image

গোপাল জীউ মন্দির Gopal Jiu Temple

পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত ছটি ২৫ চূড়া মন্দিরের মধ্যে তিনটি বর্ধমান জেলার কালনায় অবস্থিত। রাজবাড়ীর মন্দির প্রাঙ্গণের বাইরে এরকম একটি মন্দির হল। গোপাল জিউর পূর্বমুখী মন্দিরটি , ১৭৬৬ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয়েছিল। শুরুতে মন্দিরের টেরাকোটার কাজগুলি যে অপূর্ব অবস্থায় ছিল বর্তমানে তা অনেকাংশে নষ্ট হয়ে গেছে। মহারাজা তিলক চাঁদের আমলে তৈরি হওয়া অপূর্ব টেরাকোটা কাজ সম্বলিত চূড়ামন্দির গুলির মধ্যে এই মন্দিরটির অন্যতম।

ত্রিতল ছাদের প্রথম তলে চারপাশে তিনটি করে মোট ১২ টি দ্বিতীয় তলে দুটি করে মোট ৮ টি এবং তৃতীয় তলে চার কোনায় একটি করে মোট ৪ টি এবং একটি কেন্দ্রীয় চূড়াসহ মোট ২৫ টি চূড়ার সংযুক্তি ঘটেছে। জমি থেকে মন্দিরটি চার ফুট উঁচু সামনের দিকে বাংলার চার চালা রীতির ছাদ সম্বলিত বারান্দা রয়েছে।
এখানে মূল বিগ্রহ কৃষ্ণের নাড়ুগোপাল মূর্তি যাকে জগমোহন বলা হয়। এই মূর্তির দুপাশে একটি সবুজ বর্ণের রাধাকৃষ্ণ এবং অপরটি কৃষ্ণ বর্ণের রাধাকৃষ্ণ অবস্থান করছেন।
মহারাজা তিলক চাঁদের আত্মীয় কৃষ্ণচন্দ্র বর্মন তিনি জমিদারির একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি ছিলেন,  এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। মন্দিরে প্রতিষ্ঠা লিপিটি নিম্নরূপ -

শুভম শকাব্দ ১৬৬৮
শকাব্দে শবজাংঘিরাত্রিপকলা কোটির মুর্তঙ্গভু
সংখ্যে বাহুজবংশভূর্বি মলধীঃ শ্রীকৃষ্ণচন্দ্রর সুধীঃ ।
প্রাসাদং প্রদদৌ ধিয়া পবময়া ভক্ত্যা পরব্রহ্মনে
গোপালায় সমান্তবাঙয় পথাতীতায়ে বিশ্বাতুনে ।।

The Gopal Jiu Temple, located in Kalna, Bardhaman district, West Bengal, is one of the three notable 25-spired temples in the region. Built in 1766 AD, this east-facing temple showcases exquisite terracotta work, although much of it has deteriorated over time. Constructed during the reign of Maharaja Tilak Chand, the temple's architecture is characterized by:

  • A 4-foot-high platform
  • A Bengali-style four-roofed (Char-Chala) porch
  • 25 spires: 12 on the first floor (3 on each corner), 8 on the second floor (2 on each corner), 4 on the third floor (1 on each corner), and 1 central spire

 The temple houses the deity Nadugopal (Krishna), accompanied by two Radha-Krishna idols

. Krishnachandra Barman, a high-ranking official and relative of Maharaja Tilak Chand, built the temple. The inscription reads "Shubham Shaka 1668…"

Related Articles

পঁচিশ রত্ন Panchabingsati Ratna

নশিপুর ২৫ রত্ন মন্দির Nasipur 25 ratna Temple

Normal বাংলায় যে ৬টি ২৫ চূড়া মম্দির রয়েছে তার মধ্যে মুর্শিদাবাদে নসিপুরের মন্দিরটি অন্যতম। নসিপুরের রাজবাড়ির ভেতরে এই মন্দিরটির অবস্থান। মন্দিরের গায়ে মার্বেল পাথরের একটি ফলকে দেখা যায় যে এর প্রতিষ্ঠাকাল ১৭৯৩ সাল। তৎকালীন জমিদার দেবী সিং রাজবাড়িটি নির্মান করেন ১৭৭৬ সালে এবং মন্দিরটি রাজা উদমন্ত সিংহ প্রতিষ্ঠা করেন ১৭৯৩ সালে। মন্দিরের মধ্যে এবং রাজবাড়ির […]

Read More
পঁচিশ রত্ন Panchabingsati Ratna

আনন্দ ভৈরবী মন্দির Anada Bhairabi Temple

হুগলি জেলার সুখারিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ২৫ রত্ন মন্দিরের এক অপরূপ নিদর্শন আমরা দেখতে পাই আনন্দ ভৈরবী মন্দিরে। সুধীর কুমার বিদ্যা বিনোদ  লিখিত হুগলি জেলার ইতিহাস গ্রন্থে জানা যায় যে –নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সাথে মনমালিন্য হওয়ার কারণে আনন্দরাম মুস্তৌফি এই অঞ্চলে বসবাস করতে শুরু করেন। বর্ধমান রাজাদের সাথে এই পরিবারের হৃদ্যতা ছিল। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা লিপিতে দেখা […]

Read More
পঁচিশ রত্ন Panchabingsati Ratna

শ্রীধর মন্দির Sridhar Temple

পশ্চিমবঙ্গে যে ছটি পঁচিশ রত্ন মন্দিরের সমাহার ঘটেছে তার মধ্যে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীর শ্রীধর মন্দিরটি অন্যতম। খৃষ্টিয় ১৭ শতকে জগন্মোহন পন্ডিতের “দেশাবলি বিবৃতি” শীর্ষক বইয়ে এই গ্রামটি তন্তুবায়দের গ্রাম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইংরেজ আমলে সুতি কাপড় রেশম , লাক্ষা এসবের কারবার এখানে হতো। তৎকালীন সময় এরা সুবর্ণ বণিক সম্প্রদায়েরাই এখানে বিভিন্ন মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। […]

Read More