image

শ্রীধর মন্দির Sridhar Temple

পশ্চিমবঙ্গে যে ছটি পঁচিশ রত্ন মন্দিরের সমাহার ঘটেছে তার মধ্যে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীর শ্রীধর মন্দিরটি অন্যতম। খৃষ্টিয় ১৭ শতকে জগন্মোহন পন্ডিতের "দেশাবলি বিবৃতি" শীর্ষক বইয়ে এই গ্রামটি তন্তুবায়দের গ্রাম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইংরেজ আমলে সুতি কাপড় রেশম , লাক্ষা এসবের কারবার এখানে হতো। তৎকালীন সময় এরা সুবর্ণ বণিক সম্প্রদায়েরাই এখানে বিভিন্ন মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। লোককথা অনুসারে গ্রাম দেবী সুবর্ণমুখীর নাম অনুসারে এই জনপদের নাম হয় সোনামুখী।
এই অঞ্চলের তথা বাঁকুড়া জেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ পুরাকীর্তি এই ২৫ রত্ন শ্রীধর মন্দির।
এই চুড়া গুলির বৈশিষ্ট্য হলো মন্দির ছাদের প্রথম তলে চারদিকে তিনটি করে ১২ টি এবং দ্বিতীয় তলে চারদিকে তিনটি করে ১২ টি এবং একটি কেন্দ্রীয় চূড়াসহ এই ২৫ রত্ন মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছিল।
মন্দিরে একটি প্রতিষ্ঠালীপি আছে যদিও তা অনেকাংশে ক্ষয়ে গেছে। এর থেকে জানা যায়, হরি সুত্রধর ১৭৬৭ শকাব্দ বাংলার ১২৫২ সালের এই মন্দিরটি তৈরি করেন।
এই মন্দিরে শ্রীধর (শালগ্রাম শিলা ) বিগ্রহ হিসেবে পূজিত হন। মন্দিরটি পশ্চিম মুখী ।
এই মন্দিরের আসল বৈশিষ্ট্য হলো, প্রচুর টেরাকোটা ফলকের সমন্বয়। ত্রীখিলান সম্বলিত বাড়ান্দার সর্বত্র এবং মন্দিরের চার দিকের দেওয়ালে প্রচুর ফলক আছে।

The Sridhar temple of Sonamukhi in Bankura district is one of the six twenty-five pinnacled  temples that have been gathered in West Bengal. In the 17th century  Jaganmohan Pandit's book titled "Deshabali Bibriti" mentioned this village as the village of Tantubay. During the British period, cotton cloth, silk, laksha and other goods were traded here. During that time, the Subarna banik community and tantubay community established various temples here. According to folklore, this village was named Sonamukhi following the name of the village goddess Subarnamukhi.
This 25 Ratna Sridhar Temple is one of the greatest ancient monuments of this region and Bankura district.
The characteristic of these spires is that three on each four side of the temple roof on the first floor and  three on each side of the temple roof on the second floor, and a central spire formed this 25-spire temple The temple has a foundation stone, although it has largely disappeared. It is known from this that Hari Sutradhar built this temple in 1252 bangla year, 1767 sakabda,.
Sridhar (Shalgram Rock) is worshipped as an idol in this temple. ঠহী টীমপলী তাচীড ইন ঊঈসটীরন সিডী।
The real feature of this temple is the combination of numerous terracotta panels.

Related Articles

পঁচিশ রত্ন Panchabingsati Ratna

নশিপুর ২৫ রত্ন মন্দির Nasipur 25 ratna Temple

Normal বাংলায় যে ৬টি ২৫ চূড়া মম্দির রয়েছে তার মধ্যে মুর্শিদাবাদে নসিপুরের মন্দিরটি অন্যতম। নসিপুরের রাজবাড়ির ভেতরে এই মন্দিরটির অবস্থান। মন্দিরের গায়ে মার্বেল পাথরের একটি ফলকে দেখা যায় যে এর প্রতিষ্ঠাকাল ১৭৯৩ সাল। তৎকালীন জমিদার দেবী সিং রাজবাড়িটি নির্মান করেন ১৭৭৬ সালে এবং মন্দিরটি রাজা উদমন্ত সিংহ প্রতিষ্ঠা করেন ১৭৯৩ সালে। মন্দিরের মধ্যে এবং রাজবাড়ির […]

Read More
পঁচিশ রত্ন Panchabingsati Ratna

আনন্দ ভৈরবী মন্দির Anada Bhairabi Temple

হুগলি জেলার সুখারিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ২৫ রত্ন মন্দিরের এক অপরূপ নিদর্শন আমরা দেখতে পাই আনন্দ ভৈরবী মন্দিরে। সুধীর কুমার বিদ্যা বিনোদ  লিখিত হুগলি জেলার ইতিহাস গ্রন্থে জানা যায় যে –নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সাথে মনমালিন্য হওয়ার কারণে আনন্দরাম মুস্তৌফি এই অঞ্চলে বসবাস করতে শুরু করেন। বর্ধমান রাজাদের সাথে এই পরিবারের হৃদ্যতা ছিল। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা লিপিতে দেখা […]

Read More
পঁচিশ রত্ন Panchabingsati Ratna

গোপাল জীউ মন্দির Gopal Jiu Temple

পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত ছটি ২৫ চূড়া মন্দিরের মধ্যে তিনটি বর্ধমান জেলার কালনায় অবস্থিত। রাজবাড়ীর মন্দির প্রাঙ্গণের বাইরে এরকম একটি মন্দির হল। গোপাল জিউর পূর্বমুখী মন্দিরটি , ১৭৬৬ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয়েছিল। শুরুতে মন্দিরের টেরাকোটার কাজগুলি যে অপূর্ব অবস্থায় ছিল বর্তমানে তা অনেকাংশে নষ্ট হয়ে গেছে। মহারাজা তিলক চাঁদের আমলে তৈরি হওয়া অপূর্ব টেরাকোটা কাজ সম্বলিত চূড়ামন্দির গুলির […]

Read More