image

জটার দেউল Jatar Deul

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ডহারবার সাবডিভিশনে মথুরাপুর দুই ব্লকে প্রাচীন এই দেউল টি অবস্থিত। জটাধারী শিবের নাম অনুসারে দেউলটির নাম হয় জটার দেউল। The list of ancient monuments in the presidency division , Government of West Bengal ,1896, শীর্ষক গ্রন্থে দেখা যায় যে ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে ডায়মন্ড হারবারের ডেপুটি কালেক্টর জানাচ্ছেন যে এই দেউল সংলগ্ন অঞ্চলের জঙ্গল পরিষ্কার করার সময় দুর্গা প্রসাদ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি এখানে একটি তাম্র পট্ট আবিষ্কার করেন। ওই তাম্রপট্ট অনুসারে প্রতিষ্ঠাতার নাম ছিল রাজা জয়ন্ত চন্দ্র এবং প্রতিষ্ঠাকাল ছিল ৮৯৭ শকাব্দ বা ৯৭৫ খ্রিস্টাব্দ। পরবর্তীকালে এই তাম্রপত্রটির কোন খোঁজ পাওয়া যায় না ফলে স্বাভাবিকভাবেই এর প্রতিষ্ঠাকাল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানাচ্ছেন যে এই দেউলটি খ্রিস্টীয় একাদশ শতকে নির্মিত হয়েছিল।
দেউল টি পাল সেন যুগের শিখর স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বক্ষণ এটিকে পঞ্চরথ স্থাপত্য হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে এটি সপ্তরথ। বিভিন্ন সময় অবহেলায় মন্দিরের অনেক অংশ ভেঙে গিয়েছিল এবং প্রচুর নকশা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

This ancient temple is located in Mathurapur II block in the Diamond Harbour subdivision of South 24 Parganas. The temple is named Jatar Deul following the name of Shiva who kept a jata. In the book titled The list of ancient monuments in the presidency division, Government of West Bengal, 1896, it is seen that in 1875, the Deputy Collector of Diamond Harbour states that while clearing the forest in the area adjacent to this temple, a person named Durga Prasad Chowdhury discovered a copper plate.According to that copper plate, the founder's name was King Jayanta Chandra and the founding date was 897 Shaka or 975 AD. No trace of this copper plate has been found since then, so naturally there is controversy about its founding date.The Archaeological Survey of India states that this temple was built in the 11th century AD.
The temple is built in the Sikhar architectural style of the Pala Sena era. Indian archaeology has always identified it as a Pancharatha  (five chariot) architecture. According to many experts, it is a Saptaratha ( seven chariot) style.
Due to neglegency at various times, many parts of the temple were broken and many of the designs were destroyed.

Related Articles

মসৃণ বক্ররেখ যুক্ত (ওড়িয়া)

ইছাই ঘোষের দেউল Ichai Ghosher Deul

পশ্চিম বর্ধমান জেলার গৌরাঙ্গপুর এর কাছে অজয় নদীর ধারে যে দেউলটি আছে তা ইছাই ঘোষের দেউল নামে পরিচিত। ষোড়শ শতকে নির্মিত স্থাপত্যটি অনবদ্য শিখর রীতির ঘরানায় তৈরি। এই অঞ্চলটি একসময় গোপভুমের সদগোপ রাজাদের অধীনে ছিল। এই শাসকেরা ঈশ্বর ঘোষকে তাদের আদি পুরুষ হিসেবে স্মরণ করত। সম্ভবত তারই নামে নামাঙ্কিত হয়েছিল ইছাই ঘোষের দেউল।দেউলটিতে নকশা কাটা […]

Read More
মসৃণ বক্ররেখ যুক্ত (ওড়িয়া)

Sonatapal

বাঁকুড়া থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে সোনাতপল গ্রামে বাঁকুড়া জেলার অন্যতম পুরা কীর্তি  ইটের তৈরি এক বিশাল দেউল অবস্থান করছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১২ ইঞ্চি বাই সাড়ে ৮ ইঞ্চি বাপের ইট। অত্যন্ত পুরু দেওয়াল সম্বলিত এই স্থাপত্যটির উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট। আনুমান খ্রিস্টীয় ১১ শতকে এই স্থাপত্যটি নির্মিত হয়েছিল। কিরে কোন বিগ্রহ নেই। জনশ্রুতি […]

Read More
মসৃণ বক্ররেখ যুক্ত (ওড়িয়া)

সিদ্ধেশ্বর মন্দির Siddheswar Temple

বাঁকুড়া জেলার ওঁদা থানার মধ্যে অবস্থিত বহুলাড়া গ্রামের সিদ্ধেশ্বর মন্দিরটি প্রাচীন বাংলার এক ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। পশ্চিমমুখী সিদ্ধেশ্বর শিবের মন্দিরটি ভারতবর্ষের মন্দির স্থাপত্যের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। ১৮৭২-৭৩ খ্রিস্টাব্দে মিস্টার বেগলার বাংলা সফরের যে বিবরণ আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে আটখন্ডে প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে এই মন্দিরটির বিশদ বিবরণ আছে। এছাড়াও ডঃ রমেশ চন্দ্র মজুমদার […]

Read More