
গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলার নিজস্ব ধারা ‘কুটির রীতি’। খড়ের চাল মাটি বাঁশ দিয়ে বাংলার কুটিরের যে চিত্রটা আমাদের সামনে ফুটে ওঠে ঠিক সেই রকম ভাবেই মন্দিরের রূপকল্প ঠিক হয়েছিল। বাংলার রীতিতে এক বাংলা দোচালা , এক বাংলা চার চালা , জোর বাংলা এই রূপকল্পে মন্দিরগুলি তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে চালার সংখ্যা বাড়িয়ে চারচালা ,আটচালা ,বারোচালা এইভাবে মন্দিরগুলি তৈরি হয়। কারণ হিসাবে দেখা যায় আমাদের গ্রামীণ শিল্পীরা বাসগৃহ তৈরীর জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করতেন , সেই একই পদ্ধতিতে মন্দিরের কাজ সম্পন্ন হয়েছিল।
অধ্যাপক হিতেশ হিতেশরঞ্জন সান্যাল দেখিয়েছিলেন যে বাঁশ ও খড়ের মাধ্যমে নির্মিত চালা গৃহের রূপটি ইটের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার প্রাথমিক চেষ্টার কোন নিদর্শন আজ আর নাই।
খড়মাটি বাঁশ ইত্যাদি দিয়ে বাসগৃহের ক্ষেত্রে চালের বক্র আকৃতি এবং দেয়াল থেকে চালার বর্ধিত অংশ যেভাবে নির্মাণ করা হতো, ইটের তৈরি মন্দিরের ক্ষেত্রেও সেটিই প্রয়োগ করা হলো।
Bengal boasts a unique ‘hut style’ in house construction, which has also influenced temple architecture. The Bengali cottage, made of straw, mud, and bamboo, shares a striking resemblance with temple designs. Early temples in Bengal were built in the Ek Bangla Dochala, Ek Bangla Char Chala, and Jor Bangla styles, which later evolved to feature four, eight, and twelve chalas (roofs). This progression was a natural extension of traditional house-building techniques employed by rural artisans.
Professor Hitesh Hitesharanjan Sanyal notes that initial attempts to replicate the bamboo and straw hut form using bricks have left no discernible trace. However, the curved shape of the eaves and the extension of the chala from the walls, characteristic of mud and bamboo houses, were successfully adapted in brick temples. This seamless transition of design elements from humble abodes to sacred spaces underscores the ingenuity and resourcefulness of Bengal’s architectural heritage.
দক্ষিনা কালী মন্দির Dakshina Kali Temple
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর থানার অন্তর্গত মালঞ্চ গ্রামে একটি কালীমন্দির আছে। দক্ষিণ দিকে মুখ করা আটচালা এই মন্দিরটির বিগ্রহ দক্ষিণাকালী। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা লিপি থেকে দেখা যায় এটি ১৬৩৪ শকাব্দ অর্থাৎ ১৭১২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ৺গোবিন্দরাম রায় এবং তার পরিবার এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরটিতে সংস্কার হয়েছে এবং বেশ কিছু টেরাকোটা মূর্তি এখনো দেখতে পাওয়া যায়। […]
Read MoreJhikira Sitanath Temle
হাওড়া জেলার আমতা থানার অধীনে ঝিখিরা গ্রামে কাঁড়ার পাড়ায় একটি ঐতিহ্যশালী আটচালা মন্দির আছে। দক্ষিণমুখী এই মন্দিরের বিগ্রহ হিসাবে সীতানাথ (শালগ্রাম ) পূজিত হন। মন্দিরটি তে প্রতিষ্ঠাতা মিস্ত্রির নাম উল্লেখ না থাকলেও পারিপার্শ্বিক প্রমাণাদির মধ্যে দিয়ে মনে হয় ঝিখিরার অপর একটি মন্দির দামোদরজীউ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা শিল্পী শুকদেব মিস্ত্রি এটি তৈরি করেছিলেন। প্রতিষ্ঠা লিপি দেখে বোঝা […]
Read Moreইটান্ডা জোড় বাংলা মন্দির Itanda Jorbangla Temple
