image

চালা Chala

বাড়ির ছাদ বা চাল এই রীতিটি মন্দির স্থাপত্যেও গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রাথমিক অবস্থায় কুটিরের চাল এবং মন্দিরের চাল বা ছাদ একই স্থাপত্য রীতি ধরে এগিয়ে চলেছিল। ক্রমশ এই চালা রীতির চর্চা কুটির স্থাপত্য থেকে সরে গিয়ে মন্দির স্থাপত্যে এক বিশিষ্ট রূপ প্রদান করেছিল। চারচালা থেকে আটচালা, আটচালা থেকে বারো চালা এইভাবে চালার সংখ্যা বাড়িয়ে মন্দিরগুলো এক অনিন্দ্যময় রূপ ধারণ করছিল।

The traditional Bengali house roof, or chala, design was seamlessly integrated into temple architecture. Initially, the roofs of cottages and temples shared a common architectural pattern. Over time, however, the Chala style evolved and diverged from its domestic origins, taking on a distinct and prominent form in temple architecture.
As the design progressed, the number of chalas increased from 4 to 8, and eventually to 12, transforming temples into majestic structures of impeccable design. This gradual refinement elevated the Chala style to new heights, distinguishing temple architecture from its humble domestic roots.

দাসপুর নাড়াজোল মৃত্যুঞ্জয় শিবমন্দির Daspur Narajole Mrityunjoy Shiv Temple

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানা অঞ্চলে নাড়াজোল রাজবাড়িতে একটি শিব মন্দির দেখতে পাওয়া যায়। আটচালা এই মন্দিরটি মৃত্যুঞ্জয় শিবের মন্দির নামে খ্যাত । পশ্চিমমুখী এই মন্দিরটিতে এক প্রতিষ্ঠা লিপি অনুসারে জানা যায় যে এটি ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরটিতে বেশ কিছু টেরাকোটা অলংকরণ আছে।A Shiva temple can be found in Narajol Rajbari in the Daspur […]

Read More

ঘাটাল সিংহবাহিনী মন্দির Ghatal Singhabahini Temple

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল পৌরসভার অন্তর্গত কোন্নগর গ্রামে কর্মকার পাড়ায় অতি প্রাচীন একটি মন্দির রয়েছে। সিংহ বাহিনীর মন্দির নামে খ্যাত এই মন্দিরটি গঠন বৈশিষ্ট্য একটু অন্যরকম। একটি চার চালা মন্দিরের সামনে আরেকটি চার চালা জগমোহন সংযুক্ত হয়েছে। মূল মন্দিরটি থেকে জগমোহন টি একটু খাটো। দুটি মন্দিরের শীর্ষেই একটি করে ছোট আমলক দেখতে পাওয়া যায়। মন্দিরে […]

Read More

খণ্ডরূই রাধাবল্লভ মন্দির Khandarui Radhaballav Temple

জীর্ণ মন্দিরের জার্নাল– রাধাবল্লভ মন্দির, খণ্ডরূইগড় (দাঁতন— ২) চিন্ময় দাশ   আইন–ই–আকবরী‘তে যাকে ‘তরকোল মহাল‘ নামে উল্লেখ পাই, সেটি হল তুর্কাচৌর পরগণা। মেদিনীপুর জেলার দক্ষিণের এলাকায় অবস্থান সেটির। ষোড়শ শতকের একেবারে প্রথম দিকের ঘটনা। দক্ষিণ দেশের তেলেঙ্গী জাতীয় এক রাজা সেখানে রাজত্ব করতেন। রাজধানী ছিল খণ্ডরূইগড়। করদ রাজা হয়েও, একবার কলিঙ্গরাজকে রাজস্ব দেওয়া বন্ধ করে দেন তিনি। রাজা দেবরাজ তখন কলিঙ্গের অধিপতি। বিদ্রোহী রাজাকে দমন করবার জন্য, নিজের বাহিনীর এক সেনাপতি কৃষ্ণদাস মহাপাত্রকে দায়িত্ব দিয়ে তুর্কায় পাঠিয়ে দেন। এক দিন, দু‘দিন, তিন দিন কেটে যায়, প্রবল যুদ্ধ করেও তেলেঙ্গীরাজাকে হারাতে পারছেন না কৃষ্ণদাস। রহস্য ভেদ হল রাজপুরোহিতের মুখ থেকে শুনে। রাজবাড়িতে আছেন কুলদেবী ভাগ্যেশ্বরী। তাঁর কৃপা না হলে, যুদ্ধজয় সুদূর পরাহত। রাতভর দেবীর আরাধনা করলেন কৃষ্ণদাস। মন্দির থেকে দেবীর খড়্গ সংগ্রহ করলেন। পরদিন যুদ্ধজয় হল সহজেই। বাহিনী নিয়ে ফিরে এলেন পুরী। ভরা দরবারে দেবরাজের পায়ের কাছে প্রণামী নামিয়ে দিলেন সেনাপতি। ঢাকনা তুলতে নৈবেদ্য প্রকট হল— বিদ্রোহী রাজার রক্তমাখা কাটা মুন্ড। দরবার ফেটে পড়ল উল্লাসে। কৃষ্ণদাসকে উপযুক্ত পুরস্কারই দিয়েছিলেন পুরীরাজ। তুর্কাচৌর পরগণার জমিদারী সনন্দ দিয়ে খণ্ডরূই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তাঁকে। সেনাপতি থেকে রাজা হয়ে গিয়েছিলেন কৃষ্ণদাস। গজেন্দ্র বংশের সন্তান তিনি, নতুন পদবি নিলেন— সিংহ গজেন্দ্র মহাপাত্র। মেদিনীপুর জেলায় নতুন এক রাজবংশের পত্তন হল সেদিন থেকে। ষোড়শ শতকের প্রথম দিকের ঘটনা এটি। কৃষ্ণদাসের কয়েক পুরুষ পরের জমিদার ছিলেন লালবিহারী সিংহগজেন্দ্র মহাপাত্র। তাঁর প্রপৌত্র গঙ্গানারায়ণের পুত্র পঞ্চানন সিপাহী বিদ্রোহের সময় ইংরেজ শক্তিকে বিশেষ সাহায্য করেছিলেন। সেই হিসাবে, ষোড়শ শতকের সাথে কৃষ্ণদাসের হিসাবটি সামঞ্জস্য পূর্ণ। খণ্ডরূই রাজবাড়িতে তেলেঙ্গী রাজার ভাগ্যেশ্বরী দেবীর পূজা বহাল রেখেছিলেন কৃষ্ণদাস। দেবী আজও পূজিত হন। পরে পরে একটি শিবমন্দির এবং একটি দূর্গা দালানও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল এই পরিবারে। কিন্তু চৈতন্য দেবের গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রভাব শুরু হয়েছে তখন। এই পরিবারেও কৃষ্ণ আরাধনার সূচনা করা হয়। ‘ রাধাবল্লভ ‘ নামে রাধা–কৃষ্ণের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয় নতুন করে। রাধাবল্লভের জন্য মন্দিরটি গড়া হয়েছিল শ‘ দুই বছর পরে। পঞ্চাননের পিতা গঙ্গানারায়ণ কিংবা পিতামহ যশোদানন্দনের সময়ে নির্মিত হয়ে থাকবে মন্দিরটি। বিশাল আকারের এই মন্দির চারটি সৌধের গুচ্ছ। একেবারে পিছনে একটি চালামন্দির, আট–চালা রীতির। এটিতেই দেবতার আসন, গর্ভগৃহে। গর্ভগৃহের সামনে আরও একটি চার–চালা মন্দির, সেটি জগমোহন। এই দুটি সৌধের পরিমাপ— দৈর্ঘ্য সাড়ে ৩২ ফুট, প্রস্থ সওয়া ২৬ ফুট। এই দুইয়ের মাঝখানে ২ ফুট বিস্তারের একটি অন্তরাল। একটি নাটমন্দির ছিল জগমোহনের সামনে। এই সৌধের চিহ্নটুকুও আজ মুছে যেতে বসেছে যেন। তার আকার আরো বিশাল। পরিমাপ— দৈর্ঘ্য সাড়ে ৩৭ ফুট, প্রস্থ সওয়া ১৯ ফুট। তিনটিরই মাথার অংশ সম্পূর্ণ বিনষ্ট। উচ্চতা মাপা যায় না। তবে পুরাবিদ তারাপদ সাঁতরা বলে গিয়েছেন— পিছনের সৌধ দুটির উচ্চতা ছিল ২৩ ফুট, নাটমন্দির ছিল ২০ ফুট উঁচু। মন্দিরের তিন দিক জুড়ে তিন খিলানের দ্বারপথ সহ টানা অলিন্দ ছিল। পশ্চিমের অংশটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত। থামের চিহ্নগুলি দেখা যায় কেবল। জীর্ণ দশা সিলিংগুলিরও। গর্ভগৃহে দুটি পাশখিলানের মাথায় আটটি অর্ধখিলান, সেগুলির মাথায় গম্বুজ স্থাপিত। জগমোহনে চার দেওয়ালে চারটি অর্ধখিলান। টানা–খিলান হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণের অলিন্দে। অলংকরণের প্রায় কিছুই আর অবশিষ্ট নাই এই মন্দিরে। তারাপদ সাঁতরার বিবরণে পাওয়া যায়, পাদপীঠের উপরের অংশ, স্তম্ভগুলির নিচের অংশেও টেরাকোটা ফলক ছিল একসময়। ফলকের মোটিফ— ‘শিকার–দৃশ্য, মিথুন–মূর্তি, নৃত্যরত নটী প্রভৃতি মূর্তি ‘। সেসকলের অধিকাংশই বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে। কেবল উত্তরের অলিন্দের দেওয়ালে কয়েকটি জীর্ণ মূর্তি টিকে আছে কোনও রকমে। দক্ষিণের অলিন্দটি বর্তমানে সম্পূর্ণ অগম্য।  তবে, সেবাইতপরিবারথেকেজানাগিয়েছে, তারদেওয়ালেওটেরাকোটাঅলংকরণছিল। রাধাবল্লভেরএইমন্দিরবহুকালপরিত্যক্ত।পরিত্যক্তহয়েছেপিছনেরবিশালদুর্গাদালানটিও।কুন্ডপুস্করিণীরচারপাড়েছিলপৃথকচারটিবাঁধানোঘাট— রাধাবল্লভ, ভাগ্যেশ্বরী, দূর্গাআরশিবচারদেবতারজন্য।চারটিঘাটেরকঙ্কালগুলিকোনওরকমেটিকেআছেকিছুকিছু।জমিদারীউচ্ছেদআরগতসাতদশকেররাজনৈতিকডামাডোলএইমহাপতনেরকুশীলব। সাক্ষাৎকার : ২০১০সালে– সর্বশ্রীদিলীপসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র, ইন্দ্রজিৎসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র— মেদিনীপুরশহর।সুজিতসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র, গৌতমসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র, সত্যেন্দ্রনাথদাসগুপ্ত— খণ্ডরুইগড়। ২০১৮সালে— শ্রীশুভজিৎসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র— খণ্ডরুইগড়ওমেদিনীপুরশহর। Jirna Mandirer Jpurnal Radhavallabh Temple, Khandruigarh (Dantan– 2) Chinmoy Das The place mentioned in the Ain-i-Akbari as ‘Tarkol Mahal’ […]

