image

আটচালা Aath Chala

আটচালা Aath Chala

দাসপুর নাড়াজোল মৃত্যুঞ্জয় শিবমন্দির Daspur Narajole Mrityunjoy Shiv Temple

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানা অঞ্চলে নাড়াজোল রাজবাড়িতে একটি শিব মন্দির দেখতে পাওয়া যায়। আটচালা এই মন্দিরটি মৃত্যুঞ্জয় শিবের মন্দির নামে খ্যাত । পশ্চিমমুখী এই মন্দিরটিতে এক প্রতিষ্ঠা লিপি অনুসারে জানা যায় যে এটি ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরটিতে বেশ কিছু টেরাকোটা অলংকরণ আছে। A Shiva temple can be found in Narajol Rajbari in the […]

Read More
আটচালা Aath Chala

খণ্ডরূই রাধাবল্লভ মন্দির Khandarui Radhaballav Temple

জীর্ণ মন্দিরের জার্নাল– রাধাবল্লভ মন্দির, খণ্ডরূইগড় (দাঁতন— ২) চিন্ময় দাশ   আইন–ই–আকবরী‘তে যাকে ‘তরকোল মহাল‘ নামে উল্লেখ পাই, সেটি হল তুর্কাচৌর পরগণা। মেদিনীপুর জেলার দক্ষিণের এলাকায় অবস্থান সেটির। ষোড়শ শতকের একেবারে প্রথম দিকের ঘটনা। দক্ষিণ দেশের তেলেঙ্গী জাতীয় এক রাজা সেখানে রাজত্ব করতেন। রাজধানী ছিল খণ্ডরূইগড়। করদ রাজা হয়েও, একবার কলিঙ্গরাজকে রাজস্ব দেওয়া বন্ধ করে দেন তিনি। রাজা দেবরাজ তখন কলিঙ্গের অধিপতি। বিদ্রোহী রাজাকে দমন করবার জন্য, নিজের বাহিনীর এক সেনাপতি কৃষ্ণদাস মহাপাত্রকে দায়িত্ব দিয়ে তুর্কায় পাঠিয়ে দেন। এক দিন, দু‘দিন, তিন দিন কেটে যায়, প্রবল যুদ্ধ করেও তেলেঙ্গীরাজাকে হারাতে পারছেন না কৃষ্ণদাস। রহস্য ভেদ হল রাজপুরোহিতের মুখ থেকে শুনে। রাজবাড়িতে আছেন কুলদেবী ভাগ্যেশ্বরী। তাঁর কৃপা না হলে, যুদ্ধজয় সুদূর পরাহত। রাতভর দেবীর আরাধনা করলেন কৃষ্ণদাস। মন্দির থেকে দেবীর খড়্গ সংগ্রহ করলেন। পরদিন যুদ্ধজয় হল সহজেই। বাহিনী নিয়ে ফিরে এলেন পুরী। ভরা দরবারে দেবরাজের পায়ের কাছে প্রণামী নামিয়ে দিলেন সেনাপতি। ঢাকনা তুলতে নৈবেদ্য প্রকট হল— বিদ্রোহী রাজার রক্তমাখা কাটা মুন্ড। দরবার ফেটে পড়ল উল্লাসে। কৃষ্ণদাসকে উপযুক্ত পুরস্কারই দিয়েছিলেন পুরীরাজ। তুর্কাচৌর পরগণার জমিদারী সনন্দ দিয়ে খণ্ডরূই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তাঁকে। সেনাপতি থেকে রাজা হয়ে গিয়েছিলেন কৃষ্ণদাস। গজেন্দ্র বংশের সন্তান তিনি, নতুন পদবি নিলেন— সিংহ গজেন্দ্র মহাপাত্র। মেদিনীপুর জেলায় নতুন এক রাজবংশের পত্তন হল সেদিন থেকে। ষোড়শ শতকের প্রথম দিকের ঘটনা এটি। কৃষ্ণদাসের কয়েক পুরুষ পরের জমিদার ছিলেন লালবিহারী সিংহগজেন্দ্র মহাপাত্র। তাঁর প্রপৌত্র গঙ্গানারায়ণের পুত্র পঞ্চানন সিপাহী বিদ্রোহের সময় ইংরেজ শক্তিকে বিশেষ সাহায্য করেছিলেন। সেই হিসাবে, ষোড়শ শতকের সাথে কৃষ্ণদাসের হিসাবটি সামঞ্জস্য পূর্ণ। খণ্ডরূই রাজবাড়িতে তেলেঙ্গী রাজার ভাগ্যেশ্বরী দেবীর পূজা বহাল রেখেছিলেন কৃষ্ণদাস। দেবী আজও পূজিত হন। পরে পরে একটি শিবমন্দির এবং একটি দূর্গা দালানও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল এই পরিবারে। কিন্তু চৈতন্য দেবের গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রভাব শুরু হয়েছে তখন। এই পরিবারেও কৃষ্ণ আরাধনার