বীরভূম জেলায় বোলপুর থানার অন্তর্গত একটি গ্রাম ইটান্ডা। বোলপুর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে গ্রামটি অবস্থিত। এই গ্রামে একটি জোড় বাংলা ঘরানার মন্দির আছে। মন্দিরের বিগ্রহ কালী। একসময় এই ভেঙ্গে পড়া মন্দিরটি নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন মন্দিরটি সংরক্ষণের কাজ করেছেন। দক্ষিণ মুখী এই মন্দিরে টেরাকোটা অলংকৃত অনেক ফলক রয়েছে। বেশ কিছু ফলক নষ্ট […]
Read Moreঘুরিষা রঘুনাথজী মন্দির Ghurisha Raghunathji temple
বীরভূমের ইলামবাজার থানার অন্তর্গত ঘুরিষা বর্ধিষ্ণু একটি গ্রাম। এই গ্রামে রঘুনাথের জির চারচালা মন্দিরটি এক অন্যতম প্রাচীন মন্দির ১৬৩৩ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটি তৈরি হয়। কথিত আছে বর্গী হামলার সময় মূল রঘুনার্জির বিগ্রহটি চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীকালে একটি শিবলিঙ্গ এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মন্দিরের চারদিকেই টেরাকোটা অলংকৃত ফলক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।। অন্যতম কিছু ফলক যেমন নব নারীকুঞ্জর এখানে কৃষ্ণের […]
Read Moreদুটি আট চালা শিব মন্দির Two Aat Chalala Shib Temple
নানুর থানার অধিনে বালিগুনি গ্রামে দুটি আটচালা শিব মন্দির আছে। দক্ষিণমুখী এই মন্দির দুটি তে আগে প্রচুর টেরাকেটা অলংকৃত ফলক ছিল। রাম রাবনের যুদ্ধ , বাহন গড়ুরের পিঠে চড়ে বিষ্ণুর যুদ্ধ দৃশ্য ইত্যাদি। বর্তমানে সংস্কারের ফলে সবকিছুর অবলুপ্তি ঘটেছে।১৪০৪ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে সর্ব শেষ সংস্কার হয়। নতুন রঙ করার ফলে টেরাকেটা সমৃদ্ধ মন্দিরটি তার গরিমা […]
Read Moreশ্যামসুন্দর জীউ মন্দির Shyamsundar Jiu Temple
হাওড়া জেলার আমতা থানার ঝিখিরা গ্রামে অনেকগুলি টেরাকোটা ফলক সম্বলিত ইটের মন্দির আছে। মধ্যপাড়ায় শ্যামসুন্দরজীউ মন্দিরটি তার মধ্যে অন্যতম। দক্ষীনমুখী আটচালা মন্দিরটিতে বাড়ান্দার উপর ত্রিখিলানযুক্ত সম্মুখভাগে টেরাকোটা ফলকগুলি বেশ সুন্দর। There are many brick temples with terracotta panels in Jhikhira village of Amta police station in Howrah district. The Shyamsundarjiu temple in Madhyapara is one […]
Read Moreমদনগোপালজীউ মন্দির Madangopal Jiu Temple
হাওড়া জেলার বাগনান থানার মেল্লক গ্রামে অত্যন্ত প্রাচীন এক টেরাকোটার মন্দির রয়েছে। জমিদার মুকুন্দ প্রসাদ রায়চৌধুরী এই গ্রামে ১৬৫১ খ্রিস্টাব্দে, মন্দিরটি তৈরি করেন। মন্দিরটি আটচালা এবং পশ্চিমবঙ্গের যে বৃহৎ মন্দির গুলি আছে তার মধ্যে অন্যতম।শ্রদ্ধেয় তারাপদ সাঁতরা মহাশয়ের হাওড়া জেলার পুরাকীর্তি বইয়ে এই মন্দির সম্বন্ধে বিস্তারিত বলা রয়েছে। যে টেরাকোটা ফলক গুলি এখানে ছিল তার […]
Read Moreবৃন্দাবনচন্দ্র মন্দির Brindabanchandra Temple
হুগলি জেলার বলাগর ব্লকে অবস্থিত এখানকার বিখ্যাত এক গ্রাম গুপ্তিপাড়া। মুকুন্দরাম চক্রবর্তী বিরোচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যে এই স্থানের উল্লেখ রয়েছে। একসময় সংস্কৃত চর্চার পিঠস্থান ছিল এই গুপ্তিপাড়া। চারদিকে এক বিশাল প্রাচীর ঘেরা জায়গায় যে মন্দিরগুলি অবস্থান করছে তার মধ্যে অন্যতম বৃন্দাবন চন্দ্র মন্দিরটি।গুপ্তিপাড়ার মঠ তারকেশ্বরের শৈব মঠের অধীন। মঠটি দশনামি শৈব সম্প্রদায় পরিচালনা করলেও এখানকার দেবতা […]
Read Moreদামোদরজিউ মন্দির Damodarjiu Temple
হাওড়া জেলার আমতা থানার রাউতারা গ্রামে সরকার পাড়ায় দামোদর জীউ মন্দিরটি অবস্থিত। মন্দিরটি দক্ষিণ মুখী। ১২ চালা মন্দিরটি রায় পরিবারের পারিবারিক স্থাপত্য। মন্দিরটি কয়েকবার সংস্কার হয়েছে।মন্দির প্রাঙ্গণের পাশে একটি আটচালা তুলসী মঞ্চ আছে। বিভিন্ন সময় সংস্কারের ফলে টেরাকোটা ফলক গুলি রং করার সময় আভিজাত্য হারিয়েছে। The Damodar Jeeyu Temple is located in Sarkar Para, Rautara […]