Read More

পঞ্চানন শিব Panchanan Shib

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার অধীনে সোনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েত এলাকায় কোনাখালী বাজারের কাছে অতি প্রাচীন একটি শিব মন্দির আছে। পশ্চিমমুখি আটচালা এই শিব মন্দিরটি ১৭৭২ / ৭৩ সালে তৈরি হয়েছিল। একসময় পোড়ামাটির ফলকে যে সুন্দর আঙ্গিকে মন্দিরটি কারুকার্যময় হয়ে উঠেছিল , বর্তমানে রং করার ফলে তার গরিমা অনেকটাই নষ্ট হয়েছে। বিশেষত পোড়ামাটি ফলক […]

Read More

নীলকন্ঠ শিব Nilkantha Shib

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার সাহাচক গ্রামে একটি আটচালা শিব মন্দির দেখতে পাওয়া যায়। পশ্চিমমুখী মন্দিরটি বর্তমানে ( ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সম্পূর্ণভাবে সংস্কার করা হয়েছে। নতুন করে রং করা হয়েছে। তারাপদ সাঁতরা লিখিত গ্রন্থে একটি প্রতিষ্ঠা লিপির কথা বলা হয়েছে। সেটি ছিল –“শ্রী শ্রী নীলকন্ঠ শিব ঠাকুর / সাং শাহাচক / শকাব্দা ১৮১০ সন ১২৯৫ সাল […]

Read More

বাণেশ্বর মন্দির Baneswar Temple

পশ্চিম মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ঘাটাল রাস্তায় দাসপুর থানার মহাকালপোতা গ্রামে যে আটচালা মন্দিরটি আছে, তা একটি উল্লেখযোগ্য পুরাকীর্তি। বানেশ্বর মন্দির নামে খ্যাত এই শিব মন্দিরটি ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয়েছিল। মন্দিরটি আটচালা এবং পশ্চিমমুখী। শ্রী তারাপদ সাঁতরা লিখিত পুরা কীর্তি সমীক্ষা মেদিনীপুর গ্রন্থে এর প্রতিষ্ঠা লিপির একটি পাঠ দেওয়া আছে। লিপিটি নিম্নরূপ- ” শ্রী শ্রী সিব। সন১২।২৬সাল। […]

Read More

হরিপাল শিব মন্দির Haripal Shiv Temple

হুগলি জেলার হরিপাল থানার মধ্যে রায় পাড়াতে সর্ব প্রাচীন যে মন্দিরটি আছে সেটি হল ১৬৫৪ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত রাধাগোবিন্দ মন্দির। এই মন্দির এবং দুর্গা দালান সংলগ্ন “সাতবাড়ি রায়বংশীয় শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ জিউ” প্রবেশ তোরণের সামনে  একটি অতি প্রাচীন আটচালা শিব মন্দির  রয়েছে।  অনুমান এই মন্দিরটি  সপ্তদশ শতকে নির্মিত হয়েছিল। এটি ১৭৫৯ সালে সংস্কার করা হয়্। […]