সূচনা করা হয়। ‘ রাধাবল্লভ ‘ নামে রাধা–কৃষ্ণের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয় নতুন করে। রাধাবল্লভের জন্য মন্দিরটি গড়া হয়েছিল শ‘ দুই বছর পরে। পঞ্চাননের পিতা গঙ্গানারায়ণ কিংবা পিতামহ যশোদানন্দনের সময়ে নির্মিত হয়ে থাকবে মন্দিরটি। বিশাল আকারের এই মন্দির চারটি সৌধের গুচ্ছ। একেবারে পিছনে একটি চালামন্দির, আট–চালা রীতির। এটিতেই দেবতার আসন, গর্ভগৃহে। গর্ভগৃহের সামনে আরও একটি চার–চালা মন্দির, সেটি জগমোহন। এই দুটি সৌধের পরিমাপ— দৈর্ঘ্য সাড়ে ৩২ ফুট, প্রস্থ সওয়া ২৬ ফুট। এই দুইয়ের মাঝখানে ২ ফুট বিস্তারের একটি অন্তরাল। একটি নাটমন্দির ছিল জগমোহনের সামনে। এই সৌধের চিহ্নটুকুও আজ মুছে যেতে বসেছে যেন। তার আকার আরো বিশাল। পরিমাপ— দৈর্ঘ্য সাড়ে ৩৭ ফুট, প্রস্থ সওয়া ১৯ ফুট। তিনটিরই মাথার অংশ সম্পূর্ণ বিনষ্ট। উচ্চতা মাপা যায় না। তবে পুরাবিদ তারাপদ সাঁতরা বলে গিয়েছেন— পিছনের সৌধ দুটির উচ্চতা ছিল ২৩ ফুট, নাটমন্দির ছিল ২০ ফুট উঁচু। মন্দিরের তিন দিক জুড়ে তিন খিলানের দ্বারপথ সহ টানা অলিন্দ ছিল। পশ্চিমের অংশটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত। থামের চিহ্নগুলি দেখা যায় কেবল। জীর্ণ দশা সিলিংগুলিরও। গর্ভগৃহে দুটি পাশখিলানের মাথায় আটটি অর্ধখিলান, সেগুলির মাথায় গম্বুজ স্থাপিত। জগমোহনে চার দেওয়ালে চারটি অর্ধখিলান। টানা–খিলান হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণের অলিন্দে। অলংকরণের প্রায় কিছুই আর অবশিষ্ট নাই এই মন্দিরে। তারাপদ সাঁতরার বিবরণে পাওয়া যায়, পাদপীঠের উপরের অংশ, স্তম্ভগুলির নিচের অংশেও টেরাকোটা ফলক ছিল একসময়। ফলকের মোটিফ— ‘শিকার–দৃশ্য, মিথুন–মূর্তি, নৃত্যরত নটী প্রভৃতি মূর্তি ‘। সেসকলের অধিকাংশই বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে। কেবল উত্তরের অলিন্দের দেওয়ালে কয়েকটি জীর্ণ মূর্তি টিকে আছে কোনও রকমে। দক্ষিণের অলিন্দটি বর্তমানে সম্পূর্ণ অগম্য।  তবে, সেবাইতপরিবারথেকেজানাগিয়েছে, তারদেওয়ালেওটেরাকোটাঅলংকরণছিল। রাধাবল্লভেরএইমন্দিরবহুকালপরিত্যক্ত।পরিত্যক্তহয়েছেপিছনেরবিশালদুর্গাদালানটিও।কুন্ডপুস্করিণীরচারপাড়েছিলপৃথকচারটিবাঁধানোঘাট— রাধাবল্লভ, ভাগ্যেশ্বরী, দূর্গাআরশিবচারদেবতারজন্য।চারটিঘাটেরকঙ্কালগুলিকোনওরকমেটিকেআছেকিছুকিছু।জমিদারীউচ্ছেদআরগতসাতদশকেররাজনৈতিকডামাডোলএইমহাপতনেরকুশীলব। সাক্ষাৎকার : ২০১০সালে– সর্বশ্রীদিলীপসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র, ইন্দ্রজিৎসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র— মেদিনীপুরশহর।সুজিতসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র, গৌতমসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র, সত্যেন্দ্রনাথদাসগুপ্ত— খণ্ডরুইগড়। ২০১৮সালে— শ্রীশুভজিৎসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র— খণ্ডরুইগড়ওমেদিনীপুরশহর। Jirna Mandirer Jpurnal Radhavallabh Temple, Khandruigarh (Dantan– 2) Chinmoy Das The place mentioned in the Ain-i-Akbari as ‘Tarkol Mahal’ […]

