image

কৃষ্ণচন্দ্র মন্দির Krishnachandra Temple

কালনা মন্দির প্রাঙ্গণের পূর্ব দিকে এই সুউচ্চ ২৫ রত্ন মন্দিরটি অবস্থিত।  মহারাজা তিলক চন্দ্র (1744 - 1770 AD ) এর মা লক্ষ্মী কুমারী দেবী, লালজি মন্দিরের মতো আরেকটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
মন্দিরের প্রতিষ্ঠালিপিতে লেখা আছে --

             শ্রী হরিচরণ সরোজ গুণ মুনি
ষোড়শ সংখ্যক শকে অব্দে মন্দিরমঅর্পিতমেতদ্রাজা শ্রী
              ত্রিলোক চন্দ্র মাত্রা ।। ১৬৭৩
                            সন ১১৫৯

অঙ্কশ্য বামাগতি সূত্রে মন্দিরটি নির্মাণ হয়েছে
গুণ = ৩ , মুনি =৭ , ষোড়োশ সংখ্যক =১৬
অর্থাৎ ১৬৭৩ শকাব্দে (১৭৫১-৫২ খ্রিস্টাব্দে)

সু উচ্চ মন্দিরটি তিনটি তলে নির্মিত । প্রথম তলের ছাদে চারটি কোনায় তিনটি করে মোট ১২ টি , দ্বিতীয় তলের ছাদে চারটি কোনায় দুটি করে মোট ৮ টি , তৃতীয় তলের চারটি কোনায় একটি করে মোট ৪ টি এবং একটি কেন্দ্রীয় চুড়া সহ ২৫ টি চূড়া সম্বলিত মন্দিরটি নির্মিত।

মন্দিরের সামনে একটি একচালা নাট মন্দির আছে। মন্দির প্রাঙ্গণে গড়ুর স্তম্ভ আছে। মন্দিরের গর্ভগৃহে শ্রীকৃষ্ণ এবং শ্রীরাধার কাঠের তৈরি বিগ্রহ আছে একই সঙ্গে কৃষ্ণের চার সখীও এখানে অবস্থান করছেন।
পুরাতত্ত্ববিদদের মতে এই রত্নশৈলীটি কাঠের রথ নির্মাণের সাথে সম্পর্কিত ছিল। এই ঘরানাতে মন্দিরটি তৈরি হয়েছে। 

This 25-ratna temple is located on the eastern side of the Kalna temple complex. Maharaja Tilak Chand's (1744-1770 AD) mother, Lakshmi Kumari Devi, built this temple, similar to the Lalji temple. The inscription on the temple reads:
 
"Shri Haricharan Saroj Gun Muni Shodash Sankhyak Shoke Abde Mandiram Arpitametat Raja Shri Trilok Chandra Matra."
 
The temple was built in 1673 Shaka era (1751-52 AD). The temple has three stories with 25 spires:
 
- 12 spires on the first floor (3 on each corner)
- 8 spires on the second floor (2 on each corner)
- 4 spires on the third floor (1 on each corner)
- 1 central spire
 
The temple features a single-domed Natmandir in front and a Garuda pillar in the complex. The sanctum houses wooden idols of Radha and Krishna, accompanied by Krishna's four female companions. According to archaeologists, this ratna style is believed to have been related to the construction of wooden chariots or raths, and the temple is built in this tradition/style
 
 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

পঁচিশ রত্ন Panchabingsati Ratna

নশিপুর ২৫ রত্ন মন্দির Nasipur 25 ratna Temple

Normal বাংলায় যে ৬টি ২৫ চূড়া মম্দির রয়েছে তার মধ্যে মুর্শিদাবাদে নসিপুরের মন্দিরটি অন্যতম। নসিপুরের রাজবাড়ির ভেতরে এই মন্দিরটির অবস্থান। মন্দিরের গায়ে মার্বেল পাথরের একটি ফলকে দেখা যায় যে এর প্রতিষ্ঠাকাল ১৭৯৩ সাল। তৎকালীন জমিদার দেবী সিং রাজবাড়িটি নির্মান করেন ১৭৭৬ সালে এবং মন্দিরটি রাজা উদমন্ত সিংহ প্রতিষ্ঠা করেন ১৭৯৩ সালে। মন্দিরের মধ্যে এবং রাজবাড়ির […]

Read More
পঁচিশ রত্ন Panchabingsati Ratna

আনন্দ ভৈরবী মন্দির Anada Bhairabi Temple

হুগলি জেলার সুখারিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ২৫ রত্ন মন্দিরের এক অপরূপ নিদর্শন আমরা দেখতে পাই আনন্দ ভৈরবী মন্দিরে। সুধীর কুমার বিদ্যা বিনোদ  লিখিত হুগলি জেলার ইতিহাস গ্রন্থে জানা যায় যে –নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সাথে মনমালিন্য হওয়ার কারণে আনন্দরাম মুস্তৌফি এই অঞ্চলে বসবাস করতে শুরু করেন। বর্ধমান রাজাদের সাথে এই পরিবারের হৃদ্যতা ছিল। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা লিপিতে দেখা […]

Read More
পঁচিশ রত্ন Panchabingsati Ratna

শ্রীধর মন্দির Sridhar Temple

পশ্চিমবঙ্গে যে ছটি পঁচিশ রত্ন মন্দিরের সমাহার ঘটেছে তার মধ্যে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীর শ্রীধর মন্দিরটি অন্যতম। খৃষ্টিয় ১৭ শতকে জগন্মোহন পন্ডিতের “দেশাবলি বিবৃতি” শীর্ষক বইয়ে এই গ্রামটি তন্তুবায়দের গ্রাম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইংরেজ আমলে সুতি কাপড় রেশম , লাক্ষা এসবের কারবার এখানে হতো। তৎকালীন সময় এরা সুবর্ণ বণিক সম্প্রদায়েরাই এখানে বিভিন্ন মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। […]

Read More