
চালা রীতিতে স্থাপিত মন্দিরে চালের চার কোনায় চূড়া স্থাপিত করে বিভিন্ন রত্ন মন্দির গড়ে উঠেছে। এইরকম দ্বিতল এবং ত্রিতলের চালেও চূড়া সংস্থাপন করে যে বিভিন্ন রত্ন মন্দির তৈরি হতো তার সর্বোৎকৃষ্ট রূপ ২৫ রত্ন মন্দির।
প্রথমতলের চারটি কোনায় তিনটি করে ১২ টি পরবর্তিতলের চারটি কোনায় দুটি করে ৮ এবং তারপর পরবর্তী চালে একটি করে ৪ এবং ১ টি কেন্দ্রীয় চূড়াসহ মোট ২৫টি চুরা বা রত্ন স্থাপিত হতো। চুরা বিন্যাসের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রূপ দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ মিলিয়ে মোট যে ছটি ২৫ রত্ন মন্দির আছে তা এই বাংলাতেই অবস্থিত।
The 25 Ratna temple style is characterized by a rectangular box with curved cornices, known as ‘ek Ratna’, placed at the center of the roof. By adding more roofs and ratnas at the four corners, various configurations are created .
The 25 Ratna temple features: –
12 ratnas in the first layer (three towers at each of the four corners)
– 8 ratnas in the second layer (two more towers at each corner)
– 5 ratnas in the third layer (a central tower with four more towers at each corner)
There are variations in the arrangement of ratnas on temples. Notably, only six 25 Ratna temples exist in India and Bangladesh, and all of them are located in West Bengal.”
নশিপুর ২৫ রত্ন মন্দির Nasipur 25 ratna Temple
Normal বাংলায় যে ৬টি ২৫ চূড়া মম্দির রয়েছে তার মধ্যে মুর্শিদাবাদে নসিপুরের মন্দিরটি অন্যতম। নসিপুরের রাজবাড়ির ভেতরে এই মন্দিরটির অবস্থান। মন্দিরের গায়ে মার্বেল পাথরের একটি ফলকে দেখা যায় যে এর প্রতিষ্ঠাকাল ১৭৯৩ সাল। তৎকালীন জমিদার দেবী সিং রাজবাড়িটি নির্মান করেন ১৭৭৬ সালে এবং মন্দিরটি রাজা উদমন্ত সিংহ প্রতিষ্ঠা করেন ১৭৯৩ সালে। মন্দিরের মধ্যে এবং রাজবাড়ির […]
Read Moreআনন্দ ভৈরবী মন্দির Anada Bhairabi Temple
হুগলি জেলার সুখারিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ২৫ রত্ন মন্দিরের এক অপরূপ নিদর্শন আমরা দেখতে পাই আনন্দ ভৈরবী মন্দিরে। সুধীর কুমার বিদ্যা বিনোদ লিখিত হুগলি জেলার ইতিহাস গ্রন্থে জানা যায় যে –নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সাথে মনমালিন্য হওয়ার কারণে আনন্দরাম মুস্তৌফি এই অঞ্চলে বসবাস করতে শুরু করেন। বর্ধমান রাজাদের সাথে এই পরিবারের হৃদ্যতা ছিল। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা লিপিতে দেখা […]
Read Moreশ্রীধর মন্দির Sridhar Temple
পশ্চিমবঙ্গে যে ছটি পঁচিশ রত্ন মন্দিরের সমাহার ঘটেছে তার মধ্যে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীর শ্রীধর মন্দিরটি অন্যতম। খৃষ্টিয় ১৭ শতকে জগন্মোহন পন্ডিতের “দেশাবলি বিবৃতি” শীর্ষক বইয়ে এই গ্রামটি তন্তুবায়দের গ্রাম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইংরেজ আমলে সুতি কাপড় রেশম , লাক্ষা এসবের কারবার এখানে হতো। তৎকালীন সময় এরা সুবর্ণ বণিক সম্প্রদায়েরাই এখানে বিভিন্ন মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। […]
Read Moreগোপাল জীউ মন্দির Gopal Jiu Temple
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত ছটি ২৫ চূড়া মন্দিরের মধ্যে তিনটি বর্ধমান জেলার কালনায় অবস্থিত। রাজবাড়ীর মন্দির প্রাঙ্গণের বাইরে এরকম একটি মন্দির হল। গোপাল জিউর পূর্বমুখী মন্দিরটি , ১৭৬৬ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয়েছিল। শুরুতে মন্দিরের টেরাকোটার কাজগুলি যে অপূর্ব অবস্থায় ছিল বর্তমানে তা অনেকাংশে নষ্ট হয়ে গেছে। মহারাজা তিলক চাঁদের আমলে তৈরি হওয়া অপূর্ব টেরাকোটা কাজ সম্বলিত চূড়ামন্দির গুলির […]
Read Moreকৃষ্ণচন্দ্র মন্দির Krishnachandra Temple
কালনা মন্দির প্রাঙ্গণের পূর্ব দিকে এই সুউচ্চ ২৫ রত্ন মন্দিরটি অবস্থিত। মহারাজা তিলক চন্দ্র (1744 – 1770 AD ) এর মা লক্ষ্মী কুমারী দেবী, লালজি মন্দিরের মতো আরেকটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরের প্রতিষ্ঠালিপিতে লেখা আছে — শ্রী হরিচরণ সরোজ গুণ মুনিষোড়শ সংখ্যক শকে অব্দে মন্দিরমঅর্পিতমেতদ্রাজা শ্রী ত্রিলোক চন্দ্র মাত্রা ।। ১৬৭৩ সন ১১৫৯ […]
Read Moreলালজী মন্দির Lalji Temple
রাজবাড়ীর মন্দির চত্বরে ঢুকে সোজা এগিয়ে গেলে লালজী মন্দির অবস্থিত। সারা বাংলায় যে ছটি পঁচিশরত্ন মন্দির প্রতিষ্ঠিত আছে। তার মধ্যে লালজী মন্দির তার বিস্তৃতিতে এবং রত্ন পরিকল্পনায় সর্বশ্রেষ্ঠ রূপ ধারণ করেছে। চূড়া বা রত্নবিন্যাসের প্রথম স্তরে তিনটি করে চার কোনায় মোট ১২ টি দ্বিতীয় স্তরে প্রতি কোনায় দুটি করে মোট ৮ টি তৃতীয় স্তরে প্রতি […]
Read More