Read More

নাথ পরিবারের শিব মন্দির Shiv Temple of Nath Family

পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি এক ব্লকে আমাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ বাজার পাড়ায় নাথ পরিবার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আটচালা শিব মন্দির টি অবস্থিত। অষ্টাদশ শতকের নির্মিত মন্দিরটি আটচালা শৈলীর একটি স্থাপত্য। পূর্বমুখী মন্দিরটি দৈর্ঘ্যে ১০ ফুট প্রস্থে ১০ ফুট এবং উচ্চতায় ২০ ফুট। মন্দিরটি জীর্ণ হলেও এখনো প্রচুর টেরাকোটা ফলক বর্তমান। মন্দিরটি সংরক্ষণের জন্য পারিবারিক উদ্যোগ প্রশংসনীয়। […]

Read More

আমাদপুর নন্দীদের শিবমন্দির Amaqpur Nandy Family Shiv Temple

পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি এক ব্লকে আমাদ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ নন্দী পাড়ায় নন্দী পরিবার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আটচালা শিব মন্দির টি অবস্থিত। ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরটি তে প্রবেশ পথের খিলানের ওপর প্রচুর সুসজ্জিত টেরাকোটা ফলক ছিল। মন্দিরের বিগ্রহ শিব বর্তমানেও নিত্য পূজিত হন। মন্দিরটি এখন ধ্বংসাবশেষে পরিণত হতে চলেছে। এর টেরাকোটা সজ্জার বিবরণ যজ্ঞেশ্বর […]

Read More

বড় কালিতলা শিব মন্দির পরিত্যক্ত Bara Kalitala Shiv Temple ( abondoned)

পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি এক ব্লকে আমাদ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ বড় কালীতলা পাড়ায় আটচালা শিব মন্দিরটি অবস্থিত। এই অঞ্চলে প্রসিদ্ধ মন্দির বড় মা কালী। এই মন্দিরের পাশে রাস্তার ওপর একটি আটচালা শিব মন্দির আছে। বর্তমানে মন্দিরটি জীর্ণ এবং পরিত্যক্ত। এত সত্বেও মন্দিরের ভিত্তি লাখোয়া অংশগুলিতে বেশ কিছু টেরাকোটা ফলক রয়েছে। সমাজ চিত্র, পৌরাণিক কাহিনী […]

Read More

বন্দোপাধ্যায় পরিবারের মদনগোপাল মন্দির Madangopal Temple of Bandopadhya Family

পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি এক ব্লকে আমাদ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ হরিসভা পাড়ায় মদন গোপাল মন্দিরটি অবস্থিত। লাগোয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরটি অপরূপ টেরাকোটা কাজে সমৃদ্ধ। উঁচু  ভিত্তি ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত আটচালা মন্দিরটি দক্ষিণ মুখী এবং ত্রিখিলান বারান্দা যুক্ত একটি স্থাপত্য। প্রতিষ্ঠা লিপি অনুসারে দেখা যায় যে মন্দিরটি ১১৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অর্থাৎ ১৭৩০ […]

Read More

শ্যামচাঁদ মন্দির Shyamchand Temple

নদীয়া জেলার শান্তিপুরে শ্যামচাঁদ পাড়ায় অবস্থিত আটচালা মন্দিরটি  স্থাপত্যের এক অপরূপ নিদর্শন। লিপি অনুসারে ১৬৪৮ শক অর্থাৎ ১৭২৬ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটি  তৈরি হয়েছিল। মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন স্থানীয় রামগোপাল খাঁ চৌধুরী। কথিত আছে, মন্দির নির্মাণে দু লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। মন্দিরের বিগ্রহ কৃষ্ণমূর্তি কষ্টিপাথরের তৈরি। প্রথম অবস্থায় রাধার মূর্তিতে ছিল সোনার। মন্দিরের সামনে খুব বড় একটি নাটমন্দির […]

Read More

জলেশ্বর মন্দির Jaleswar Temple

প্রখ্যাত বৈষ্ণব তীর্থ শান্তিপুর অত্যন্ত পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ স্থান। এখানে তিলি পাড়ায় জলেশ্বর মন্দিরটি পুরাকীর্তর  এক অনন্য নিদর্শন। প্রতিষ্ঠা লিপির অভাবে পারিপার্শ্বিকতার বিচারে গুণীজনের মতে আঠারো শতকের প্রথম দিকে নদীয়ার রাজা রুদ্র রায়ের ছোট পুত্র রামকৃষ্ণের মাতা দেবী এটি প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় শিবলিঙ্গটির নাম ছিল রুদ্রকান্ত। কথিত আছে একবার অনাবৃষ্টির সময় বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী বৃষ্টি […]

Read More

নামো পাড়া চারাচালা শিব মন্দির Namo para charchala Shib Temple

বীরভূম জেলার অন্যতম বর্ধিষ্ণুগ্রাম দুবরাজপুরে যে মন্দির সংস্কৃতির প্রচলন হয়েছিল তার মধ্যে নমোপাড়ায় নায়েক পরিবাররা যেখানে বসবাস করেন , সেখানে তিনটি মন্দিরের একটি গুচ্ছ রয়েছে। এক পাশে একটি চার চালা মন্দির এবং অন্যপাশে পঞ্চরথ ঘরানার একটি শিখর মন্দিরের মাঝে নবরত্ন মন্দিরটি অবস্থান করছে।   Among the temple culture that was prevalent in Dubrajpur, one of […]

Read More

দক্ষিনা কালী মন্দির Dakshina Kali Temple

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর থানার অন্তর্গত মালঞ্চ গ্রামে একটি কালীমন্দির আছে। দক্ষিণ দিকে মুখ করা আটচালা এই মন্দিরটির বিগ্রহ দক্ষিণাকালী। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা লিপি থেকে দেখা যায় এটি ১৬৩৪ শকাব্দ অর্থাৎ ১৭১২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ৺গোবিন্দরাম রায় এবং তার পরিবার এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরটিতে সংস্কার হয়েছে এবং বেশ কিছু টেরাকোটা মূর্তি এখনো দেখতে পাওয়া যায়। […]

Read More

Jhikira Sitanath Temle

হাওড়া জেলার আমতা থানার অধীনে ঝিখিরা গ্রামে কাঁড়ার পাড়ায় একটি ঐতিহ্যশালী আটচালা মন্দির আছে। দক্ষিণমুখী এই মন্দিরের বিগ্রহ হিসাবে সীতানাথ (শালগ্রাম ) পূজিত হন। মন্দিরটি তে প্রতিষ্ঠাতা মিস্ত্রির নাম উল্লেখ না থাকলেও পারিপার্শ্বিক প্রমাণাদির মধ্যে দিয়ে মনে হয় ঝিখিরার অপর একটি মন্দির দামোদরজীউ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা শিল্পী শুকদেব মিস্ত্রি এটি তৈরি করেছিলেন। প্রতিষ্ঠা লিপি দেখে বোঝা […]

Read More

ঘুরিষা রঘুনাথজী মন্দির Ghurisha Raghunathji temple

বীরভূমের ইলামবাজার থানার অন্তর্গত ঘুরিষা বর্ধিষ্ণু একটি গ্রাম। এই গ্রামে রঘুনাথের জির চারচালা মন্দিরটি এক অন্যতম প্রাচীন মন্দির ১৬৩৩ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটি তৈরি হয়। কথিত আছে বর্গী হামলার সময় মূল রঘুনার্জির বিগ্রহটি চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীকালে একটি শিবলিঙ্গ এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মন্দিরের চারদিকেই টেরাকোটা অলংকৃত ফলক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।। অন্যতম কিছু ফলক যেমন নব নারীকুঞ্জর এখানে কৃষ্ণের […]