Read More
আটচালা Aath Chala

পঞ্চানন শিব Panchanan Shib

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার অধীনে সোনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েত এলাকায় কোনাখালী বাজারের কাছে অতি প্রাচীন একটি শিব মন্দির আছে। পশ্চিমমুখি আটচালা এই শিব মন্দিরটি ১৭৭২ / ৭৩ সালে তৈরি হয়েছিল। একসময় পোড়ামাটির ফলকে যে সুন্দর আঙ্গিকে মন্দিরটি কারুকার্যময় হয়ে উঠেছিল , বর্তমানে রং করার ফলে তার গরিমা অনেকটাই নষ্ট হয়েছে। বিশেষত পোড়ামাটি ফলক […]

Read More
আটচালা Aath Chala

নীলকন্ঠ শিব Nilkantha Shib

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার সাহাচক গ্রামে একটি আটচালা শিব মন্দির দেখতে পাওয়া যায়। পশ্চিমমুখী মন্দিরটি বর্তমানে ( ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সম্পূর্ণভাবে সংস্কার করা হয়েছে। নতুন করে রং করা হয়েছে। তারাপদ সাঁতরা লিখিত গ্রন্থে একটি প্রতিষ্ঠা লিপির কথা বলা হয়েছে। সেটি ছিল –“শ্রী শ্রী নীলকন্ঠ শিব ঠাকুর / সাং শাহাচক / শকাব্দা ১৮১০ সন ১২৯৫ সাল […]

Read More
আটচালা Aath Chala

বাণেশ্বর মন্দির Baneswar Temple

পশ্চিম মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ঘাটাল রাস্তায় দাসপুর থানার মহাকালপোতা গ্রামে যে আটচালা মন্দিরটি আছে, তা একটি উল্লেখযোগ্য পুরাকীর্তি। বানেশ্বর মন্দির নামে খ্যাত এই শিব মন্দিরটি ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয়েছিল। মন্দিরটি আটচালা এবং পশ্চিমমুখী। শ্রী তারাপদ সাঁতরা লিখিত পুরা কীর্তি সমীক্ষা মেদিনীপুর গ্রন্থে এর প্রতিষ্ঠা লিপির একটি পাঠ দেওয়া আছে। লিপিটি নিম্নরূপ- ” শ্রী শ্রী সিব। সন১২।২৬সাল। […]

