image

ঘাটাল সিংহবাহিনী মন্দির Ghatal Singhabahini Temple

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল পৌরসভার অন্তর্গত কোন্নগর গ্রামে কর্মকার পাড়ায় অতি প্রাচীন একটি মন্দির রয়েছে। সিংহ বাহিনীর মন্দির নামে খ্যাত এই মন্দিরটি গঠন বৈশিষ্ট্য একটু অন্যরকম। একটি চার চালা মন্দিরের সামনে আরেকটি চার চালা জগমোহন সংযুক্ত হয়েছে। মূল মন্দিরটি থেকে জগমোহন টি একটু খাটো। দুটি মন্দিরের শীর্ষেই একটি করে ছোট আমলক দেখতে পাওয়া যায়। মন্দিরে অষ্ট ধাতু নির্মিত চতুর্ভূজা সিংহ বাহিনী মহিষাসুরমর্দিনী দেবী পূজিতা হন।
মন্দিরে এখন কেবলমাত্র অস্পষ্ট টেরাকোটার প্রতিষ্ঠা লিপি রয়েছে। অন্য অলংকরণ নেই। তারাপদ সাঁতরা লিখিত গ্রন্থ থেকে দেখা যায় "এক সময় পোড়ামাটির যে অলংকরণ গুলি এখানে ছিল সেগুলির ভাস্কর্য শৈলী খ্রিস্টীয় ১৪ - ১৫ শতকে গৌড়ের মসজিদ স্থাপত্যে নিবদ্ধ পোড়ামাটির ফলকের সঙ্গে একান্তই সাদৃশ্য যুক্ত " ।
প্রণব রায় লিখিত গ্রন্থে জানা যায় যে এই প্রতিষ্ঠা লিপির পাঠ তিনি প্রথম উদ্ধার করেন।
ফলক দুটি মন্দিরের প্রবেশদ্বারের ওপরে পাশাপাশি অবস্থান করছে।

বাঁদিকের ফলকটিতে লেখা আছে -
"তৈয়ারি শ্রী হরিহ/র কম্মকার / মেরামত সকা/ব্দা ১৭১৭ সালে/ মাহ  পোসে /শ্রী জীতারাম /কম্মকার।"
ডান দিকের ফলকটিতে লেখা আছে-
"শ্রীশ্রীহরি /শুভমস্তু সকা/ ব্দা ১৪১২ মা / হ জেষ্ট গতে / শ্রী শ্রী সিঙ্গিবা/  হিনীর মন্দীর ।"

লিপি গুলি পাঠে বোঝা যায় যে সিংহ বাহিনীর মন্দিরটি ১৪১২ শকাব্দ অর্থাৎ ১৪৯০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং 1717 শকাব্দ বা ১৭৯৫ খ্রিস্টাব্দে এটি সংস্কার করা হয়।
যদিও প্রণব রায় মহাশয় তার গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে গঠন বৈচিত্র দেখে মন্দিরটিকে অত প্রাচীন মনে করা যায় না।

There is a very ancient temple in Karmakar Para, Konnagar village under Ghatal Municipality of West Midnapore district. Known as the Singha Bahini Temple, this temple has a slightly different architectural feature. In front of a four-chala temple, another four-chala Jagmohan is attached. The Jagmohan is a little shorter than the main temple. A small amlok can be seen at the top of both temples. The temple is dedicated to the goddess Mahishasuramardini, a four-armed lion goddess made of eight metals ( asto dhatu).
The temple now has only an obscure terracotta foundation inscription. There are no other decorations. It can be seen from the book written by Tarapada Santra that "the terracotta decorations that were once here have a very similar sculptural style to the terracotta plaques used in the architecture of the Gaur mosques in the 14th-15th centuries AD."
It is known from the book written by Pranab Roy that he was the first to recover the text of this foundation inscription.
The two plaques are located side by side above the entrance of the temple.

The left plaque reads -
"Taiẏāri śrī hariha/ra kam'makāra/ mērāmata sakā/bdā 1717 sālē/ māha  pōsē/śrī jītārāma/kam'makāra."

The right plaque reads
"śrīśrīhari/śubhamastu sakā/ bdā 1412 mā/ ha jēṣṭa gatē/ śrī śrī siṅgibā/  hinīra mandīra."

Reading the inscriptions suggests that the Singha Bahini temple was established in 1412 Shakabd i.e. 1490 AD and was renovated in 1717 Shakabd i.e. 1795 AD.
Although Pranab Roy Mahasaya has mentioned in his book that the temple cannot be considered that ancient due to the variety of structures. 

Related Articles

চার চালা Char Chala

হরিপাল শিব মন্দির Haripal Shiv Temple

হুগলি জেলার হরিপাল থানার মধ্যে রায় পাড়াতে সর্ব প্রাচীন যে মন্দিরটি আছে সেটি হল ১৬৫৪ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত রাধাগোবিন্দ মন্দির। এই মন্দির এবং দুর্গা দালান সংলগ্ন “সাতবাড়ি রায়বংশীয় শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ জিউ” প্রবেশ তোরণের সামনে  একটি অতি প্রাচীন আটচালা শিব মন্দির  রয়েছে।  অনুমান এই মন্দিরটি  সপ্তদশ শতকে নির্মিত হয়েছিল। এটি ১৭৫৯ সালে সংস্কার করা হয়্। […]

Read More
চার চালা Char Chala

জলেশ্বর মন্দির Jaleswar Temple

প্রখ্যাত বৈষ্ণব তীর্থ শান্তিপুর অত্যন্ত পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ স্থান। এখানে তিলি পাড়ায় জলেশ্বর মন্দিরটি পুরাকীর্তর  এক অনন্য নিদর্শন। প্রতিষ্ঠা লিপির অভাবে পারিপার্শ্বিকতার বিচারে গুণীজনের মতে আঠারো শতকের প্রথম দিকে নদীয়ার রাজা রুদ্র রায়ের ছোট পুত্র রামকৃষ্ণের মাতা দেবী এটি প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় শিবলিঙ্গটির নাম ছিল রুদ্রকান্ত। কথিত আছে একবার অনাবৃষ্টির সময় বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী বৃষ্টি […]

Read More
চার চালা Char Chala

নামো পাড়া চারাচালা শিব মন্দির Namo para charchala Shib Temple

বীরভূম জেলার অন্যতম বর্ধিষ্ণুগ্রাম দুবরাজপুরে যে মন্দির সংস্কৃতির প্রচলন হয়েছিল তার মধ্যে নমোপাড়ায় নায়েক পরিবাররা যেখানে বসবাস করেন , সেখানে তিনটি মন্দিরের একটি গুচ্ছ রয়েছে। এক পাশে একটি চার চালা মন্দির এবং অন্যপাশে পঞ্চরথ ঘরানার একটি শিখর মন্দিরের মাঝে নবরত্ন মন্দিরটি অবস্থান করছে।   Among the temple culture that was prevalent in Dubrajpur, one of […]

Read More