Read More

দুটি আট চালা শিব মন্দির Two Aat Chalala Shib Temple

নানুর থানার অধিনে বালিগুনি গ্রামে দুটি আটচালা শিব মন্দির আছে। দক্ষিণমুখী এই মন্দির দুটি তে আগে প্রচুর টেরাকেটা অলংকৃত ফলক ছিল। রাম রাবনের যুদ্ধ , বাহন গড়ুরের পিঠে চড়ে বিষ্ণুর যুদ্ধ দৃশ্য ইত্যাদি। বর্তমানে সংস্কারের ফলে সবকিছুর অবলুপ্তি ঘটেছে।১৪০৪ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে সর্ব শেষ  সংস্কার হয়। নতুন রঙ করার ফলে টেরাকেটা সমৃদ্ধ মন্দিরটি তার গরিমা […]

Read More

শ্যামসুন্দর জীউ মন্দির Shyamsundar Jiu Temple

হাওড়া জেলার আমতা থানার ঝিখিরা গ্রামে অনেকগুলি টেরাকোটা ফলক সম্বলিত ইটের মন্দির আছে। মধ্যপাড়ায় শ্যামসুন্দরজীউ মন্দিরটি তার মধ্যে অন্যতম। দক্ষীনমুখী আটচালা মন্দিরটিতে বাড়ান্দার উপর ত্রিখিলানযুক্ত সম্মুখভাগে টেরাকোটা ফলকগুলি বেশ সুন্দর। There are many brick temples with terracotta panels in Jhikhira village of Amta police station in Howrah district. The Shyamsundarjiu temple in Madhyapara is one […]

Read More

মদনগোপালজীউ মন্দির Madangopal Jiu Temple

হাওড়া জেলার বাগনান থানার মেল্লক গ্রামে অত্যন্ত প্রাচীন এক টেরাকোটার মন্দির রয়েছে। জমিদার মুকুন্দ প্রসাদ রায়চৌধুরী এই গ্রামে ১৬৫১ খ্রিস্টাব্দে, মন্দিরটি তৈরি করেন। মন্দিরটি আটচালা এবং পশ্চিমবঙ্গের যে বৃহৎ মন্দির গুলি আছে তার মধ্যে অন্যতম।শ্রদ্ধেয় তারাপদ সাঁতরা মহাশয়ের হাওড়া জেলার পুরাকীর্তি বইয়ে এই মন্দির সম্বন্ধে বিস্তারিত বলা রয়েছে। যে টেরাকোটা ফলক গুলি এখানে ছিল তার […]

Read More

বৃন্দাবনচন্দ্র মন্দির Brindabanchandra Temple

হুগলি জেলার বলাগর ব্লকে অবস্থিত এখানকার বিখ্যাত এক গ্রাম গুপ্তিপাড়া। মুকুন্দরাম চক্রবর্তী বিরোচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যে এই স্থানের উল্লেখ রয়েছে। একসময় সংস্কৃত চর্চার পিঠস্থান ছিল এই গুপ্তিপাড়া। চারদিকে এক বিশাল প্রাচীর ঘেরা জায়গায় যে মন্দিরগুলি অবস্থান করছে তার মধ্যে অন্যতম বৃন্দাবন চন্দ্র মন্দিরটি।গুপ্তিপাড়ার মঠ তারকেশ্বরের শৈব মঠের অধীন। মঠটি দশনামি শৈব সম্প্রদায় পরিচালনা করলেও এখানকার দেবতা […]

Read More

দামোদরজিউ মন্দির Damodarjiu Temple

হাওড়া জেলার আমতা থানার রাউতারা গ্রামে সরকার পাড়ায় দামোদর জীউ মন্দিরটি অবস্থিত। মন্দিরটি দক্ষিণ মুখী। ১২ চালা মন্দিরটি রায় পরিবারের পারিবারিক স্থাপত্য। মন্দিরটি কয়েকবার সংস্কার হয়েছে।মন্দির প্রাঙ্গণের পাশে একটি আটচালা তুলসী মঞ্চ আছে। বিভিন্ন সময় সংস্কারের ফলে টেরাকোটা ফলক গুলি রং করার সময় আভিজাত্য হারিয়েছে। The Damodar Jeeyu Temple is located in Sarkar Para, Rautara […]

Read More

Sitaramjiu Temple

হাওড়া জেলা আমতা থানায় রাউতারা গ্রাম । এখানে ঘোষপাড়ায় উল্লেখযোগ্য সীতারাম জীউ মন্দির। মন্দিরটি দক্ষিণ মুখী । বারান্দা যুক্ত আটচালা মন্দিরটি টেরাকোটা কারুকার্যে সমৃদ্ধ। টেরাকোটার কাজগুলি উচ্চাঙ্গের হলেও রং করার ফলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। Rautara village in Amta police station of Howrah district. Here in Ghoshpara, there is a notable Sitaram Jeeu Temple. The temple […]

Read More

গজলক্ষী মন্দির Gajalaxmi Temple

হাওড়া জেলার আমতা থানায় অমরাগড়ি গ্রামে অন্যতম প্রাচীন টেরাকোটা অলংকরণ সমৃদ্ধ যে স্থাপত্যটি রয়েছে সেটি হল গজলক্ষী মন্দির। আটচালা মন্দিরটি বর্তমানে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। খিলানের ওপরে একসময় পদ্ম এবং কল্পলতা উৎকীর্ণ ছিল। এটি স্থানীয় রায় পরিবারের পারিবারিক মন্দির।  The Gajalaxmii Temple, situated in the quaint village of Amargarhi within the jurisdiction of Amta police station in […]

Read More

বাশুলি মন্দির Basuli TEmple

বীরভূমে নানুর থানার মধ্যে চন্ডীদাসের জন্ম ভিটা। আমরা ইতিহাসে অনেক চন্ডীদাসের সন্ধান পাই । পন্ডিতেরা একমত হয়েছেন যে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন রচয়িতা বড়ু চন্ডীদাস বাঁকুড়া জেলাতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আবার দ্বিজ চন্ডীদাস এককালে নানুরে বসবাস করেছিলেন এ বিষয়ে পণ্ডিতরা একমত হয়েছেন। এই চন্ডীদাসের ভিটা নিয়ে এবং কোন চন্ডীদাস এখানে বসবাস করতেন তা নিয়ে প্রচুর লোক কথা এবং বিতর্ক […]

Read More

দধিমাধব Dadhimadhab

অমরাগড়ি গ্রামে একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য দধিমাধবের মন্দির। মন্দিরটি হাওড়া জেলায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ মন্দির বলে বিবেচ্য। হাওড়া জেলা এবং হুগলি জেলায় একসময় বড় দ্বারপালের মূর্তি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এখানেও তার নিদর্শন ছিল। মন্দিরটি দক্ষিণমুখী আটচালা মন্দির। টেরাকোটা কাজে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। মন্দিরে একটি প্রতিষ্ঠা লিপি আছে যদিও তা ক্ষয়ে গেছে। তার লিপিটি এইরকম” শুভমস্তু শকাব্দা ১৬৮৬ …..বৈশাখ […]

