মন্দির Temple
দাসপুর নাড়াজোল মৃত্যুঞ্জয় শিবমন্দির Daspur Narajole Mrityunjoy Shiv Temple
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানা অঞ্চলে নাড়াজোল রাজবাড়িতে একটি শিব মন্দির দেখতে পাওয়া যায়। আটচালা এই মন্দিরটি মৃত্যুঞ্জয় শিবের মন্দির নামে খ্যাত । পশ্চিমমুখী এই মন্দিরটিতে এক প্রতিষ্ঠা লিপি অনুসারে জানা যায় যে এটি ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরটিতে বেশ কিছু টেরাকোটা অলংকরণ আছে। A Shiva temple can be found in Narajol Rajbari in the […]
Read More
দাসপুর গোপিনাথজিউ Daspur Gopinath Jiu
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর এলাকায় সিংহ পাড়ায় একটি পূর্বমুখী এক রত্ন মন্দির আছে। এটি সিংহ পরিবার কর্তৃক স্থাপিত গোপীনাথের মন্দির। সামনের দিকে একটি অস্পষ্ট ফলক দেখে বোঝা যায় যে মন্দিরটি ১৬৩৮ শকাব্দ অর্থাৎ ১৭১৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মন্দিরের চুড়াটি ছাদের মাঝখানে এমন ভাবে বসানো যে বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে যেন এটি আলগোছে বসানো হয়েছে। […]
Read More
ঘাটাল সিংহবাহিনী মন্দির Ghatal Singhabahini Temple
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল পৌরসভার অন্তর্গত কোন্নগর গ্রামে কর্মকার পাড়ায় অতি প্রাচীন একটি মন্দির রয়েছে। সিংহ বাহিনীর মন্দির নামে খ্যাত এই মন্দিরটি গঠন বৈশিষ্ট্য একটু অন্যরকম। একটি চার চালা মন্দিরের সামনে আরেকটি চার চালা জগমোহন সংযুক্ত হয়েছে। মূল মন্দিরটি থেকে জগমোহন টি একটু খাটো। দুটি মন্দিরের শীর্ষেই একটি করে ছোট আমলক দেখতে পাওয়া যায়। মন্দিরে […]
Read More
গোবিন্দ নগর রাধাগোবিন্দজিউ ও রাধারমনজিউ মন্দির Govinda Nagar Radha Govindajiu and Radharmanjiu Temple
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা দাসপুর থানার অধীনে গোবিন্দ নগর গ্রামে একটি পঞ্চরত্ন টেরাকোটা মন্দির অবস্থান করছে। মন্দিরটি সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত। রাধাগোবিন্দ ও রাধারমন মন্দির নামে এটি খ্যাত। দুটি আলাদা আলাদা যুগল মূর্তি এখানে অবস্থান করছে। সরকারি ঘোষণা অনুসারে দেখা যায় মন্দিরটি ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত। বর্তমানে কোন প্রতিষ্ঠা লিপি লক্ষ্য করতে পারিনি। তারাপদ সাঁতরা এবং প্রণব রায় […]
Read More
ঘাটাল বৃন্দাবনচন্দ্র মন্দির Ghatal Brindavanchandra Temple
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল পৌরসভার অন্তর্গত গোস্বামী পাড়ায় শিলাবতী নদীর কাছে বৃন্দাবন চন্দ্রের মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত। নবরত্ন মন্দিরটি দক্ষিণমুখী। তারাপদ সাঁতরা লিখিত গ্রন্থ অনুযায়ী মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাকাল ১৭১৬ শকাব্দ অর্থাৎ ১৭৯৪ খ্রিস্টাব্দ এবং প্রণব রায় লিখিত গ্রন্থে পাওয়া যায় মন্দিরটি ১৭১৩ শকাব্দ অর্থাৎ ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। সম্ভবত জীর্ণ লিপি পাঠে ১৭১৩ এবং ১৭১৬ দৃষ্টি বিভ্রম ঘটেছে। তারাপদ […]
Read More
খণ্ডরূই রাধাবল্লভ মন্দির Khandarui Radhaballav Temple
জীর্ণ মন্দিরের জার্নাল– রাধাবল্লভ মন্দির, খণ্ডরূইগড় (দাঁতন— ২) চিন্ময় দাশ আইন–ই–আকবরী‘তে যাকে ‘তরকোল মহাল‘ নামে উল্লেখ পাই, সেটি হল তুর্কাচৌর পরগণা। মেদিনীপুর জেলার দক্ষিণের এলাকায় অবস্থান সেটির। ষোড়শ শতকের একেবারে প্রথম দিকের ঘটনা। দক্ষিণ দেশের তেলেঙ্গী জাতীয় এক রাজা সেখানে রাজত্ব করতেন। রাজধানী ছিল খণ্ডরূইগড়। করদ রাজা হয়েও, একবার কলিঙ্গরাজকে রাজস্ব দেওয়া বন্ধ করে দেন তিনি। রাজা দেবরাজ তখন কলিঙ্গের অধিপতি। বিদ্রোহী রাজাকে দমন করবার জন্য, নিজের বাহিনীর এক সেনাপতি কৃষ্ণদাস মহাপাত্রকে দায়িত্ব দিয়ে তুর্কায় পাঠিয়ে দেন। এক দিন, দু‘দিন, তিন দিন কেটে যায়, প্রবল যুদ্ধ করেও তেলেঙ্গীরাজাকে হারাতে পারছেন না কৃষ্ণদাস। রহস্য ভেদ হল রাজপুরোহিতের মুখ থেকে শুনে। রাজবাড়িতে আছেন কুলদেবী ভাগ্যেশ্বরী। তাঁর কৃপা না হলে, যুদ্ধজয় সুদূর পরাহত। রাতভর দেবীর আরাধনা করলেন কৃষ্ণদাস। মন্দির থেকে দেবীর খড়্গ সংগ্রহ করলেন। পরদিন যুদ্ধজয় হল সহজেই। বাহিনী নিয়ে ফিরে এলেন পুরী। ভরা দরবারে দেবরাজের পায়ের কাছে প্রণামী নামিয়ে দিলেন সেনাপতি। ঢাকনা তুলতে নৈবেদ্য প্রকট হল— বিদ্রোহী রাজার রক্তমাখা কাটা মুন্ড। দরবার ফেটে পড়ল উল্লাসে। কৃষ্ণদাসকে উপযুক্ত পুরস্কারই দিয়েছিলেন পুরীরাজ। তুর্কাচৌর পরগণার জমিদারী সনন্দ দিয়ে খণ্ডরূই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তাঁকে। সেনাপতি থেকে রাজা হয়ে গিয়েছিলেন কৃষ্ণদাস। গজেন্দ্র বংশের সন্তান তিনি, নতুন পদবি নিলেন— সিংহ গজেন্দ্র মহাপাত্র। মেদিনীপুর জেলায় নতুন এক রাজবংশের পত্তন হল সেদিন থেকে। ষোড়শ শতকের প্রথম দিকের ঘটনা এটি। কৃষ্ণদাসের কয়েক পুরুষ পরের জমিদার ছিলেন লালবিহারী সিংহগজেন্দ্র মহাপাত্র। তাঁর প্রপৌত্র গঙ্গানারায়ণের পুত্র পঞ্চানন সিপাহী বিদ্রোহের সময় ইংরেজ শক্তিকে বিশেষ সাহায্য করেছিলেন। সেই হিসাবে, ষোড়শ শতকের সাথে কৃষ্ণদাসের হিসাবটি সামঞ্জস্য পূর্ণ। খণ্ডরূই রাজবাড়িতে তেলেঙ্গী রাজার ভাগ্যেশ্বরী দেবীর পূজা বহাল রেখেছিলেন কৃষ্ণদাস। দেবী আজও পূজিত হন। পরে পরে একটি শিবমন্দির এবং একটি দূর্গা দালানও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল এই পরিবারে। কিন্তু চৈতন্য দেবের গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রভাব শুরু হয়েছে তখন। এই পরিবারেও