মালদা জেলায় ইংরেজ বাজার থেকে ১১ মাইল এবং গৌড় থেকে কুড়ি মাইল দূরে পান্ডুয়া অবস্থিত। এই অঞ্চলটিকে পারুয়া বা পেড়ো বা পেঁড়ো নামেও ডাকা হতো। হুগলি জেলার পান্ডুয়া থেকে আলাদা হিসেবে দেখানোর জন্য এই অঞ্চলটিকে অনেকে হজরত পান্ডুয়া বলে অভিহিত করেন।
পান্ডুয়া তে অবস্থিত সোনা মসজিদের কাছে, একলাখী সমাধি ভবন অবস্থান করছে। কেউ কেউ এটাকে মসজিদ বলেন কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এখানে মেহরাব না থাকায় এটিকে মসজিদ বলা যায় না।
এই মন্দিরটি নির্মাণের সময় এক লক্ষ মুদ্রা ব্যয় হয়েছিল বলে এর নাম এক লাখি। স্থাপত্তটি চারদিকে ৮ কোনা বুরুজ বিশিষ্ট এক গম্বুজের সমাধিভবন।
ভবনের ভেতরে তিনটি কবর আছে। এই তিনটি কবর কার কার সে নিয়ে বিভিন্ন মত প্রচলিত আছে।
সামগ্রিকভাবে প্রাক মুঘল যুগের বাংলার ইট ও টেরাকোটা সমৃদ্ধ এই স্থাপত্যটি মালদা জেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। আনুমানিক ১৪১২ - ১৪১৫ খ্রিস্টাব্দে স্থাপত্যটি তৈরি হয়েছিল।
এই স্থাপত্যটির বিস্তারিত বিবরণ প্রদ্যোত ঘোষ লিখিত মালদা জেলার পুরাকীর্তি গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে।
Pandua is located in Malda district, 11 miles from English Bazaar and 20 miles from Gaur. This area was also called Parua or Pero or Pnero. Many people call this area Hazrat Pandua to distinguish it from Pandua in Hooghly district.
Near the Sona Masjid in Pandua, there is the Eklakhi Samadhi Bhavan. Some call it a mosque, but according to experts, it cannot be called a mosque as there is no mihrab here.
This temple is called Ek Lakhi because one lakh coins were spent during its construction. The structure is a domed tomb with 8 corner towers on all sides. There are three tombs inside the building. There are different opinions about who these three tombs belong to.
Overall, this architecture, rich in pre-Mughal Bengali bricks and terracotta, is one of the best examples of Malda district.
The architecture was built approximately in 1412 - 1415 AD.
A detailed description of this architecture is recorded in the book ' Malda jelar Purakirtiwritten' by Pradyot Ghosh.