Read More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চালা Chala

বাড়ির ছাদ বা চাল এই রীতিটি মন্দির স্থাপত্যেও গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রাথমিক অবস্থায় কুটিরের চাল এবং মন্দিরের চাল বা ছাদ একই স্থাপত্য রীতি ধরে এগিয়ে চলেছিল। ক্রমশ এই চালা রীতির চর্চা কুটির স্থাপত্য থেকে সরে গিয়ে মন্দির স্থাপত্যে এক বিশিষ্ট রূপ প্রদান করেছিল। চারচালা থেকে আটচালা, আটচালা থেকে বারো চালা এইভাবে চালার সংখ্যা বাড়িয়ে মন্দিরগুলো এক অনিন্দ্যময় রূপ ধারণ করছিল।

The traditional Bengali house roof, or chala, design was seamlessly integrated into temple architecture. Initially, the roofs of cottages and temples shared a common architectural pattern. Over time, however, the Chala style evolved and diverged from its domestic origins, taking on a distinct and prominent form in temple architecture.
As the design progressed, the number of chalas increased from 4 to 8, and eventually to 12, transforming temples into majestic structures of impeccable design. This gradual refinement elevated the Chala style to new heights, distinguishing temple architecture from its humble domestic roots.

দাসপুর নাড়াজোল মৃত্যুঞ্জয় শিবমন্দির Daspur Narajole Mrityunjoy Shiv Temple

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানা অঞ্চলে নাড়াজোল রাজবাড়িতে একটি শিব মন্দির দেখতে পাওয়া যায়। আটচালা এই মন্দিরটি মৃত্যুঞ্জয় শিবের মন্দির নামে খ্যাত । পশ্চিমমুখী এই মন্দিরটিতে এক প্রতিষ্ঠা লিপি অনুসারে জানা যায় যে এটি ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরটিতে বেশ কিছু টেরাকোটা অলংকরণ আছে। A Shiva temple can be found in Narajol Rajbari in the […]

Read More

ঘাটাল সিংহবাহিনী মন্দির Ghatal Singhabahini Temple

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল পৌরসভার অন্তর্গত কোন্নগর গ্রামে কর্মকার পাড়ায় অতি প্রাচীন একটি মন্দির রয়েছে। সিংহ বাহিনীর মন্দির নামে খ্যাত এই মন্দিরটি গঠন বৈশিষ্ট্য একটু অন্যরকম। একটি চার চালা মন্দিরের সামনে আরেকটি চার চালা জগমোহন সংযুক্ত হয়েছে। মূল মন্দিরটি থেকে জগমোহন টি একটু খাটো। দুটি মন্দিরের শীর্ষেই একটি করে ছোট আমলক দেখতে পাওয়া যায়। মন্দিরে […]

Read More

খণ্ডরূই রাধাবল্লভ মন্দির Khandarui Radhaballav Temple

জীর্ণ মন্দিরের জার্নাল– রাধাবল্লভ মন্দির, খণ্ডরূইগড় (দাঁতন— ২) চিন্ময় দাশ   আইন–ই–আকবরী‘তে যাকে ‘তরকোল মহাল‘ নামে উল্লেখ পাই, সেটি হল তুর্কাচৌর পরগণা। মেদিনীপুর জেলার দক্ষিণের এলাকায় অবস্থান সেটির। ষোড়শ শতকের একেবারে প্রথম দিকের ঘটনা। দক্ষিণ দেশের তেলেঙ্গী জাতীয় এক রাজা সেখানে রাজত্ব করতেন। রাজধানী ছিল খণ্ডরূইগড়। করদ রাজা হয়েও, একবার কলিঙ্গরাজকে রাজস্ব দেওয়া বন্ধ করে দেন তিনি। রাজা দেবরাজ তখন কলিঙ্গের অধিপতি। বিদ্রোহী রাজাকে দমন করবার জন্য, নিজের বাহিনীর এক সেনাপতি কৃষ্ণদাস মহাপাত্রকে দায়িত্ব দিয়ে তুর্কায় পাঠিয়ে দেন। এক দিন, দু‘দিন, তিন দিন কেটে যায়, প্রবল যুদ্ধ করেও তেলেঙ্গীরাজাকে হারাতে পারছেন না কৃষ্ণদাস। রহস্য ভেদ হল রাজপুরোহিতের মুখ থেকে শুনে। রাজবাড়িতে আছেন কুলদেবী ভাগ্যেশ্বরী। তাঁর কৃপা না হলে, যুদ্ধজয় সুদূর পরাহত। রাতভর দেবীর আরাধনা করলেন কৃষ্ণদাস। মন্দির থেকে দেবীর খড়্গ সংগ্রহ করলেন। পরদিন যুদ্ধজয় হল সহজেই। বাহিনী নিয়ে ফিরে এলেন পুরী। ভরা দরবারে দেবরাজের পায়ের কাছে প্রণামী নামিয়ে দিলেন সেনাপতি। ঢাকনা তুলতে নৈবেদ্য প্রকট হল— বিদ্রোহী রাজার রক্তমাখা কাটা মুন্ড। দরবার ফেটে পড়ল উল্লাসে। কৃষ্ণদাসকে উপযুক্ত পুরস্কারই দিয়েছিলেন পুরীরাজ। তুর্কাচৌর পরগণার জমিদারী সনন্দ দিয়ে খণ্ডরূই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তাঁকে। সেনাপতি থেকে রাজা হয়ে গিয়েছিলেন কৃষ্ণদাস। গজেন্দ্র বংশের সন্তান তিনি, নতুন পদবি নিলেন— সিংহ গজেন্দ্র মহাপাত্র। মেদিনীপুর জেলায় নতুন এক রাজবংশের পত্তন হল সেদিন থেকে। ষোড়শ শতকের প্রথম দিকের ঘটনা এটি। কৃষ্ণদাসের কয়েক পুরুষ পরের জমিদার ছিলেন লালবিহারী সিংহগজেন্দ্র মহাপাত্র। তাঁর প্রপৌত্র গঙ্গানারায়ণের পুত্র পঞ্চানন সিপাহী বিদ্রোহের সময় ইংরেজ শক্তিকে বিশেষ সাহায্য করেছিলেন। সেই হিসাবে, ষোড়শ শতকের সাথে কৃষ্ণদাসের হিসাবটি সামঞ্জস্য পূর্ণ। খণ্ডরূই রাজবাড়িতে তেলেঙ্গী রাজার ভাগ্যেশ্বরী দেবীর পূজা বহাল রেখেছিলেন কৃষ্ণদাস। দেবী আজও পূজিত হন। পরে পরে একটি শিবমন্দির এবং একটি দূর্গা দালানও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল এই পরিবারে। কিন্তু চৈতন্য দেবের গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রভাব শুরু হয়েছে তখন। এই পরিবারেও কৃষ্ণ আরাধনার সূচনা করা হয়। ‘ রাধাবল্লভ ‘ নামে রাধা–কৃষ্ণের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয় নতুন করে। রাধাবল্লভের জন্য মন্দিরটি গড়া হয়েছিল শ‘ দুই বছর পরে। পঞ্চাননের পিতা গঙ্গানারায়ণ কিংবা পিতামহ যশোদানন্দনের সময়ে নির্মিত হয়ে থাকবে মন্দিরটি। বিশাল আকারের এই মন্দির চারটি সৌধের গুচ্ছ। একেবারে পিছনে একটি চালামন্দির, আট–চালা রীতির। এটিতেই দেবতার আসন, গর্ভগৃহে। গর্ভগৃহের সামনে আরও একটি চার–চালা মন্দির, সেটি জগমোহন। এই দুটি সৌধের পরিমাপ— দৈর্ঘ্য সাড়ে ৩২ ফুট, প্রস্থ সওয়া ২৬ ফুট। এই দুইয়ের মাঝখানে ২ ফুট বিস্তারের একটি অন্তরাল। একটি নাটমন্দির ছিল জগমোহনের সামনে। এই সৌধের চিহ্নটুকুও আজ মুছে যেতে বসেছে যেন। তার আকার আরো বিশাল। পরিমাপ— দৈর্ঘ্য সাড়ে ৩৭ ফুট, প্রস্থ সওয়া ১৯ ফুট। তিনটিরই মাথার অংশ সম্পূর্ণ বিনষ্ট। উচ্চতা মাপা যায় না। তবে পুরাবিদ তারাপদ সাঁতরা বলে গিয়েছেন— পিছনের সৌধ দুটির উচ্চতা ছিল ২৩ ফুট, নাটমন্দির ছিল ২০ ফুট উঁচু। মন্দিরের তিন দিক জুড়ে তিন খিলানের দ্বারপথ সহ টানা অলিন্দ ছিল। পশ্চিমের অংশটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত। থামের চিহ্নগুলি দেখা যায় কেবল। জীর্ণ দশা সিলিংগুলিরও। গর্ভগৃহে দুটি পাশখিলানের মাথায় আটটি অর্ধখিলান, সেগুলির মাথায় গম্বুজ স্থাপিত। জগমোহনে চার দেওয়ালে চারটি অর্ধখিলান। টানা–খিলান হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণের অলিন্দে। অলংকরণের প্রায় কিছুই আর অবশিষ্ট নাই এই মন্দিরে। তারাপদ সাঁতরার বিবরণে পাওয়া যায়, পাদপীঠের উপরের অংশ, স্তম্ভগুলির নিচের অংশেও টেরাকোটা ফলক ছিল একসময়। ফলকের মোটিফ— ‘শিকার–দৃশ্য, মিথুন–মূর্তি, নৃত্যরত নটী প্রভৃতি মূর্তি ‘। সেসকলের অধিকাংশই বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে। কেবল উত্তরের অলিন্দের দেওয়ালে কয়েকটি জীর্ণ মূর্তি টিকে আছে কোনও রকমে। দক্ষিণের অলিন্দটি বর্তমানে সম্পূর্ণ অগম্য।  তবে, সেবাইতপরিবারথেকেজানাগিয়েছে, তারদেওয়ালেওটেরাকোটাঅলংকরণছিল। রাধাবল্লভেরএইমন্দিরবহুকালপরিত্যক্ত।পরিত্যক্তহয়েছেপিছনেরবিশালদুর্গাদালানটিও।কুন্ডপুস্করিণীরচারপাড়েছিলপৃথকচারটিবাঁধানোঘাট— রাধাবল্লভ, ভাগ্যেশ্বরী, দূর্গাআরশিবচারদেবতারজন্য।চারটিঘাটেরকঙ্কালগুলিকোনওরকমেটিকেআছেকিছুকিছু।জমিদারীউচ্ছেদআরগতসাতদশকেররাজনৈতিকডামাডোলএইমহাপতনেরকুশীলব। সাক্ষাৎকার : ২০১০সালে– সর্বশ্রীদিলীপসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র, ইন্দ্রজিৎসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র— মেদিনীপুরশহর।সুজিতসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র, গৌতমসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র, সত্যেন্দ্রনাথদাসগুপ্ত— খণ্ডরুইগড়। ২০১৮সালে— শ্রীশুভজিৎসিংহগজেন্দ্রমহাপাত্র— খণ্ডরুইগড়ওমেদিনীপুরশহর। Jirna Mandirer Jpurnal Radhavallabh Temple, Khandruigarh (Dantan– 2) Chinmoy Das The place mentioned in the Ain-i-Akbari as ‘Tarkol Mahal’ […]

