পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা দাসপুর থানার অধীনে গোবিন্দ নগর গ্রামে একটি পঞ্চরত্ন টেরাকোটা মন্দির অবস্থান করছে। মন্দিরটি সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত। রাধাগোবিন্দ ও রাধারমন মন্দির নামে এটি খ্যাত। দুটি আলাদা আলাদা যুগল মূর্তি এখানে অবস্থান করছে।
সরকারি ঘোষণা অনুসারে দেখা যায় মন্দিরটি ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত।
বর্তমানে কোন প্রতিষ্ঠা লিপি লক্ষ্য করতে পারিনি।
তারাপদ সাঁতরা এবং প্রণব রায় লিখিত দুটি গ্রন্থেই প্রতিষ্ঠা লিপির উল্লেখ আছে। লিপিটি এরকম-
"শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ জিউ চরণ পরাঅন /সন ১১৮৮ সাল তারিক ১৫ মাগে পুন্নিমা কাজের / দাসপুর।। আরভকারীকর শ্রী সাফল / রামচ ন্দ্র মিস্ত্রী। সাং।।"
এ থেকে দেখা যায় মন্দিরটি ১১৮৮ অর্থাৎ ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরের কারিগর ছিলেন দাসপুরের শ্রী সাফলরামচন্দ্র মিস্ত্রি।
মন্দিরের সামনের দিকে সর্বত্রই প্রচুর টেরাকোটা ফলক রয়েছে। কার্নিশের নিচে বড় বড় আটটি টেরাকোটা নারীর মূর্তির প্রতি দুটির মাঝে চারটি করে টেরাকোট্টা ফলক উৎকীর্ণ রয়েছে। এছাড়াও ত্রিখিলানের উপরে তিনটি বড় বড় প্যানেলে রামায়ণের পরিচিত টেরাকোটা ফলকগুলি রয়েছে। দুপাশের থামে এবং থামের নিচের দিকে অনেক রকম টেরাকোটা ফলক আছে। সামাজিক দৃশ্যপট , দেবদেবীর লীলা দৃশ্য , শিকারি , বন্দুকধারী , অশ্বারোহি ,রণ তরী , যুদ্ধযাত্রা, জমিদার , শিকারি কুকুর , হুঁকা সেবনরত সাহেব ইত্যাদি বিভিন্ন বৈচিত্রময় ফলকে মন্দিরটি অতুলনীয়।
প্রণব রায় লিখিত গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে, মন্দিরটি পাঁশকুড়া থানার কাঞ্চনা গ্রাম নিবাসী, জনৈক বৃন্দাবন চন্দ্র মান্না গোস্বামী বংশের পূর্বপুরুষ নন্দন দেব গোস্বামীকে দান করেছিলেন।
A Pancharatna terracotta temple is located in Govinda Nagar village under Daspur police station of Paschim Medinipur district. The temple is protected by the government. It is known as Radha Govinda and Radharman temple. Two separate twin idols are located here.
According to the official announcement, the temple was built in 1871 AD.
At present, no foundation inscription has been found.
The foundation inscription is mentioned in both the books written by Tarapada Santra and Pranab Roy. The inscription is as follows:
"Śrī śrī rādhā gōbinda ji'u caraṇa parā'ana/sana 1188 sāla tārika 15 māgē punnimā kājēra/ dāsapura.. Ārabhakārīkara śrī sāphala/ rāmaca ndra mistrī. Sāṁ.."
From this it can be seen that the temple was established in 1188 i.e. 1781 AD. The architect of the temple was Shri Saflaramchandra Mistry of Daspur.
There are many terracotta plaques everywhere in front of the temple. Below the cornice are eight large terracotta female figures, each with four terracotta plaques between them. Also, three large panels above the trikilan have the familiar terracotta plaques from the Ramayana. There are many types of terracotta panels on the pillars on both sides and at the bottom of the pillars. Social scenes, scenes of the play of gods and goddesses, hunters, gunmen, horsemen, warships, war journeys, landlords, hunting dogs, gentlemen smoking hookahs, etc.The temple is incomparable in its various and varied plaques.
It is mentioned in the book written by Pranab Roy that the temple was donated by a certain Vrindavan Chandra Manna, a resident of Kanchana village of Panshkura police station, to Nandan Dev Goswami, the ancestor of the Goswami clan.
