image

শিব মন্দির Shib Temple

বীরভূম জেলার দুবরাজপুরে ত্রয়োদশ  রত্ন মন্দিরে যে ঘরানাটি গড়ে উঠেছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল মুদিপাড়ায় ( ময়না পাড়া) অবস্থিত শিব মন্দির। দুটি বীরভূম ঘরানার দেউল মন্দিরের মধ্যবর্তী অংশে ত্রয়োদশ মন্দিরটি অবস্থিত।
মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাকাল পাওয়া যায়নি। বর্গাকার মন্দিরটির প্রতি দিক ১০ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা। এলাকার মানুষের কথায় উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে হেতমপুর রাজবংশের পক্ষ থেকে এই মন্দিরগুলি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।
মাটির ফলকগুলির মধ্যে দশাবতার, বিভিন্ন পৌরাণিক দেবদেবী, কৃষ্ণলীলা, সমাজ চিত্র এগুলি উল্লেখযোগ্য ছিল। এখনো পরিদর্শনের সময় দেখা যায় যে সমস্ত মন্দিরটি নতুন ভাবে সংস্কার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন রং ব্যবহার করা হয়েছে। চোখ ধাঁধানো উজ্জ্বল সোনালী রঙের প্রাবল্য লক্ষ্য করা গেল। কিছু কিছু ক্ষেত্রে টেরাকোটার কাজগুলি পুরোনোভাবেই রাখা আছে আবার কোন ক্ষেত্রে সোনালী রং দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ মুখী এই মন্দিরটি তে দুবরাজপুর ঘরানার বৈশিষ্ট্য অনুসারে একই ছাদের ওপর তেরোটি চূড়ার সংস্থাপন করা হয়েছে। ছাদে বাঁকানো কার্নিশের নিচের অংশে চারদিকে চারটি চুড়া বা রত্ন এবং উপরের অংশ চারদিকে দুটি করে মোট আটটি রত্ন এবং একটি কেন্দ্রীয় রত্ন নিয়ে ১৩ রত্ন মন্দিরটি তৈরি হয়েছে।

One of the gharanas that developed  in Dubrajpur, Birbhum district, is the 13 pinnacled Temple .  This type of Shiva temple located in Mudipara (Maina Para). The 13 pinnacled Temple is located in the middle of the two Deul Temples of Birbhum gharanas.

The date of foundation of the temple is not known. Each side of the square temple is 10 feet 6 inches long. According to the people of the area, these temples were founded by the Hetampur dynasty in the mid-nineteenth century.

Among the clay tablets, Dashavatar, various mythological deities, Krishna Leela, social pictures were notable. Even during the visit, it is seen that all the temples have been renovated in a new way and different colors have been used. A striking golden shade dominates the architecture. In some cases, the terracotta work has been preserved in its original form, while in others, it has been covered in golden paint.
This south-facing temple has thirteen spires installed on the same roof, in accordance with the characteristics of the Dubrajpur style.
The 13  pinnacled Temple is made up of four spire  on all four sides of the curved cornice on the roof, and two spiers on all four sides of the upper part, for a total of eight  and one central spire.

Related Articles

ত্রয়োদশ রত্ন Trayadasa Ratna

পঞ্চ শিবালয় Pancha Shibalaya

বীরভূম জেলার দুবরাজপুরে ওঝাপাড়ায় একটি ত্রয়োদশরত্ন মন্দির রয়েছে। এলাকাটিকে নামোপাড়াও বলা হয়। পাঁচটি শিব মন্দিরের গুচ্ছ নিয়ে মন্দির গুলি গড়ে উঠেছে। ত্রয়োদশরত্ন মন্দিরটির দুপাশে দুটি দেউল রীতির মন্দির সন্নিবেশিত হয়েছে। মন্দিরগুলি পাশাপাশি থাকলেও সেগুলি বারান্দাহীন। আরো দুটি মন্দির পাশে রয়েছে। সব গুলোরই উপাস্য দেবতা শিব। এলাকায় এর পরিচিতি পঞ্চ শিবমন্দির নামে।১৪ ফুট ৬ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য […]

Read More
ত্রয়োদশ রত্ন Trayadasa Ratna

শিব মন্দির Shib Temple

বীরভূম জেলার দুবরাজপুরে ত্রয়োদশ রত্ন মন্দিরের যে ঘরানাটি গড়ে উঠেছিল তার এক উৎকৃষ্ট নিদর্শন ছিল দুবরাজপুর বাজার এলাকায় শিব মন্দিরটি। দেব কুমার চক্রবর্তী মহাশয় লিখিত ১৯৭২ সালে প্রকাশিত  ‘বীরভূম জেলার পুরাকীর্তি’ গ্রন্থে এই মন্দিরটির অত্যন্ত সুন্দর একটি বিবরণ আছে।উক্ত বিবরণ অনুসারে মন্দিরের গায়ে টেরাকোটা ফলকের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন দেবদেবী , অবতার , সামাজিক এবং পৌরাণিক […]

Read More
ত্রয়োদশ রত্ন Trayadasa Ratna

হংসেশ্বরী মন্দির বাঁশবেড়িয়া Hanseswari Temple Bansberia

১৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট শাহজাহান বর্ধমান জেলার পাটুলির রাঘব দত্ত রায় কে সাতগাঁও অঞ্চলের একুশ টি পরগনার জমিদারি প্রদান করেন। তার পুত্র রামেশ্বর দত্ত। পরবর্তীকালে রাজা উপাধি পান। তিনি বাঁশ ঝাড় অধ্যুষিত এই এলাকা পরিষ্কার করে একটি দুর্গ নির্মাণ করেন। এখান থেকে এলাকার নাম হয় বাঁশবেড়িয়া। রামেশ্বরের মৃত্যুর পর তার পুত্রর রঘুদের এবং পরের রঘুদেবের […]

Read More