Read More

পঞ্চানন শিব Panchanan Shib

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার অধীনে সোনাখালি গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েত এলাকায় কোনাখালী বাজারের কাছে অতি প্রাচীন একটি শিব মন্দির আছে। পশ্চিমমুখি আটচালা এই শিব মন্দিরটি ১৭৭২ / ৭৩ সালে তৈরি হয়েছিল। একসময় পোড়ামাটির ফলকে যে সুন্দর আঙ্গিকে মন্দিরটি কারুকার্যময় হয়ে উঠেছিল , বর্তমানে রং করার ফলে তার গরিমা অনেকটাই নষ্ট হয়েছে। বিশেষত পোড়ামাটি ফলক […]

Read More

নীলকন্ঠ শিব Nilkantha Shib

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার সাহাচক গ্রামে একটি আটচালা শিব মন্দির দেখতে পাওয়া যায়। পশ্চিমমুখী মন্দিরটি বর্তমানে ( ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সম্পূর্ণভাবে সংস্কার করা হয়েছে। নতুন করে রং করা হয়েছে। তারাপদ সাঁতরা লিখিত গ্রন্থে একটি প্রতিষ্ঠা লিপির কথা বলা হয়েছে। সেটি ছিল –“শ্রী শ্রী নীলকন্ঠ শিব ঠাকুর / সাং শাহাচক / শকাব্দা ১৮১০ সন ১২৯৫ সাল […]

Read More

বাণেশ্বর মন্দির Baneswar Temple

পশ্চিম মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ঘাটাল রাস্তায় দাসপুর থানার মহাকালপোতা গ্রামে যে আটচালা মন্দিরটি আছে, তা একটি উল্লেখযোগ্য পুরাকীর্তি। বানেশ্বর মন্দির নামে খ্যাত এই শিব মন্দিরটি ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয়েছিল। মন্দিরটি আটচালা এবং পশ্চিমমুখী। শ্রী তারাপদ সাঁতরা লিখিত পুরা কীর্তি সমীক্ষা মেদিনীপুর গ্রন্থে এর প্রতিষ্ঠা লিপির একটি পাঠ দেওয়া আছে। লিপিটি নিম্নরূপ- ” শ্রী শ্রী সিব। সন১২।২৬সাল। […]

Read More

হরিপাল শিব মন্দির Haripal Shiv Temple

হুগলি জেলার হরিপাল থানার মধ্যে রায় পাড়াতে সর্ব প্রাচীন যে মন্দিরটি আছে সেটি হল ১৬৫৪ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত রাধাগোবিন্দ মন্দির। এই মন্দির এবং দুর্গা দালান সংলগ্ন “সাতবাড়ি রায়বংশীয় শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ জিউ” প্রবেশ তোরণের সামনে  একটি অতি প্রাচীন আটচালা শিব মন্দির  রয়েছে।  অনুমান এই মন্দিরটি  সপ্তদশ শতকে নির্মিত হয়েছিল। এটি ১৭৫৯ সালে সংস্কার করা হয়্। […]

