image

মদনমোহন মন্দির Madanmohan Temple

বিষ্ণুপুরের নগর দেবতা মদনমোহনের এক রত্ন মন্দিরটি এক কথায় অনবদ্য। মাকড়া পাথরের ভিত্তি ভূমির উপরে টেরাকোটা অলঙ্করণ সমৃদ্ধ মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল ১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে। ধনুক আকৃতি বাঁকা চালার উপরে স্থাপিত শিখরটি অনবদ্য। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা লিপিটি এইরকম -
"শ্রী রাধাব্রজরাজনন্দন পদাম্ভজেষু তৎ প্রীতয়ে
মল্লাব্দে ফনীরাজশীর্ষগনিতে মাসে শুচৌ নির্মলে
সৌধং সুন্দররত্নমন্দিরমিদং সার্ধংস্বচেতোহলিনা
শ্রীমদ্দুর্জন সিংহ ভুমিপতিনা দত্তং বিশুদ্ধাত্মনা
        ১০০০"
এটি পাঠে বোঝা যায় যে রাধা কৃষ্ণের রত্ন মন্দিরটি দুর্জন সিংহ দ্বারা ১০০০ মল্লাব্দেৎপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
মদনমোহনের বিগ্রহটি হস্তান্তরিত হয়েছিল পরে পৃথক একটি বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং তাও চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত রাধা কৃষ্ণের একটি মূর্তি এই মন্দিরে পূজিত হচ্ছে।
মন্দিরের দক্ষিণ দিকে একটি ভোগ মন্দির আছে। সেটাও বিশেষ দর্শনীয় ৪৬ ফুট দৈর্ঘ্য ১৭ ফুট প্রস্থ এবং ২০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট এই ভোগবন্দির টি দোচালা সৌধের এক অপরূপ উপমা। ত্রিখিলান যুক্ত টেরাকোটা কারুকার্য সমৃদ্ধ এরকম বড় দোচালা মন্দির খুব একটা নেই।

Single pinnacle temple of Madanmohan, the city god of Bishnupur, is simply amazing. The temple, rich in terracotta decorations, was built on a foundation of makra stone in 1694 AD. The spire, built on a curved arch, is amazing.The foundation inscription of the temple is as follows:

SriRadhaVrajarajNandana Padambhajeshu tat pritaye ......
.......1000 "
It is understood from the text that the Ratna temple of Radha Krishna was established by Durjan Singh on 1000 Mallabdet.

The idol of Madanmohan was handed over and later a separate idol was established and that too was stolen.
A later idol of Radha Krishna is worshipped in this temple.

There is a Bhog temple on the south side of the temple.That too is a particularly spectacular example of this 46 feet long, 17 feet wide and 20 feet high , three-arched do chala monument. There are not many such large two-arched temples with rich terracotta craftsmanship.

Related Articles

একরত্ন Ek Ratna

অনন্ত বাসুদেব মন্দির Ananta Basudev Temple

১৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট শাহজাহান বর্ধমান জেলার পাটুলির রাঘব দত্ত রায় কে সাতগাঁও অঞ্চলের একুশ টি পরগনার জমিদারি প্রদান করেন। তার পুত্র রামেশ্বর দত্ত। পরবর্তীকালে রাজা উপাধি পান। তিনি বাঁশ ঝাড় অধ্যুষিত এই এলাকা পরিষ্কার করে একটি দুর্গ নির্মাণ করেন। এখান থেকে এলাকার নাম হয় বাঁশবেড়িয়া। তিনি ১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে অনন্ত বাসুদেবের এক রত্ন মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা  […]

Read More
একরত্ন Ek Ratna

Ramchandra Temple

হুগলি জেলার বলাগর ব্লকে অবস্থিত এখানকার বিখ্যাত এক গ্রাম গুপ্তিপাড়া। মুকুন্দরাম চক্রবর্তী বিরোচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যে এই স্থানের উল্লেখ রয়েছে। একসময় সংস্কৃত চর্চার পিঠস্থান ছিল এই গুপ্তিপাড়া। চারদিকে এক বিশাল প্রাচীর ঘেরা জায়গায় যে মন্দিরগুলি অবস্থান করছে তার মধ্যে অন্যতম রামচন্দ্রের মন্দির। সপ্তদশ শতকে এই মন্দিরটি স্থাপিত হয়। অষ্টকোন আকৃতির শিখর সহ চারচালা ছাদের মন্দিরটি এক […]

Read More