কৃষ্ণ আরাধনার সূচনা করা হয়। ‘ রাধাবল্লভ ‘ নামে রাধা–কৃষ্ণের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয় নতুন করে। রাধাবল্লভের জন্য মন্দিরটি গড়া হয়েছিল শ‘ দুই বছর পরে। পঞ্চাননের পিতা গঙ্গানারায়ণ কিংবা পিতামহ যশোদানন্দনের সময়ে নির্মিত হয়ে থাকবে মন্দিরটি। বিশাল আকারের এই মন্দির চারটি সৌধের গুচ্ছ। একেবারে পিছনে একটি চালামন্দির, আট–চালা রীতির। এটিতেই দেবতার আসন, গর্ভগৃহে। গর্ভগৃহের সামনে আরও একটি চার–চালা মন্দির, সেটি জগমোহন। এই দুটি সৌধের পরিমাপ— দৈর্ঘ্য সাড়ে ৩২ ফুট, প্রস্থ সওয়া ২৬ ফুট। এই দুইয়ের মাঝখানে ২ ফুট বিস্তারের একটি অন্তরাল। একটি নাটমন্দির ছিল জগমোহনের সামনে। এই সৌধের চিহ্নটুকুও আজ মুছে যেতে বসেছে যেন। তার আকার আরো বিশাল। পরিমাপ— দৈর্ঘ্য সাড়ে ৩৭ ফুট, প্রস্থ সওয়া ১৯ ফুট। তিনটিরই মাথার অংশ সম্পূর্ণ বিনষ্ট। উচ্চতা মাপা যায় না। তবে পুরাবিদ তারাপদ সাঁতরা বলে গিয়েছেন— পিছনের সৌধ দুটির উচ্চতা ছিল ২৩ ফুট, নাটমন্দির ছিল ২০ ফুট উঁচু। মন্দিরের তিন দিক জুড়ে তিন খিলানের দ্বারপথ সহ টানা অলিন্দ ছিল। পশ্চিমের অংশটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত। থামের চিহ্নগুলি দেখা যায় কেবল। জীর্ণ দশা সিলিংগুলিরও। গর্ভগৃহে দুটি পাশখিলানের মাথায় আটটি অর্ধখিলান, সেগুলির মাথায় গম্বুজ স্থাপিত। জগমোহনে চার দেওয়ালে চারটি অর্ধখিলান। টানা–খিলান হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণের অলিন্দে। অলংকরণের প্রায় কিছুই আর অবশিষ্ট নাই এই মন্দিরে। তারাপদ সাঁতরার বিবরণে পাওয়া যায়, পাদপীঠের উপরের অংশ, স্তম্ভগুলির নিচের অংশেও টেরাকোটা ফলক ছিল একসময়। ফলকের মোটিফ— ‘শিকার–দৃশ্য, মিথুন–মূর্তি, নৃত্যরত নটী প্রভৃতি মূর্তি ‘। সেসকলের অধিকাংশই বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে। কেবল উত্তরের অলিন্দের দেওয়ালে কয়েকটি জীর্ণ মূর্তি টিকে আছে কোনও রকমে। দক্ষিণের অলিন্দটি বর্তমানে সম্পূর্ণ অগম্য। তবে, সেবাইতপরিবারথেকেজানাগিয়েছে, তারদেওয়ালেওটেরাকোটাঅলংকরণছিল। রাধাবল্লভেরএইমন্দিরবহুকালপরিত্যক্ত।পরিত্যক্তহয়েছেপিছনেরবিশালদুর্গাদালানটিও।কুন্ডপুস্করিণীরচারপাড়েছিলপৃথকচারটিবাঁধানোঘাট— রাধাবল্লভ, ভাগ্যেশ্বরী, দূর্গাআরশিবচারদেবতারজন্য।চারটিঘাটেরকঙ্কালগুলিকোনওরকমেটিকেআছেকিছুকিছু।জমিদারীউচ্ছেদআরগতসাতদশকেররাজনৈতিকডামাডোলএইমহাপতনেরকুশীলব। সাক্ষাৎকার : ২০১০সালে– সর্বশ্রীদিলীপসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র, ইন্দ্রজিৎসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র— মেদিনীপুরশহর।সুজিতসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র, গৌতমসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র, সত্যেন্দ্রনাথদাসগুপ্ত— খণ্ডরুইগড়। ২০১৮সালে— শ্রীশুভজিৎসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র— খণ্ডরুইগড়ওমেদিনীপুরশহর। Jirna Mandirer Jpurnal Radhavallabh Temple, Khandruigarh (Dantan– 2) Chinmoy Das The place mentioned in the Ain-i-Akbari as ‘Tarkol Mahal’ […]