Read More

নাথ পরিবারের শিব মন্দির Shiv Temple of Nath Family

পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি এক ব্লকে আমাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ বাজার পাড়ায় নাথ পরিবার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আটচালা শিব মন্দির টি অবস্থিত। অষ্টাদশ শতকের নির্মিত মন্দিরটি আটচালা শৈলীর একটি স্থাপত্য। পূর্বমুখী মন্দিরটি দৈর্ঘ্যে ১০ ফুট প্রস্থে ১০ ফুট এবং উচ্চতায় ২০ ফুট। মন্দিরটি জীর্ণ হলেও এখনো প্রচুর টেরাকোটা ফলক বর্তমান। মন্দিরটি সংরক্ষণের জন্য পারিবারিক উদ্যোগ প্রশংসনীয়। […]

Read More

আমাদপুর নন্দীদের শিবমন্দির Amaqpur Nandy Family Shiv Temple

পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি এক ব্লকে আমাদ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ নন্দী পাড়ায় নন্দী পরিবার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আটচালা শিব মন্দির টি অবস্থিত। ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরটি তে প্রবেশ পথের খিলানের ওপর প্রচুর সুসজ্জিত টেরাকোটা ফলক ছিল। মন্দিরের বিগ্রহ শিব বর্তমানেও নিত্য পূজিত হন। মন্দিরটি এখন ধ্বংসাবশেষে পরিণত হতে চলেছে। এর টেরাকোটা সজ্জার বিবরণ যজ্ঞেশ্বর […]

Read More

বড় কালিতলা শিব মন্দির পরিত্যক্ত Bara Kalitala Shiv Temple ( abondoned)

পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি এক ব্লকে আমাদ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ বড় কালীতলা পাড়ায় আটচালা শিব মন্দিরটি অবস্থিত। এই অঞ্চলে প্রসিদ্ধ মন্দির বড় মা কালী। এই মন্দিরের পাশে রাস্তার ওপর একটি আটচালা শিব মন্দির আছে। বর্তমানে মন্দিরটি জীর্ণ এবং পরিত্যক্ত। এত সত্বেও মন্দিরের ভিত্তি লাখোয়া অংশগুলিতে বেশ কিছু টেরাকোটা ফলক রয়েছে। সমাজ চিত্র, পৌরাণিক কাহিনী […]

Read More

বন্দোপাধ্যায় পরিবারের মদনগোপাল মন্দির Madangopal Temple of Bandopadhya Family

পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি এক ব্লকে আমাদ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ হরিসভা পাড়ায় মদন গোপাল মন্দিরটি অবস্থিত। লাগোয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরটি অপরূপ টেরাকোটা কাজে সমৃদ্ধ। উঁচু  ভিত্তি ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত আটচালা মন্দিরটি দক্ষিণ মুখী এবং ত্রিখিলান বারান্দা যুক্ত একটি স্থাপত্য। প্রতিষ্ঠা লিপি অনুসারে দেখা যায় যে মন্দিরটি ১১৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অর্থাৎ ১৭৩০ […]

Read More

শ্যামচাঁদ মন্দির Shyamchand Temple

নদীয়া জেলার শান্তিপুরে শ্যামচাঁদ পাড়ায় অবস্থিত আটচালা মন্দিরটি  স্থাপত্যের এক অপরূপ নিদর্শন। লিপি অনুসারে ১৬৪৮ শক অর্থাৎ ১৭২৬ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটি  তৈরি হয়েছিল। মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন স্থানীয় রামগোপাল খাঁ চৌধুরী। কথিত আছে, মন্দির নির্মাণে দু লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। মন্দিরের বিগ্রহ কৃষ্ণমূর্তি কষ্টিপাথরের তৈরি। প্রথম অবস্থায় রাধার মূর্তিতে ছিল সোনার। মন্দিরের সামনে খুব বড় একটি নাটমন্দির […]

Read More

জলেশ্বর মন্দির Jaleswar Temple

প্রখ্যাত বৈষ্ণব তীর্থ শান্তিপুর অত্যন্ত পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ স্থান। এখানে তিলি পাড়ায় জলেশ্বর মন্দিরটি পুরাকীর্তর  এক অনন্য নিদর্শন। প্রতিষ্ঠা লিপির অভাবে পারিপার্শ্বিকতার বিচারে গুণীজনের মতে আঠারো শতকের প্রথম দিকে নদীয়ার রাজা রুদ্র রায়ের ছোট পুত্র রামকৃষ্ণের মাতা দেবী এটি প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় শিবলিঙ্গটির নাম ছিল রুদ্রকান্ত। কথিত আছে একবার অনাবৃষ্টির সময় বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী বৃষ্টি […]

Read More

নামো পাড়া চারাচালা শিব মন্দির Namo para charchala Shib Temple

বীরভূম জেলার অন্যতম বর্ধিষ্ণুগ্রাম দুবরাজপুরে যে মন্দির সংস্কৃতির প্রচলন হয়েছিল তার মধ্যে নমোপাড়ায় নায়েক পরিবাররা যেখানে বসবাস করেন , সেখানে তিনটি মন্দিরের একটি গুচ্ছ রয়েছে। এক পাশে একটি চার চালা মন্দির এবং অন্যপাশে পঞ্চরথ ঘরানার একটি শিখর মন্দিরের মাঝে নবরত্ন মন্দিরটি অবস্থান করছে।   Among the temple culture that was prevalent in Dubrajpur, one of […]

Read More

দক্ষিনা কালী মন্দির Dakshina Kali Temple

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর থানার অন্তর্গত মালঞ্চ গ্রামে একটি কালীমন্দির আছে। দক্ষিণ দিকে মুখ করা আটচালা এই মন্দিরটির বিগ্রহ দক্ষিণাকালী। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা লিপি থেকে দেখা যায় এটি ১৬৩৪ শকাব্দ অর্থাৎ ১৭১২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ৺গোবিন্দরাম রায় এবং তার পরিবার এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরটিতে সংস্কার হয়েছে এবং বেশ কিছু টেরাকোটা মূর্তি এখনো দেখতে পাওয়া যায়। […]

Read More

Jhikira Sitanath Temle

হাওড়া জেলার আমতা থানার অধীনে ঝিখিরা গ্রামে কাঁড়ার পাড়ায় একটি ঐতিহ্যশালী আটচালা মন্দির আছে। দক্ষিণমুখী এই মন্দিরের বিগ্রহ হিসাবে সীতানাথ (শালগ্রাম ) পূজিত হন। মন্দিরটি তে প্রতিষ্ঠাতা মিস্ত্রির নাম উল্লেখ না থাকলেও পারিপার্শ্বিক প্রমাণাদির মধ্যে দিয়ে মনে হয় ঝিখিরার অপর একটি মন্দির দামোদরজীউ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা শিল্পী শুকদেব মিস্ত্রি এটি তৈরি করেছিলেন। প্রতিষ্ঠা লিপি দেখে বোঝা […]

Read More

ঘুরিষা রঘুনাথজী মন্দির Ghurisha Raghunathji temple

বীরভূমের ইলামবাজার থানার অন্তর্গত ঘুরিষা বর্ধিষ্ণু একটি গ্রাম। এই গ্রামে রঘুনাথের জির চারচালা মন্দিরটি এক অন্যতম প্রাচীন মন্দির ১৬৩৩ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটি তৈরি হয়। কথিত আছে বর্গী হামলার সময় মূল রঘুনার্জির বিগ্রহটি চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীকালে একটি শিবলিঙ্গ এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মন্দিরের চারদিকেই টেরাকোটা অলংকৃত ফলক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।। অন্যতম কিছু ফলক যেমন নব নারীকুঞ্জর এখানে কৃষ্ণের […]

