয়বস্তু ছিল , তেমন ইউরোপীয় কিছু মানুষ যারা এদেশীয় হুকা খেতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন, এই ধূমপানের ছবিও উৎকীর্ণ হয়েছে।
উনবিংশ শতাব্দীতে সম্ভবত ইউরোপিয়ান চার্চ – স্থাপত্যের অনুপ্রেরণায় অষ্ট কোন আকৃতি স্থাপত্য বাংলার মন্দিরে প্রয়োগ করা হয়। এই প্যাঁচানো চূড়ার স্থাপত্য সৌন্দর্য পঞ্চরত্ন নবরত্ন সহ অন্যান্য শৈলীতেও প্রয়োগ করা হয়েছে। অনুমান হয় যে তৎকালীন সমাজ মুক্ত মনের অধিকারী ছিল। শিল্প সুষমাটাই তাদের কাছে প্রাধান্য পেয়েছিল।
For centuries, Bengal’s culture was shaped by medieval ideology during Indo-Muslim rule, leading to significant changes in culture and architecture. However, by the 15th century, Bengal’s cultural landscape had stagnated. The arrival of Europeans in 1497, influenced by the Renaissance, brought a new wave of scientific, technological, and cultural advancements. Although this new culture was colonial, it rapidly progressed and impacted architecture.
European architectural elements, such as pillars, arches, and cornices, merged with native styles. Terracotta plaques from the 16th century depict European lifestyles, including clothing, social scenes, and ships. Even European adoption of local customs, like hookah smoking, was captured in art.
In the 19th century, European church architecture inspired the use of octagonal designs in Bengal’s temples, including the Pancharatna , Navaratna style. The pointed peak’s architectural beauty was incorporated into various styles. This blending of styles suggests an open-minded society that prioritized aesthetic appeal.