Read MoreSitaramjiu Temple
হাওড়া জেলা আমতা থানায় রাউতারা গ্রাম । এখানে ঘোষপাড়ায় উল্লেখযোগ্য সীতারাম জীউ মন্দির। মন্দিরটি দক্ষিণ মুখী । বারান্দা যুক্ত আটচালা মন্দিরটি টেরাকোটা কারুকার্যে সমৃদ্ধ। টেরাকোটার কাজগুলি উচ্চাঙ্গের হলেও রং করার ফলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। Rautara village in Amta police station of Howrah district. Here in Ghoshpara, there is a notable Sitaram Jeeu Temple. The temple […]
Read Moreচারবাংলা মন্দির Char Bangla Temple
মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে এক কিলোমিটার দূরে বড়নগর গ্রাম। এই গ্রামে চার বাংলা রীতির যে মন্দিরগুলি অবস্থান করছে তা বাংলার টেরাকোটা শিল্প ঐতিহ্যের এক অপরূপ নিদর্শন। তৎকালীন সময় নাটোরের রাজার রাজশাহী – জমিদারীর কেন্দ্র ছিল বড়নগর। এখানে রানী ভবানী যে মন্দিরগুলি তৈরি করেছিলেন তার মধ্যে চার বাংলা মন্দিরগুলি উল্লেখযোগ্য। একটি চৌকো প্রাঙ্গণের চারদিকে চারটি এক […]
Read Moreগজলক্ষী মন্দির Gajalaxmi Temple
হাওড়া জেলার আমতা থানায় অমরাগড়ি গ্রামে অন্যতম প্রাচীন টেরাকোটা অলংকরণ সমৃদ্ধ যে স্থাপত্যটি রয়েছে সেটি হল গজলক্ষী মন্দির। আটচালা মন্দিরটি বর্তমানে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। খিলানের ওপরে একসময় পদ্ম এবং কল্পলতা উৎকীর্ণ ছিল। এটি স্থানীয় রায় পরিবারের পারিবারিক মন্দির। The Gajalaxmii Temple, situated in the quaint village of Amargarhi within the jurisdiction of Amta police station in […]
Read Moreকেষ্টরয়ের মন্দির Kestorai Temple
জোড়বাংলা ঘরানার শিল্প মাধুর্যে সমৃদ্ধ বাঁকুড়া জেলার কেষ্ট রায় মন্দিরটি এক কথায় অতুলনীয়। টেরাকোটা অলংকরণের বৈচিত্র এবং প্রাচুর্য এই মন্দিরটির এক বৈশিষ্ট্য। দক্ষিণ মুখী এই মন্দিরটি রাজা বীর হাম্বীরের পুত্র রঘুনাথ সিংহ প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরের প্রতিষ্ঠালিপিতে এর উল্লেখ আছে – ” শ্রী রাধিকাকৃষ্ণমুদে সুধাংশুরসাঙ্কগে সৌধগৃহং শকাব্দিশ্রী বীর হাম্বির নরেশ সূনুদদৌ নৃপঃ শ্রী রঘুনাথ সিংহঃ । […]
Read Moreবাশুলি মন্দির Basuli TEmple
বীরভূমে নানুর থানার মধ্যে চন্ডীদাসের জন্ম ভিটা। আমরা ইতিহাসে অনেক চন্ডীদাসের সন্ধান পাই । পন্ডিতেরা একমত হয়েছেন যে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন রচয়িতা বড়ু চন্ডীদাস বাঁকুড়া জেলাতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আবার দ্বিজ চন্ডীদাস এককালে নানুরে বসবাস করেছিলেন এ বিষয়ে পণ্ডিতরা একমত হয়েছেন। এই চন্ডীদাসের ভিটা নিয়ে এবং কোন চন্ডীদাস এখানে বসবাস করতেন তা নিয়ে প্রচুর লোক কথা এবং বিতর্ক […]
Read Moreদধিমাধব Dadhimadhab
অমরাগড়ি গ্রামে একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য দধিমাধবের মন্দির। মন্দিরটি হাওড়া জেলায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ মন্দির বলে বিবেচ্য। হাওড়া জেলা এবং হুগলি জেলায় একসময় বড় দ্বারপালের মূর্তি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এখানেও তার নিদর্শন ছিল। মন্দিরটি দক্ষিণমুখী আটচালা মন্দির। টেরাকোটা কাজে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। মন্দিরে একটি প্রতিষ্ঠা লিপি আছে যদিও তা ক্ষয়ে গেছে। তার লিপিটি এইরকম” শুভমস্তু শকাব্দা ১৬৮৬ …..বৈশাখ […]
Read More