Read More
আটচালা Aath Chala

নাথ পরিবারের শিব মন্দির Shiv Temple of Nath Family

পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি এক ব্লকে আমাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ বাজার পাড়ায় নাথ পরিবার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আটচালা শিব মন্দির টি অবস্থিত। অষ্টাদশ শতকের নির্মিত মন্দিরটি আটচালা শৈলীর একটি স্থাপত্য। পূর্বমুখী মন্দিরটি দৈর্ঘ্যে ১০ ফুট প্রস্থে ১০ ফুট এবং উচ্চতায় ২০ ফুট। মন্দিরটি জীর্ণ হলেও এখনো প্রচুর টেরাকোটা ফলক বর্তমান। মন্দিরটি সংরক্ষণের জন্য পারিবারিক উদ্যোগ প্রশংসনীয়। […]

Read More
আটচালা Aath Chala

আমাদপুর নন্দীদের শিবমন্দির Amaqpur Nandy Family Shiv Temple

পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি এক ব্লকে আমাদ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ নন্দী পাড়ায় নন্দী পরিবার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আটচালা শিব মন্দির টি অবস্থিত। ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরটি তে প্রবেশ পথের খিলানের ওপর প্রচুর সুসজ্জিত টেরাকোটা ফলক ছিল। মন্দিরের বিগ্রহ শিব বর্তমানেও নিত্য পূজিত হন। মন্দিরটি এখন ধ্বংসাবশেষে পরিণত হতে চলেছে। এর টেরাকোটা সজ্জার বিবরণ যজ্ঞেশ্বর […]

Read More
আটচালা Aath Chala

বড় কালিতলা শিব মন্দির পরিত্যক্ত Bara Kalitala Shiv Temple ( abondoned)

পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি এক ব্লকে আমাদ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ বড় কালীতলা পাড়ায় আটচালা শিব মন্দিরটি অবস্থিত। এই অঞ্চলে প্রসিদ্ধ মন্দির বড় মা কালী। এই মন্দিরের পাশে রাস্তার ওপর একটি আটচালা শিব মন্দির আছে। বর্তমানে মন্দিরটি জীর্ণ এবং পরিত্যক্ত। এত সত্বেও মন্দিরের ভিত্তি লাখোয়া অংশগুলিতে বেশ কিছু টেরাকোটা ফলক রয়েছে। সমাজ চিত্র, পৌরাণিক কাহিনী […]

Read More
আটচালা Aath Chala

বন্দোপাধ্যায় পরিবারের মদনগোপাল মন্দির Madangopal Temple of Bandopadhya Family

পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি এক ব্লকে আমাদ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ হরিসভা পাড়ায় মদন গোপাল মন্দিরটি অবস্থিত। লাগোয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরটি অপরূপ টেরাকোটা কাজে সমৃদ্ধ। উঁচু  ভিত্তি ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত আটচালা মন্দিরটি দক্ষিণ মুখী এবং ত্রিখিলান বারান্দা যুক্ত একটি স্থাপত্য। প্রতিষ্ঠা লিপি অনুসারে দেখা যায় যে মন্দিরটি ১১৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অর্থাৎ ১৭৩০ […]

Read More
আটচালা Aath Chala

শ্যামচাঁদ মন্দির Shyamchand Temple

নদীয়া জেলার শান্তিপুরে শ্যামচাঁদ পাড়ায় অবস্থিত আটচালা মন্দিরটি  স্থাপত্যের এক অপরূপ নিদর্শন। লিপি অনুসারে ১৬৪৮ শক অর্থাৎ ১৭২৬ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটি  তৈরি হয়েছিল। মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন স্থানীয় রামগোপাল খাঁ চৌধুরী। কথিত আছে, মন্দির নির্মাণে দু লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। মন্দিরের বিগ্রহ কৃষ্ণমূর্তি কষ্টিপাথরের তৈরি। প্রথম অবস্থায় রাধার মূর্তিতে ছিল সোনার। মন্দিরের সামনে খুব বড় একটি নাটমন্দির […]

Read More