Read More
সুলতানপুর লক্ষীজনার্দন মন্দির Sultanpur Laxmijanardan Temple
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের অন্তর্গত সুলতানপুর গ্রামে একটি অতি প্রাচীন লক্ষ্মী জনার্দন মন্দির আছে। পঞ্চরত্ন মন্দিরটি পূর্বমুখী। কার্নিশের নিচে একটি প্রতিষ্টা ফলক থেকে জানা যায় মন্দিরটি ১২১৫ বঙ্গাব্দে অর্থাৎ ১৮০৮ সালে নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরের সম্মুখভাগের কার্নিশ থেকে পাদপিঠ পর্যন্ত সমস্ত জায়গায় প্রচুর টেরাকোটা ফলকের উপস্থিতি আছে। দশাবতার কৃষ্ণ লীলার নানা রকম কাহিনী এই ফলক […]
Read More
নবগ্রাম গোপাল ও সিংহবাহিনী মন্দির Nabagram Gopal& Singhabahini Temple
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানায় নবগ্রাম গ্রামে মেদিনীপুর শহরের অতি প্রাচীন এক পুরাকীর্তি আছে। পূর্বমুখী সিংহ বাহিনীর এই পঞ্চরত্ন মন্দিরটি অত্যন্ত সুন্দর একটি স্থাপত্য। বর্তমানে ধ্বংসের মুখে পড়ে আছে। ত্রিখিলান যুক্ত প্রবেশপথের ওপর দিকে কার্নিশের নিচে এবং দুপাশের থাম জুড়ে প্রচুর টেরাকোটা সম্বলিত ফলক অবস্থান করছে। প্রচুর ফলক নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেও যা এখানে আছে […]
Read More
খড়ার সীতারাম মন্দির Kharar Sita Ram Temple
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমায় খড়ার পৌরসভার অন্তর্গত মাঝি পাড়ায় একটি ত্রয়োদশ রত্ন মন্দির আছে। এধরনের মন্দির বাংলায় খুব কমই আছে। প্রচলিত রত্ন মন্দিরের ধারাতেই এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ তিনটি ছাদের প্রতিটিতে চারটি করে মোট বারোটি এবং একটি কেন্দ্রীয় চূড়াসহ মন্দিরটি গড়ে উঠেছে। সামনে ত্রিখিলান যুক্ত প্রবেশপথ। গর্ভ গৃহে প্রবেশের দরজার দুপাশে দুটি পোড়ামাটির […]
Read More
দন্দিপুর রঘুনাথজীউ মন্দির Dandipur RaghunathJiu
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার দন্দীপুর গ্রামে একটি খুব সুন্দর পোড়ামাটির টেরাকোটা ফলক চিত্রিত মন্দির আছে। দক্ষিণ মুখী এই পঞ্চরত্ন মন্দিরটি এলাকার একটি উল্লেখযোগ্য পুরাকীর্তি। মন্দিরের উপাস্য দেবতা রঘুনাথজীউ। এছাড়াও শ্রীদাম এবং গোপালের মূর্তি এখানে আছে। মন্দিরের সম্মুখভাগ প্রায় সবটাই টেরাকোটা ফলকে আচ্ছাদিত। ত্রিখিলান মন্দিরের শীর্ষে রাম রাবণের যুদ্ধ, কৃষ্ণ লীলা, বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী উৎকীর্ণ […]
Read More