Read More

দুটি আট চালা শিব মন্দির Two Aat Chalala Shib Temple

নানুর থানার অধিনে বালিগুনি গ্রামে দুটি আটচালা শিব মন্দির আছে। দক্ষিণমুখী এই মন্দির দুটি তে আগে প্রচুর টেরাকেটা অলংকৃত ফলক ছিল। রাম রাবনের যুদ্ধ , বাহন গড়ুরের পিঠে চড়ে বিষ্ণুর যুদ্ধ দৃশ্য ইত্যাদি। বর্তমানে সংস্কারের ফলে সবকিছুর অবলুপ্তি ঘটেছে।১৪০৪ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে সর্ব শেষ  সংস্কার হয়। নতুন রঙ করার ফলে টেরাকেটা সমৃদ্ধ মন্দিরটি তার গরিমা […]

Read More

শ্যামসুন্দর জীউ মন্দির Shyamsundar Jiu Temple

হাওড়া জেলার আমতা থানার ঝিখিরা গ্রামে অনেকগুলি টেরাকোটা ফলক সম্বলিত ইটের মন্দির আছে। মধ্যপাড়ায় শ্যামসুন্দরজীউ মন্দিরটি তার মধ্যে অন্যতম। দক্ষীনমুখী আটচালা মন্দিরটিতে বাড়ান্দার উপর ত্রিখিলানযুক্ত সম্মুখভাগে টেরাকোটা ফলকগুলি বেশ সুন্দর। There are many brick temples with terracotta panels in Jhikhira village of Amta police station in Howrah district. The Shyamsundarjiu temple in Madhyapara is one […]

Read More

মদনগোপালজীউ মন্দির Madangopal Jiu Temple

হাওড়া জেলার বাগনান থানার মেল্লক গ্রামে অত্যন্ত প্রাচীন এক টেরাকোটার মন্দির রয়েছে। জমিদার মুকুন্দ প্রসাদ রায়চৌধুরী এই গ্রামে ১৬৫১ খ্রিস্টাব্দে, মন্দিরটি তৈরি করেন। মন্দিরটি আটচালা এবং পশ্চিমবঙ্গের যে বৃহৎ মন্দির গুলি আছে তার মধ্যে অন্যতম।শ্রদ্ধেয় তারাপদ সাঁতরা মহাশয়ের হাওড়া জেলার পুরাকীর্তি বইয়ে এই মন্দির সম্বন্ধে বিস্তারিত বলা রয়েছে। যে টেরাকোটা ফলক গুলি এখানে ছিল তার […]

Read More

বৃন্দাবনচন্দ্র মন্দির Brindabanchandra Temple

হুগলি জেলার বলাগর ব্লকে অবস্থিত এখানকার বিখ্যাত এক গ্রাম গুপ্তিপাড়া। মুকুন্দরাম চক্রবর্তী বিরোচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যে এই স্থানের উল্লেখ রয়েছে। একসময় সংস্কৃত চর্চার পিঠস্থান ছিল এই গুপ্তিপাড়া। চারদিকে এক বিশাল প্রাচীর ঘেরা জায়গায় যে মন্দিরগুলি অবস্থান করছে তার মধ্যে অন্যতম বৃন্দাবন চন্দ্র মন্দিরটি।গুপ্তিপাড়ার মঠ তারকেশ্বরের শৈব মঠের অধীন। মঠটি দশনামি শৈব সম্প্রদায় পরিচালনা করলেও এখানকার দেবতা […]

Read More

দামোদরজিউ মন্দির Damodarjiu Temple

হাওড়া জেলার আমতা থানার রাউতারা গ্রামে সরকার পাড়ায় দামোদর জীউ মন্দিরটি অবস্থিত। মন্দিরটি দক্ষিণ মুখী। ১২ চালা মন্দিরটি রায় পরিবারের পারিবারিক স্থাপত্য। মন্দিরটি কয়েকবার সংস্কার হয়েছে।মন্দির প্রাঙ্গণের পাশে একটি আটচালা তুলসী মঞ্চ আছে। বিভিন্ন সময় সংস্কারের ফলে টেরাকোটা ফলক গুলি রং করার সময় আভিজাত্য হারিয়েছে। The Damodar Jeeyu Temple is located in Sarkar Para, Rautara […]

Read More

Sitaramjiu Temple

হাওড়া জেলা আমতা থানায় রাউতারা গ্রাম । এখানে ঘোষপাড়ায় উল্লেখযোগ্য সীতারাম জীউ মন্দির। মন্দিরটি দক্ষিণ মুখী । বারান্দা যুক্ত আটচালা মন্দিরটি টেরাকোটা কারুকার্যে সমৃদ্ধ। টেরাকোটার কাজগুলি উচ্চাঙ্গের হলেও রং করার ফলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। Rautara village in Amta police station of Howrah district. Here in Ghoshpara, there is a notable Sitaram Jeeu Temple. The temple […]

Read More

গজলক্ষী মন্দির Gajalaxmi Temple

হাওড়া জেলার আমতা থানায় অমরাগড়ি গ্রামে অন্যতম প্রাচীন টেরাকোটা অলংকরণ সমৃদ্ধ যে স্থাপত্যটি রয়েছে সেটি হল গজলক্ষী মন্দির। আটচালা মন্দিরটি বর্তমানে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। খিলানের ওপরে একসময় পদ্ম এবং কল্পলতা উৎকীর্ণ ছিল। এটি স্থানীয় রায় পরিবারের পারিবারিক মন্দির।  The Gajalaxmii Temple, situated in the quaint village of Amargarhi within the jurisdiction of Amta police station in […]

Read More

বাশুলি মন্দির Basuli TEmple

বীরভূমে নানুর থানার মধ্যে চন্ডীদাসের জন্ম ভিটা। আমরা ইতিহাসে অনেক চন্ডীদাসের সন্ধান পাই । পন্ডিতেরা একমত হয়েছেন যে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন রচয়িতা বড়ু চন্ডীদাস বাঁকুড়া জেলাতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আবার দ্বিজ চন্ডীদাস এককালে নানুরে বসবাস করেছিলেন এ বিষয়ে পণ্ডিতরা একমত হয়েছেন। এই চন্ডীদাসের ভিটা নিয়ে এবং কোন চন্ডীদাস এখানে বসবাস করতেন তা নিয়ে প্রচুর লোক কথা এবং বিতর্ক […]

Read More

দধিমাধব Dadhimadhab

অমরাগড়ি গ্রামে একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য দধিমাধবের মন্দির। মন্দিরটি হাওড়া জেলায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ মন্দির বলে বিবেচ্য। হাওড়া জেলা এবং হুগলি জেলায় একসময় বড় দ্বারপালের মূর্তি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এখানেও তার নিদর্শন ছিল। মন্দিরটি দক্ষিণমুখী আটচালা মন্দির। টেরাকোটা কাজে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। মন্দিরে একটি প্রতিষ্ঠা লিপি আছে যদিও তা ক্ষয়ে গেছে। তার লিপিটি এইরকম” শুভমস্তু শকাব্দা ১৬৮৬ …..বৈশাখ […]

Read More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *